Join Our Telegram channel! name='keywords'/> ওয়েবসাইট টেস্টারের সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইড লাইন জেনে নিন | Know complete guidelines about website tester

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

ওয়েবসাইট টেস্টারের সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইড লাইন জেনে নিন | Know complete guidelines about website tester

একজন ওয়েবসাইট টেস্টার হিসেবে আপনার কাজ হবে ওয়েবসাইট যাতে ইউজারদের কাছে সহজলভ্য হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। একটি ওয়েবসাইটের স্বত্বাধিকারী হিসেবে আমি নিজেও চাইবো যাতে আমার ওয়েবসাইটের ভিজিটররা সহজে তাদের তথ্য এখানে খুঁজে পায়। একটি ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় অবশ্যই আমাদের ইউজার ও ভিজিটরদের কথা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।একজন ওয়েবসাইট টেস্টার মূলত যেকোনো ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করে থাকেন। এক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড, কাস্টোমাইজেশন, ডিজাইন, অপটিমাইজেশন, এসইও, মার্কেটিং, র‍্যাংকিং ইত্যাদির উপর নির্ভর করে একজন ওয়েবসাইট টেস্টার মন্তব্য করে থাকেন। বর্তমানে অনেক কোম্পানিই আছে যারা ওয়েবসাইট টেস্ট করার জন্য ইউজারদের অর্থ দিয়ে থাকে। চলুন তাহলে দেখে আসি, কীভাবে একজন ওয়েবসাইট টেস্টার হিসেবে আয় করার সম্ভব।

ওয়েবসাইট টেস্টারের সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইড লাইন জেনে নিন | Know complete guidelines about website tester


ওয়েবসাইট টেস্টারের কাজগুলো কী কী?

একজন ওয়েবসাইট টেস্টারের কাজের মধ্যে এগুলো অন্যতম,

*ওয়েবসাইট অটোমেশনের ডিজাইন টেস্ট করা।

*টেস্ট স্ক্রিপ্ট ইমপ্লিমেন্ট করা।

*ফাংশনাল, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, রিগ্রেশন এবং এক্সপ্লোরেটরি টেস্টিং করা।

*এন্ড ইউজার ও রুট কজ অ্যানালাইসিস করা।

*ওয়েবসাইট টেস্টিং রিপোর্ট ও রেকোমেন্ডেশন অ্যানালাইজ করা।

*ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ফিচার, লোডিং স্পিড ও অন্যান্য অপশনের টেস্ট করা।

ওয়েবসাইট টেস্টার হিসেবে কাজ করতে হলে যেসব জিনিসের প্রয়োজন পড়বে, সেগুলো হচ্ছে:ডেস্কটপ কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ কম্পিউটারউচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগকিছু কিছু সাইটে কাজ করার জন্য ওয়েবক্যামের দরকার পড়তে পারে।ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।

