Join Our Telegram channel! name='keywords'/> ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে সমস্ত বিস্তারিত এবং অবিশ্বাস্য তথ্য | All detailed and incredible information about Facebook Marketing

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে সমস্ত বিস্তারিত এবং অবিশ্বাস্য তথ্য | All detailed and incredible information about Facebook Marketing

ফেসবুক মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা বড় অংশ জুড়ে আছে ফেসবুক মার্কেটিং। ফেসবুক নানা ধরনের কন্টেন্ট দিয়ে অডিয়েন্সের সাথে এঙ্গেইজমেন্ট তৈরী করা এবং তাদের কাছে আপনার ব্রান্ড এর ভ্যালু তৈরী করা এবং পরিশেষে তাদেরকে কাস্টমারে কনভার্ট করার কৌশলকেই বলা হয় ফেসবুক মার্কেটিং।


ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে সমস্ত বিস্তারিত এবং অবিশ্বাস্য তথ্য | All detailed and incredible information about Facebook Marketing


কেন করবেন ফেসবুক মার্কেটিং ?

এখনকার সময় আর ফেসবুক কেউ আর নিছক বিনোদনের জন্যে কিংবা সময় কাটাবার জন্যে ব্যবহার করে না। ফেসবুক এখন বিজনেস করবার জন্যে একটি প্রগতিশীল জায়গা হয়ে দাড়িয়েছে এবং দিন যত যাবে ফেসবুকে আপনার বিজনেস কম্পিটিটর তত বাড়বে। একই সাথে ফেসবুকে বিজনেস করবার এই প্ল্যাটফর্মটি আরো বেশী শক্ত পক্ত হবে।তাই এখনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং এ আপনি নিজের জায়গা তৈরী করতে না পারেন তাহলে ভবিষৎ পৃথিবীতে আপনার বিজনেসকে নিয়ে আর কোন বিশেষ জায়গা ধরে রাখতে সক্ষম হবেন না।আজকের দিনে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে ফেসবুক মার্কেটিং এ নিজের জায়গা করতে না পারার অর্থ হল আপনি বেশ পিছিয়ে আছেন। আপনার বিজনেস যেই নিশেরই হোক না কেন তা অনলাইনে সার্ভিস দিয়ে থাকুক আর নাই বা দিয়ে থাকুক আপনার জন্যে ফেসবুক মার্কেটিং করা বেশ জরুরী।কেননা এতে আপনার ব্রান্ড এর ভ্যালু বৃদ্ধি হয় এবং অডিয়েন্স আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানতে পারে।বর্তমানে টিভি, পত্রিকা, রেডিও সোশ্যাল মিডিয়া এসব মাধ্যম গুলোর মধ্যে যে মাধ্যম গুলোতে আপনার গ্রাহক সবচেয়ে বেশী সময় কোন কারন ছাড়া আমরা অনেক সময় কাটায় তা হল সোশ্যাল মিডিয়া। আবার যেসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে অডিয়েন্স সবচেয়ে বেশী যেখানে একটিভ থাকে তা হল ফেসবুক। সারা পৃথিবীতে ফেসবুক ইউজার এর সংখ্যা প্রায় ২.৯৩ মিলিয়ন এবং এদের মধ্যে প্রতিটি মানুষ গড়ে কমপেক্ষে ৫৮ মিনিট ফেসবুকে কাটায়।সুতরাং বুঝতেই পারছেন আপনি কেন ফেসবুককে মার্কেটিং এর জন্যে টার্গেট করবেন।

ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার? 

