Join Our Telegram channel! name='keywords'/> আপ ওয়ার্ক ওয়েবসাইটের এ টু জেড সম্পূর্ণ বিস্তারিত | A to Z of Upwork website complete details

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

আপ ওয়ার্ক ওয়েবসাইটের এ টু জেড সম্পূর্ণ বিস্তারিত | A to Z of Upwork website complete details

আপওয়ার্ক হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অনলাইন ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস। শুরুতে এটি ওডেস্ক নামে পরিচিত ছিল যা পরে নাম পরিবর্তন করে অন্য একটি মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সের সাথে একীভূত হয়ে আপওয়ার্ক নাম ধারণ করে। যারা অনলাইনে কাজ করেন তাদের অনেকেরই স্বপ্ন থাকে আপওয়ার্কে একটি একাউন্ট খুলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার। আবার এমন কেউ কেউ আছেন যারা আপওয়ার্ককে খুব একটা পছন্দ করেন না।বাস্তবতা হচ্ছে, আপনি পছন্দ করেন বা না করেন, আপওয়ার্ককে কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না; কারণ এর ব্যাপ্তি ও প্রভাব অনেক বেশি। হয়ত আপনি যতটা চিন্তা করতে পারবেন তার থেকেও! বড় বড় কোম্পানি যেমন মাইক্রোসফট, অটোম্যাটিক, এরাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপওয়ার্ক এর ক্লায়েন্ট।একজন ফ্রিল্যান্সার এর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ক্লায়েন্ট খুঁজে বের করা। আপওয়ার্ক এর মত প্লাটফর্ম ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার উভয়ের জন্যই একে অপরকে খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারটা সহজ করে দেয়। বাড়তি আয় হোক, কিংবা প্রধান জীবিকা- আপওয়ার্কে সব ধরনের ফ্রিল্যান্সারই রয়েছেন।


আপ ওয়ার্ক ওয়েবসাইটের এ টু জেড সম্পূর্ণ বিস্তারিত | A to Z of Upwork website complete details


আপওয়ার্ক কী এবং কীভাবে কাজ করে?

আপওয়ার্ক কি এটা ইতোমধ্যেই বলে ফেলেছি। আপওয়ার্কে ফ্রিল্যান্সারগণ তাদের প্রোফাইলে নিজেদের কাজ, অভিজ্ঞতা এসব তুলে ধরেন। ক্লায়েন্টরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের বিবরণ এবং এর জন্য তারা কত সম্মানী প্রদান করবেন তা উল্লেখ করে আপওয়ার্ক এ পোস্ট করেন। এরপর ফ্রিল্যান্সাররা কাজের তালিকা থেকে নিজেদের অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে কাজের জন্য প্রপোজাল পাঠান।ক্লায়েন্টরা আগ্রহী ফ্রিল্যান্সারের তালিকা থেকে তাদের পছন্দের এক বা একাধিকজনকে নির্বাচন করে চুক্তিবদ্ধ হন। আবার ক্লায়েন্ট চাইলে কোনো ফ্রিল্যান্সার এর প্রোফাইল দেখে তাকে কাজের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।সহজ কথায়, আপওয়ার্ক এর কাজ হল ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। পুরো প্রক্রিয়াটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মে সম্পন্ন হয়।ফ্রিল্যান্সারকে তাদের পারিশ্রমিক আপওয়ার্ক এর সাথে ভাগ করে নিতে হয়। কোনো নির্দিষ্ট বায়ার/ক্লায়েন্টের কাছ থেকে একজন ফ্রিল্যান্সারের প্রথম ৫০০ ডলার আয়ের ২০% অর্থ ফি হিসেবে কেটে নেয় আপওয়ার্ক। একই কন্ট্রাক্টে ৫০১ থেকে ১০ হাজার ডলার আয়ের মধ্যে ১০% যায় আপওয়ার্ক এর ভাগে। আর সেই কন্ট্রাক্টে ফ্রিল্যান্সারের আয়ের পরিমাণ ১০ হাজার ডলারের বেশি হলে তার থেকে ৫% পায় আপওয়ার্ক। অর্থাৎ, আয় যত বেশি হবে এবং যত বেশি দীর্ঘমেয়াদী ক্লায়েন্ট-ফ্রিল্যান্সার সম্পর্ক হবে, তত কম ফি চার্জ হবে ফ্রিল্যান্সারের একাউন্টে। এছাড়া, বায়ারের দিক থেকেও বিভিন্ন প্ল্যানে বিভিন্ন রকম ফি নেয় আপওয়ার্ক।

আপওয়ার্ক এ কাজের প্রকারভেদ

ফ্রিল্যান্সিং এর উপর ভিত্তি করে চালিত আপওয়ার্ক এ বিভিন্ন ধরনের কাজের দেখা মিলবে। মূলত শিল্প এবং দক্ষতাভিত্তিক কাজই এখানে গুরুত্ব পায়। আপওয়ার্ক এ যেসব কাজের দেখা মিলবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মূল ক্যাটেগরিগুলো নিম্নরূপঃ

*ফটোগ্রাফি এবং এডিটিং

*ভিডিও প্রোডাকশন

*ওয়েব ডিজাইন

*সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)

*মার্কেটিং

*সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

*গ্রাফিক ডিজাইন

*প্রোগ্রামিং

*সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট

*লিটারেচার (লেখা ও এডিটিং)

*কপিরাইটিং

*এডভার্টাইজিং

*টিচিং

*অনুবাদ করা

*কন্ঠ প্রদান (ভয়েস ওভার)

*আর্ট ডিরেকশন

*সাপোর্ট, ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট

আপওয়ার্ক থেকে টাকা উত্তোলন করার উপায়

আপনি যদি এই সাইটে যদি পর্যাপ্ত সময় কাজ করতে পারেন তাহলে ভালো একটা ইনকাম পাবেন। আপনি যদি প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে থাকেন তাহলে দ্রুত প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর এখান থেকে ইনকাম করা টাকা আপনি আমাদের দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলোর মাধ্যমে ইনকাম উত্তোলন করতে পারবেন। আপনি মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আর আপনি যদি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে চান তাহলে বিটকয়েন পেইয়ার এর মাধ্যমে নিতে পারেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা হলে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন আর অন্য সাইটগুলো হলে সর্বনিম্ন তিন ডলার হতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