Join Our Telegram channel! name='keywords'/> অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার সম্পূর্ণ গাইড লাইন | Complete Guideline to Check Voter ID Card Online

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার সম্পূর্ণ গাইড লাইন | Complete Guideline to Check Voter ID Card Online

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক বা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে অনেকেই গুগল করে থাকেন। বর্তমানে ভোটার আইডি কার্ড কথাটির সাথে পরিচিত না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। ১৮ বছর হয়ে গেছে অথচ ভোটার আইডি কার্ড করার চিন্তা করেননি এমন মানুষও খুজে পাওয়া দায়। কিন্তু এই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা ভোটার আইডি কার্ড চেক করে অনলাইন কপি ডাউনলোড করা যায় যা অনেকেই জানেন না।আজকে আমরা জানবো, কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যায়। কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই দেখা যায়।আজকের পোস্টটি তাদের জন্য যারা ভোটার হওয়ার জন্য ফর্ম পূরণ করে ছবি এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েছেন অথচ ভোটার আইডি কার্ড পাননি অথবা ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য চেক করতে চান তাদের জন্য। আবার এ পদ্ধতিতে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন যা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা সম্ভব।চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক এবং অনলাইন কপি ডাউনলোড করা যায়।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার সম্পূর্ণ গাইড লাইন | Complete Guideline to Check Voter ID Card Online


অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম 

ভোটার আইডি কার্ড চেক করে নেওয়ার আগে জেনে নেওয়া যাক ভোটার আইডি কার্ড চেক বা অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে যা যা লাগে।
নতুনদের জন্য ভোটার হওয়ার সময় একটি স্লিপ দিয়ে থাকে। স্লিপের একটি নাম্বার থাকে। সেই স্লিপ নাম্বারটি এবং অরজিনাল জন্ম তারিখ। আর যারা আগেই ভোটার হয়েছেন শুধু অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে চান অথবা ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে চান তাদের এক্ষেত্রে ভোটার আইডি নাম্বার এবং ভোটার আইডি কার্ডে উল্লেখিত জন্ম তারিখ এবং স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা যেমন, গ্রাম, পোস্ট অফিস, থানা, জেলা বিভাগ জানতে হবে। আশা করছি উপরে উল্লেখিত আপনার কাছে সবই আছে। তো দেরি না করে শুরু করা যাক ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৩ সম্পর্কে।যেভাবে আপনি অনলাইনে নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন এবং তথ্য যাচাই করতে পারবেন। 

যেভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক করবেন

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত সরকারি ওয়েবসাইট nidw এ প্রবেশ করতে হবে।আপনি গুগলে nidw লিখে সার্চ করলে প্রথমে শো করা লিঙ্কে ক্লিক করলে নিচের ছবির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাবেন।অথবা আপনি সরাসরি এখান দেওয়া লিংক এ ক্লিক করে সরাসরি nidw এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। 

প্রথম ধাপ

NIDw এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন। ভোটার আইডি কার্ড চেক করার পদ্দতি fllow করুন।উপরের লিঙ্কে ক্লিক করার পরে অথবা গুগল সার্চের মাধ্যমে nidw ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর আপনি উপরের ছবিটির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাচ্ছেন। ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর আপনি রেজিস্ট্রেশন এবং নিচে লগইন অপশন দেখতে পাবেন।এছাড়াও পাশে আবেদন নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন এখান থেকে নতুনরা ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি এর আগে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করে থাকেন অথবা অনলাইন কপি ডাউনলোড করে থাকেন তাহলে আপনার তখন রেজিস্ট্রেশন করে লাগছিলো।এক্ষেত্রে আপনি লগইন করবেন। আর যদি আপনি এর আগে রেজিস্ট্রেশন করে না থাকেন তাহলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার অথবা স্লিপে উল্লেখিত ফর্ম নাম্বার।রেজিস্ট্রেশন করার জন্য রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করার পর আপনি নিচের ছবির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাবেন। 

দ্বিতীয় ধাপ

রেজিস্ট্রেশন করার জন্য উপরে ছবিটির মতো একটি পেজ এ চাওয়া সকল তথ্য দিয়ে আপনাকে সাবমিট করতে হবে।এক্ষেত্রে প্রথমে ভোটার আইডি কার্ড অথবা ফর্ম নাম্বার নাম্বার বসাতে হবে।এরপর জন্ম তারিখের জায়গায় জন্ম তারিখ বসাতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে দিন তারপরে মাস এরপরে বছর বসাতে হবে। এখানে বলে রাখা ভালো, ফর্ম নাম্বার অপশন তাদের জন্য যারা ভোটার আইডি কারদের জন্য নতুন আবেদন করে ছবি এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট জমা দিয়েছে তাদের জন্য।যারা প্রথমবার ভোটার আইডি কার্ড চেক এবং অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য ফর্ম নাম্বার এবং অরজিনাল জন্ম তারিখ ব্যবহার করবে। এরপর নিচে অস্পষ্ট ক্যাপসা নিচের খালি ঘরে দেখে লিখতে হবে। ক্যাপসা পুরনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।এরপর আপনার ফর্ম এর যাবতীয় তথ্য দেওয়া শেষে এবার চেক করে নিবেন আপনার বসানো তথ্য ঠিক আছে কিনা।এবার আপনি নিচে সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন।সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর আপনাকে পরবর্তী স্টেপে নিয়ে যাবে। পরবর্তী স্টেপে যাওয়ার পর আপনি নিচের ছবিটির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাবেন।

