Join Our Telegram channel! name='keywords'/> হ্যাকিং আসলে কি?-হ্যাকিং কিভাবে করা হয়?-হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় কি?

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

হ্যাকিং আসলে কি?-হ্যাকিং কিভাবে করা হয়?-হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় কি?

হ্যাকিং আসলে কি?-হ্যাকিং কিভাবে করা হয়?-হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় কি?


হ্যাকিং আসলে কি? ও হ্যাকিং কিভাবে করা হয়?

হ্যাকিং  এমন প্রক্রিয়া যেখানে কেউ কোন বৈধ অনুমতি ছাড়া কোন মোবাইল বা  কম্পিউটারের  নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে। যারা এ হ্যাকিং করে তারা হচ্ছে হ্যাকার। এসব কথা তোমরা প্রায় সবাই জান। আমরা প্রায় সবাই জানি হ্যাকিং বলতে শুধু কোন ওয়েব সাইট হ্যাকিং আবার অনেকের ধারনা হ্যাকিং মানে শুধু কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হ্যাক করা, আসলে কি তাই? না আসলে তা না। হ্যাকিং অনেক ধরনের হতে পারে। তোমার মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন, গাড়ি ট্র্যাকিং, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও ডিজিটাল যন্ত্র বৈধ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে তা ও হ্যাকিং এর আওতায় পড়ে। হ্যাকাররা সাধারনত এসব ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের ত্রুটি থাকলে সেই ত্রুটি গুলোকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্নভাবে হ্যাকারর  তা  হ্যাক করে।

হ্যাকিং করার জন্য হ্যাকাররা সর্বপ্রথম  টার্গেট নির্বাচন এবং তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়। এছাড়াও নেটওয়ার্ক সম্পর্কেতারা খুঁটিনাটি বিষয় জানে। হ্যাকিং শুরু করার জন্য নেটওয়ার্কের পোর্ট, কানেকশন প্রোটোকল, ডিএনএস, আইপি ইত্যাদি সম্পর্কে আইডিয়া নিয়ে তারপরেই হ্যাকিং করা হয়। তবে বর্তমান সময়ে আমরা তিনটি হ্যাকিং বেশি হতে দেখে থাকি সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

*Social Engineer ING হ্যাকিং

*CracKing password হ্যাকিং

*Gary হ্যাকিং

<<<CracKing password হ্যাকিং কি?

**অনলাইন দুনিয়ায় আপনি কে সে হিসেবে কিন্তু সিস্টেম আপনাকে চেনে না। সে চেনে আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দ্বারা। আপনি ভুল তথ্য ইনপুট দিলে সিস্টেম কখনো আপনাকে তার অ্যাক্সেস দেবে না। কিন্তু সঠিক ইনপুট দিলে আপনি যদি আসল মালিক না হন তারপরেও আপনাকে অ্যাক্সেস দেবে।

**অর্থাৎ আপনার অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস নেওয়ার জন্য অন্য কেউ যদি আপনার অজান্তে আপনার দেয়া পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে তাহলে তা পাসওয়ার্ড হ্যাকিং। সহজ করে বলতে গেলে আপনার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অন্য কেউ যদি সিস্টেম অ্যাক্সেস নিয়ে নেয় তাহলে আপনি পাসওয়ার্ড হ্যাকিং এর শিকার হয়েছেন।

**বর্তমান সময়ে পাসওয়ার্ড হ্যাকিং বিষয়টা অনেক প্রচলিত। এর কারণে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট, ডিভাইস পাসওয়ার্ড সহ সকল ক্ষেত্রেই পাসওয়ার্ড হ্যাকের ঝুঁকি থেকেই যায়। এই ঝুঁকি গুলো থেকে এড়াতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন এবং তা সংরক্ষণ করে কাউকে না জানিয়ে রেখে দিবেন।

<<<Social EngineerING হ্যাকিং কি?

**সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কে আর্ট অফ হিউম্যান হ্যাকিং হিসেবেও ডাকা হয়। কারণ প্রচলিত হ্যাকিং ইলেকট্রনিক সিস্টেমের দুর্বলতার উপর নির্ভর করে। কিন্তু সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সরাসরি মানুষের মস্তিষ্ককে হ্যাক করে তার থেকে ডাটা সংগ্রহ করে। সে ডাটা গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড, কোম্পানি ইমেইল, অ্যাড্রেস, ক্রেডিট কার্ড ডিটেইলস ইত্যাদি।

**বিখ্যাত ইথিক্যাল হ্যাকার এবং সিকিউরিটি এক্সপার্ট কেভিন মিটনিক বলেছেন “সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে হ্যাকিং করা কোন সিস্টেম ক্র্যাক করার থেকে বেশি সহজ (মডিফাই)”। তার মতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে হ্যাকিং করলে সময় বেশি লাগলেও হ্যাকিং প্রক্রিয়া কখনো ব্যর্থ হয়না। এই পদ্ধতি ইউজ করে সিস্টেমের একদম কাছাকাছি যাওয়া যায়। যা অন্য যে কোন পদ্ধতিতে অনেক অনেক কষ্টকর।