ওয়েব সাইট টেস্টার থেকে ইনকাম করার উপায়

ইউজার টেস্টিং: ইউজার টেস্টিং বর্তমানে পুরো বিশ্ব থেকেই টেস্টার নিয়োগ দিচ্ছে। প্রত্যেক ১০-১৫ মিনিটের একটি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা পণ্য টেস্ট করার জন্য আপনাকে ১০ ডলার দেয়া হবে। এই ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য কোনো ওয়েবক্যামের দরকার পড়বে না।হোয়াট ইউজারস ডু: এই ওয়েবসাইটটি ইউজার জুম কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যেক ১০-১৫ মিনিটের একটি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা পণ্য টেস্ট করার জন্য আপনাকে ৮ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ২০ ডলার দেয়া হবে। পেমেন্ট পেপালের মাধ্যমে দেয়া হয়। এই ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য মাইক্রোফোন থাকা জরুরী।ইউজার টেস্ট: এখানে কাজ শুরু করার পূর্বে আপনাকে কোয়ালিফাইড টেস্টার হিসেবে পরীক্ষা দিতে হবে। প্রত্যেক ১০-১৫ মিনিটের একটি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা পণ্য টেস্ট করার জন্য আপনাকে ১০.৫০ পাউন্ড থেকে সর্বোচ্চ ২০ পাউন্ড দেয়া হবে। পেমেন্ট পেপালের মাধ্যমে দেয়া হয়। এই ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার পূর্বে ৫ মিনিটের কোয়ালিফাইড টেস্টারের পরীক্ষা দেয়া জরুরী, যেটা ওয়েবসাইটের ‘কোয়ালিফাই’ সেকশনে রয়েছে।এনরোল: প্রত্যেক ৫-১০ মিনিটের একটি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা পণ্য টেস্ট করার জন্য আপনাকে ক্যাশ রিওয়ার্ড দেয়া হবে। পেমেন্ট পেপালের মাধ্যমে দেয়া হয়। এখানে যেসকল ওয়েবসাইট টেস্ট করা হয় সেগুলো মূলত পাবলিশের পূর্বে টেস্ট করার জন্য দেয়া হয়।ইউ টেস্ট: এই কোম্পানি বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট টেস্টিং করার সুযোগ দেয়। আপনি এখানে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সাইবার অ্যাটাক, অ্যান্টি-ভাইরাস ইত্যাদি টেস্ট করতে পারবেন।ইউজার ফিল: এই কোম্পানি থেকে আপনি প্রত্যেকটি টেস্টের জন্য ১০ ডলার করে পাবেন। পেমেন্ট দেয়া হয় পেপালের মাধ্যমে।
স্টার্টআপ লিফট: এই ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট করার সাথে সাথেই আপনার ড্যাশবোর্ডে ওয়েবসাইট টেস্টিংয়ের কাজ পেয়ে যাবেন। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আপনাকে ৫ ডলার দেয়া হবে। পেমেন্ট দেয়া হয় পেপালের মাধ্যমে।
অ্যানালিসিয়া: প্রত্যেক ১০-১৫ মিনিটের একটি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা পণ্য টেস্ট করার জন্য আপনাকে ১০ ডলার দেয়া হবে। পেমেন্ট পেপালের মাধ্যমে দেয়া হয়। একদিনে আপনি দুটির বেশি টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।ট্রাই মাই ইউ আই: প্রত্যেক ১০-১৫ মিনিটের একটি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা পণ্য টেস্ট করার জন্য আপনাকে ১০ ডলার দেয়া হবে। পেমেন্ট পেপালের মাধ্যমে দেয়া হয়।ইউজারলিটিক্স: প্রত্যেক ১০-১৫ মিনিটের একটি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা পণ্য টেস্ট করার জন্য আপনাকে ১০ ডলার দেয়া হবে। পেমেন্ট পেপালের মাধ্যমে দেয়া হয়। এই ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য মাইক্রোফোন ও ওয়েবক্যাম থাকা জরুরী।অ্যামাজন মেকানিক্যাল টার্ক বা এম টার্ক: এই ওয়েবসাইটটি অ্যামাজন কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যেক ১০-১৫ মিনিটের একটি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা পণ্য টেস্ট করার জন্য আপনাকে ২ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৫ ডলার দেয়া হবে। পেমেন্ট পেপালসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে দেয়া হয়। এই ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য মাইক্রোফোন কিংবা ওয়েবক্যাম কোনোটাই থাকা জরুরী নয়।টেস্টিং আওয়ার: অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে আপনি শুধু ওয়েবসাইট টেস্টই করবেন না, বরঞ্চ এখানে আপনাকে প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের উপর অ্যানালাইসিস ও স্টাডি করতে হবে। প্রত্যেক ঘন্টা কাজ করার জন্য অর্থাৎ ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা পণ্য টেস্ট করার জন্য আপনাকে ৫০ ডলার দেয়া হবে। পেমেন্ট পেপালের মাধ্যমে দেয়া হয়।ভ্যালিডেটলি: প্রত্যেক ১০-১৫ মিনিটের একটি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা পণ্য টেস্ট করার জন্য আপনাকে ৫ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ১০ ডলার দেয়া হবে। কিন্তু আপনি যদি কোনো ওয়েবসাইট টেস্টিংয়ের লাইভ সেশন আপলোড করেন তাহলে আপনাকে ২৫ ডলার দেয়া হবে। পেমেন্ট পেপালের মাধ্যমে দেয়া হয়।লুপ ১১: এটি একটি অস্ট্রেলিয়ান ওয়েবসাইট যেখানে মূলত প্রত্যেক ৫ মিনিটের একটি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা পণ্য টেস্ট করার জন্য আপনার ডেমোগ্রাফিক তথ্যের উপর নির্ভর করে পেপালের মাধ্যমে পেমেন্ট দেয়া হবে।আপওয়ার্ক: আপওয়ার্ক হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা পণ্য টেস্ট করার জন্য আপনাকে ২০-৫০ ডলার পর্যন্ত পেপালের মাধ্যমে পেমেন্ট দেয়া হবে।
***

ওয়েবসাইট টেস্টিং করে আয় করাটা খুবই সহজ। যদি আপনার ইংরেজি ও উপস্থাপনা করার দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই একজন কোয়ালিফাইড ওয়েবসাইট টেস্টার হিসেবে প্রত্যেক মাসে ৫০ ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