১) অর্গানিক বা ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং 

২) পেইড ফেসবুক মার্কেটিং 

অর্গানিক বা ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং

অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং হল কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরী করে আপনার অডিয়েন্সের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকা। এই কৌশলটি একটু ক্রিয়েটিভ এবং কষ্টসাধ্য তবে অসম্ভব কিছু নয়। অর্গানিক ভাবে ফেসবুকে কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট দিয়ে করতে হবে। এভাবে অনেক বিজনেস পেইজ গ্রাহকদের সাথে যুক্ত হয়ে থাকে ও সর্বোচ্চ রিচ নিয়ে আসে এবং সেলও পাওয়া সম্ভব হয়। অর্গানিক মার্কেটিং করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত পোস্ট দিয়ে পেইজে অ্যাক্টিভ থাকতে হবে।

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং হল আপনি ফেসবুককে স্পন্সর করবেন আপনার কিছু অ্যাড রান করানোর জন্যে এর বিনিময়ে আপনাকে কিছু অর্থ খরচ করতে হবে। ব্যবসার প্রচারনার জন্যে ইনভেস্ট করা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ছোট খাটো সব ধরনের ব্যবসায়ীকেই নিজের ব্যবসার প্রচারনার জন্যে কিছু না কিছু ইনভেস্ট করতে হয়। তবে ফেসবুকে নয় কেন? যেখানে অন্যসব মাধ্যমের চেয়ে গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষন করা বেশী সহজ। সুতরাং, ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং করা নির্থক কিছু নয়। ফেসবুকে সঠিক ভাবে পেইড মার্কেটিং করলে আপনি নিঃসন্দেহে যথেষ্ট সেল পাবেন। 

ফেসবুক মার্কেটিং করার নিয়ম-

বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অবল্বন করে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারবেন। মূল উদ্দ্যেশ্য হল ভালো কন্টেন্ট দিয়ে গ্রাহকের সাথে এঙ্গেইজমেন্ট তৈরী করা।আপনি যখন পন্যের ভাল মানের কন্টেন্ট ফেসবুকে আপনার বিজনেস পেইজে আপলোড করবেন। গ্রাহক সেই ভিত্তিতেই আপনার পন্যে ক্রয়ের ক্ষেত্রে আগ্রহী হবে। প্রথমেই বলে রাখি ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে আপনার সবার আগে প্রয়োজন হবে ফেসবুকে একটি বিজনেস পেইজ ক্রিয়েট করা তারপর তার সাথে যথাযথ প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো যুক্ত করুন।

যেসব ফরমেটে ফেসবুকে আপনি পোস্ট দিয়ে মার্কেটিং করতে পারবেন সেগুলো হল –

ভিডিও

বর্তমানে ফেসবুকে ইউজাররা বিশেষ করে ইয়াং জেনারেশন যে সমস্ত কন্টেন্ট দেখতে বেশী পছন্দ করে তা হল ভিডিও কন্টেন। ১৫ সেকেন্ড থেকে এক মিনিটের ভিডিও গুলো অডিয়েন্স কে বেশী আকর্ষন করে। কেননা অনেক সময়ই ক্রেতারা প্রোডাক্ট এর আপলোড করা ছবি গুলোকে আসল ছবি মনে করেন না, প্রোডাক্টের ছবি দেখার চেয়ে ভিডিও দেখে ক্রেতারা প্রোডাক্ট এর মান নিয়ে বেশী আস্বস্তবোধ করেন, এতে আপনার সেল এর পরিমান ও বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তাই বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেস এর ক্ষেত্রে ফেসবুক লাইভের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশী। কারণ ক্রেতারা ভিডিও দেখে প্রোডাক্টকে রিলায়েবল মনে করে।সুতরাং আপনি যদি এই ১৫ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিটের মধ্যে কোন ভিডিও কন্টেন তৈরী করে অডিয়েন্স কে আপনার প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে সম্পূর্ন একটি ধারনা দিতে পারেন তাহলে অডিয়েন্স আপনার প্রোডাক্টের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করবে।

