Join Our Telegram channel! name='keywords'/> সফল ফ্রিল্যান্সার শুভ দূর করলো বাংলাদেশের ১৪ হাজার মানুষের বেকারত্ব এখন তার ইনকাম প্রতি মাসে ২ লক্ষ টাকা পর্ব-২

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

সফল ফ্রিল্যান্সার শুভ দূর করলো বাংলাদেশের ১৪ হাজার মানুষের বেকারত্ব এখন তার ইনকাম প্রতি মাসে ২ লক্ষ টাকা পর্ব-২

শুভ ,আব্দুল কাদের সরকারের একজন ভালো ও নিতি বান ছেলে। শুভর বাসা সদর উপজেলার ভিতরে ঝাউদি ইউনিয়নের পশ্চিম মাদ্রা গ্রামে। শুভ জন্ম সেই গ্রামে হয়েছিল। শুভর কাছ থেকে জানা যায় সে ২০১৫ সালে যখন এসএসসি পাস করে। ঠিক তারপর সে নিজে নিজে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে থাকে আস্তে আস্তে। আর সে আস্তে আস্তে ২০১৯ সালে একটি ভালো পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়। 

আর ২০১৯ সালেই তিনি আরব বেকারত্ব ছেলেদেরকে কাজ করে ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অন্যদের শেখানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করে দেয়। শুভর কাছ থেকে জানা যায় সে ঘরে প্রতি মাসে ইনকাম করেছে প্রায় দুই লক্ষ টাকা। আর এই শুভ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জাতীয় পর্যায়ে রাইজিং ইউথের। যে অ্যাওয়ার্ড আসলে সফল ফ্রিল্যান্সার দেওয়া হয়। আর শুভ যেহেতু একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে গিয়েছে তাই তাকেও এওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। শুভর পুরোপুরি নাম হচ্ছে মেহেদী হাসান শুভ। তিনি তার এক বক্তৃতায় জানান তিনি একজন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। 

তিনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে কম্পিউটার দিয়ে চার ঘন্টার ক্লাস শুরু করে দিয়েছেন যাতে বেকার ছেলেদের বেকারত্ব চলে যায়। তিনি আরো জানান যে তিন মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সে একটি কোর্স দিয়ে থাকে আর এর জন্য সে শুধুমাত্র 8 থেকে 10 হাজার টাকা নিয়ে থাকে। তবে তা সম্পর্কে আরো জানতে হলে অবশ্যই সাথে থাকুন ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ এর সাথে।


আরো পড়ুন: ফাইবারের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে চাইলে বিস্তারিত দেখুন


Ok সফল ফ্রিল্যান্সার শুভ দূর করলো বাংলাদেশের ১৪ হাজার মানুষের বেকারত্ব | Successful freelancer Shubo removed the unemployment of 14 thousand people


মেহেদী হাসান শুভর একটি মোটামুটি ছোট পরিবার। সেখানে তারা দুই ভাই এবং একটি বোন রয়েছে। আরো রয়েছে তাদের বাবা-মা। মেহেদী হাসান শুভর ছোট বোন সাথী আক্তার এক মিটিং এর ভিতরে বলেন যে আমার ভাইয়া একজন ফ্রিল্যান্সার। সে ফ্রিল্যান্সিং কাজ নিজে শিখে এবং অন্যদেরকে শেখায়। আমার ভাইয়া এখন দেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার গুলোর ভিতরে একজন অন্যতম। আর আমি এটা ভেবে গর্ববোধ করি যে আসলে এটাই আমার ভাই। 

মেহেদী হাসান শুভর মা এর নাম খালেদা বেগম। আর মেহেদী হাসান শুভর মা বলেন বর্তমান সময়ে আমাদের পুরো পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন শুভ। শুভই এখন আমাদের দেখাশোনা করে। আর ওর বাবা আরো আগে ঢাকায় একটি ছোটখাটো কাজ করতো। আর সেই কাজ করে সংসার চালানোটা তার পক্ষে অনেক কষ্টকর হত। আর ছেলে যেহেতু এখন এত আয় উন্নতি করেছে এটি দেখে শুভর বাবা সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। 

এই ছোট পরিবার নিয়ে আমরা এখন অনেক সুখে আছি। মেহেদী হাসান শুভর বাবা জানায় আমি আগে একটি ছোট খাটো কাজ করে সংসার চালাতাম। আর বর্তমান সময়ে যেহেতু জিনিসপত্রের দাম অনেকটা বেশি এর জন্য আমার সংসার চালানোটা অনেক কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। আর আমার ছেলে সেই কষ্ট বুঝতে পেরে একজন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার উদ্যোগ নেয়। আর উদ্যোগ নিতে নিতে সে এক পর্যায়ে সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠে। আর তার মাসিক আয় যখন ঘরে দুই লক্ষ টাকার মত হয়ে যায়। 

তখনই শুভ আমাকে বলে যে ছোট চাকরি ছেড়ে দিতে। শুভ আমাকে এমন ভাবে বলে যে বাবা আমি এখন ইনকাম করা শুরু করে দিয়েছি তোমার আর ছোটখাটো চাকরি করার প্রয়োজন পড়বে না। আসলে তখন এই কথাটি শুনে শুভর বাবা এতটাই খুশি হয়েছিল যে তখন সে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিল। হবেই না বা কেন আপনারাই বলুন আপনার ছেলেও যদি হঠাৎ করে অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখে মাসে ২ লক্ষ টাকা কিংবা তারও বেশি ইনকাম করে তাহলে সেটি আপনার জন্য একটি গর্ভের বিষয়। এটাই স্বাভাবিক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