**হ্যাকিং এর ভাষায় মানুষের সাথে ছলচাতুরি করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়াকে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়। বর্তমানে এই হ্যাকিং পদ্ধতির অনেকগুলো উপায় প্রচলিত আছে। যেমন ফিশিং, স্পেয়ার ফিশিং, স্পামিং, ভিশিং, স্মিশিং, ওয়াটার হোলিং, বেটিং ইত্যাদি। ফিশিং সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণা থাকলেও বাকি গুলো সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা নেই। ফিশিং অতি প্রচলিত একটি পদ্ধতি যা বর্তমানে সব মানুষ ধরে ফেলতে পারে। যার ফলে তা আজকাল তেমন ভালো কাজ করে না। তবে হ্যাকাররা বসে না থেকে স্পেয়ার ফিশিং নামক আরেকটি উপায় তৈরি করেছে। যা ফিশিং এর থেকে ভালো কাজ করে।

**সর্বোপরি ভিক্টিমের ট্রাস্ট অর্জন করে তার সেনসিটিভ ডাটা হাতিয়ে নেওয়াই সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। নিজেকে অনলাইনে সেফ রাখার জন্য আমাদের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। হ্যাকার থেকে  না এগিয়ে  থাকলে তাদের ফাঁদে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এজন্য অজানা কোন attractive  বা আকর্ষণীয় লিংকগুলোতে না জেনে বুঝে ক্লিক করবেন না।

<<<Gray হ্যাকিং কি?

**এধরনের হ্যাকাররা বৈধ (legal) ও অবৈধ (illegal) দুই ধরনের কাজ করতে পারে। আপনার সিস্টেমকে হাক করে ডাটা চুরি বা ধ্বংস করতে পারে , চাইলে এই ধরনের হ্যাকাররা হাই সিকিউরিটি provide করতে পারে । এরা মূলত অনুমতি না নিয়ে সিস্টেমের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য হ্যাক করে থাকে কিন্তু এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনরকম ক্ষতি করে না বা ডেটা চুরি করে না । এরা অবৈধ কারণ পারমিশন না নিয়েই গুলো করে । আশা করি করি গ্রে  হ্যাকার কি বিষয়টা বুঝতে পারলেন। গ্রে হ্যাকিং সম্পর্কে যদি আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। পরবর্তীতে সে বিষয়ের উপর আর্টিকেল দেওয়ার চেষ্টা করব।

হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় গুলো 


***টু স্টেপ ভেরিফিকেশন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি টার্ম। বর্তমান প্রায় সকল ডিভাইস এবং অ্যাকাউন্টে এই সিকিউরিটি ফিচার পাওয়া যায়। এই ফিচারের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে লগইন করার জন্য মোবাইলে পাঠানো কোড এন্টার করতে হয়। হ্যাকার যদি আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে চায় তাহলে আপনার মোবাইল সহ হ্যাক করতে হবে। অথবা তার কাছে আপনার ডিভাইসের ফিজিক্যাল অ্যাক্সেস থাকতে হবে। অপরিচিত কারো কাছে আপনার মোবাইলের ডিরেক্ট অ্যাক্সেস নেওয়া অবশ্যই অনেক কঠিন এবং কষ্টকর হবে। এর ফলে আপনি সহজেই নিজের ডিভাইস এবং অ্যাকাউন্ট হ্যাকারের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

***আমরা যখন কোন সার্ভিস ইউজ করতে চাই সেখানে ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হয়। আমরা প্রয়োজনের স্বার্থে অনেক গুলো ইমেইল অ্যাড্রেস খুলে রাখলেও মূল অ্যাকাউন্ট হিসেবে একটি ব্যবহার করে থাকি। উক্ত মূল ইমেইল দিয়েই আমরা সব সার্ভিস সাবস্ক্রাইব করে থাকি। এছাড়া এই মূল ইমেইলেই সকল গুরুত্বপূর্ণ মেইল জমা হয়।
কোন ভাবে হ্যাকার আপনার মেইন email  অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারলে সে আপনার সাবস্ক্রাইব করা সকল সার্ভিস সম্পর্কে জেনে যাবে। তখন সে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং মেথড ইউজ করে আপনার সকল সার্ভিস হ্যাক করে অ্যাডভান্টেজ নিতে পারবে। এসকল বিড়ম্বনা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ইমেইল অ্যাড্রেস সিকিউর করতে হবে। ইমেইল সার্ভিস প্রোভাইডারদের প্রোভাইড করা সিকিউরিটি অপশন গুলো অ্যাক্টিভেট করে নিতে হবে। যাতে যে কোন মূল্যে মূল মেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা যায়।


***আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা নিজেদের অনেক ডাটা আপডেট করে থাকি। আর একজন হ্যাকারের হ্যাক করার জন্য যে সকল পার্সোনাল ডাটা দরকার তা আমাদের প্রোফাইল থেকেই পেয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করার জন্য আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ করে সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ করতে হবে।

মূলত সিকিউরিটি অনেকটা সচেতনতার উপর নির্ভর করে। আপনি আপনার ডাটার সিকিউরিটি নিয়ে যদি সতর্ক  থাকেন তাহলে আপনার সিকিউরিটি নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। তবে আপনার মনে যদি সিকিউরিটি নিয়ে একটুও চিন্তা থাকে তাহলে এই আর্টিকেল আপনাকে অনেক সহায়তা করবে। আশাকরি লেখাটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আপনার মতামত অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ. আমি এই বিষয় সম্পর্কে অনেক শিখেছি| আমি এই পোস্টটি খুব দরকারী এবং উত্তেজনাপূর্ণ খুঁজে পেয়েছি| আবার দেখা হবে! Digital Dinkal

    উত্তরমুছুন