ইমেজ

ভিডিও কন্টেন্ট জনপ্রিয় হবার আগে ইমেজ কন্টেন্ট দিয়েই ফেসবুকে অ্যাডভার্টাইজ করা গেছে এবং এটি এখনো জনপ্রিয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রোডাক্ট এর ছবি গুলো নিজের তোলা হতে হবে। এক সময় কালেক্টেড ছবি দিয়েই সেল করা গেলেও এখন অডিয়েন্স আরও বেশী সচেতন হয়ে গেছে। তবে একটি ভাল প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে মান সম্মত কিছু ছবি তুলে সেগুলো দিয়ে অ্যাডভার্টাইজ করা গেলে অডিয়েন্স এর সাথে এঙ্গেইজমেন্ট ধরে রাখা সহ হিউজ এমাউন্ট প্রোডাক্ট সেল করা সম্ভব। ইমেজ অ্যাড এর সাথে আপনার ওয়েব সাইট কানেক্ট করেও আপনি অডিয়েন্সকে ওয়েব সাইটের দিকে ড্রাইভ করতে পারবেন। আর তাই মার্কেটাররা এখন অনেকেই কম বেশী একটা বাজেট বরাদ্দ রাখে প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফির জন্য। কেননা ভালো মানের ছবি অডিয়েন্সকে সবসময়ই আকর্ষণ করে।

টেক্সট

এই ফরমেটে আপনি কেবল কিছু অর্থবহ লেখা দিয়ে আপনার পন্যের গুনগত মান এবং ব্যবহার বিধি নিয়ে লেখা লেখি করে ফেসবুকের স্ট্যাটাস আকারে পোস্ট করে গ্রাহকদের সাথে এঙ্গেইজমেন্ট তৈরী করতে পারবেন। তবে বাকি দুটো মাধ্যম এর চেয়ে এই পদ্ধতিতে মার্কেটিং করবার চেষ্টা করলে অডিয়েন্সের কাছ থেকে কম সাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কেননা এখনকার যুগে অডিয়েন্স ভিজুয়াল কন্টেন্টকে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

ফেসবুক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ফেসবুক স্টোরিস

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে যে জিনিসটি সব সময় ফলো করতে হয় তা হল ট্রেন্ড। ফেসবুক স্টোরিস ২০১৭ সাল থেকেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং এখন পর্যন্ত এটি একটি ট্রেন্ডি ফিচার।ফেসবুক মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনি এই ফিচারটির ব্যবহারটিকে এড়িয়ে যেতে পারবেন না। ফেসবুক স্টোরিতে বেশি রিচ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে এছাড়াও স্টোরি থেকেই অডিয়ান্স সরাসরি আপনাকে মেসেজ করতে পারে। সেটি আপনাকে গ্রাহকের সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ করে দেয়। ফেসবুক স্টোরিতে আপনি রেগুলার যেকোন ক্যাজুয়াল পোস্ট করতে পারেন যেমন প্রোডাক্ট প্যাকেজিং, প্রোদাক্টের ছবি, রিভিউর স্ক্রিনশট সহ আরো অনেক কিছু। নিয়মিত স্টোরি আপলোড করলে অডিয়ান্সের সাথে আপনার এঙ্গেইজমেন্ট বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা আরো বাড়বে।

ফেসবুক স্টোরি মিউজিক

সম্প্রতি উন্নত দেশ গুলোর মত বাংলাদেশেও ফেসবুক স্টোরিতে মিউজিক অ্যাড করার সুবিধা চালু হয়েছে। যেহেতু আপনি একজন মার্কেটার এবং ট্রেন্ডকে ফলো করা আপনার অন্যতম দায়ীত্ব। এই ফিচারটি ব্যবহার করে আপনি নানান মিউজিকের সাথে আপনার পন্যের ছবি বা ভিডিও অ্যাড করে স্টোরি আপলোড করুন। বিশেষত ট্রেন্ডি গানগুলোর সাথে অ্যাড করার চেষ্টা করুন। ট্রেন্ডি মিউজিক গুলো ব্যবহার করে কন্টেন্ট তৈরী করলে ফেসবুকে রিচ এবং রেস্পন্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