তৃতীয় ধাপ

আপনাকে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা রেনডমলি সিলেক্ট করতে হবে।প্রথমে আপনি আপনার বিভাগ এরপরে জেলা এরপরে উপজেলা সিলেক্ট করতে হবে। 
বেশ, আপনি আরও একধাপ সম্পন্ন করলেন।এবার আপনি পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।

চতুর্থ ধাপ

নম্বর ৩ স্টেপ সম্পন্ন হবার পরে পুনরায় আপনাকে আরও একটি নতুন পেজ ভিউতে নিয়ে যাবে।যেখানে আপনি নিচের ছবিটির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাবেন। উপরের ছবিটির মত একটি পেজ আপনার সামনে শো করবে। যেখানে আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বার দ্বারা শনাক্ত করার জন্য আপনাকে আপনার মোবাইলে ৬ সংখ্যার একটি অলটারনেটিভ কোড পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করতে পারবেন। এবার বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করুন। 

পঞ্চম ধাপ

এবার আপনি নিচের ছবিটির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাবেন যেখানে মোবাইলে পাঠানো ৬ সংখ্যার কোডটি বসাতে বলা হবে। অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে মোবাইল নম্বর ভেরিফাই।এবার বহাল বাটনে ক্লিক করুন।বহাল বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে নতুন পেজ ভিউতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকবে। পেজটি নিচের ছবিটির মতো দেখতে পাবেন। 

ষষ্ঠ ধাপ

ভিউতে আপনাকে ৩ টি নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই ৩ টি নির্দেশনা দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই।এই প্রক্রিয়াটি একদমই সহজ। আপনার মোবাইলের প্লে অপশন থেকে প্রথমে একটি সফটওয়ার ডাউনলোড করতে হবে। উপরের ছবিতে দেখতে পাওয়া পেজের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমেই আপনার মোবাইলে NID Wallet এপ্লিকেশনটি ইন্সটল করতে হবে। এটি আপনি আগেও করে রাখতে পারেন। এরপর আপনার মোবাইল থেকে উপরের ছবির মতো দেখতে পাওয়া QR টি স্কান করতে হবে। এর পড়ে এপ্লিকেশনটি থেকে অটোমেটিক ক্যামেরা ওপেন হবে যেখানে নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে আপনার মুখমণ্ডল ঘুরিয়ে ছবি দিতে হবে। ছবি তোলার সময় স্ক্রিনে নির্দেশনা বাংলায় দেখা যাবে সেই অনুযায়ী করতে হবে।আপনার রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে ভোটার নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে নিম্মক্ত নিয়মানুযায়ী আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যাবে। ডাউনলোড করা যাবে মুহূর্তের মধ্যে। নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন করে ভোটার আইডি কার্ড চেক বা দেখার নিয়ম প্রক্রিয়া শেখা হয়ে গেলো।এবার দেখা যাক আগেই যাদের রেজিস্ট্রেশন করা আছে বা উপরের স্টেপ অনুযায়ী যারা রেজিস্ট্রেশন করলেন তাদের আইডি কার্ড কিভাবে বের করে ডাউনলোড করা যায়।  

ভোটার আইডি কার্ড চেক ও সংশোধন 

এখান থেকে আপনি চাইলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন।একে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন বলা হয়ে থাকে।
আবার আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে ফেললে এখান থেকে রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।এছাড়াও সম্পূর্ণ আসল কপির মতোই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। 
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনি এখানে এডিট অপশনে গিয়ে সংশোধন করে পুনরায় আবেদন করতে হবে।পরবর্তীতে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কপি দেওয়া হবে। উপরের পেজটি আসার পরে এখান থেকে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক থেকে শুরু করে ডাউনলোড করতে পারবেন। 

ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন সময় লাগে?

ভোটার তথ্য হালনাগাদ হওয়ার কত দিন পর ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া যায়?
এমন প্রশ্ন অনেকেই জানতে চান। ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম কি?
এর সাধারন উত্তর হলো, ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করার ২২- ৩০ দিনের মধ্যে উপরের নিয়ম অনুযায়ী আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করে সব ধরনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। 
তবে, কিছু ক্ষেত্রে ৩৫- ৪০ দিন সময় লাগতে পারে। এরপরে যখন হার্ড কপি আপনার থানা নির্বাচন অফিসে আসবে তারা আপনাকে মোবাইলে এসএমএস এর মাধদমে জানিয়ে দিবে এবং প্রতিনিধি মারফত আপনার হাতে পৌঁছে দিবেন।এছাড়াও কোনো কারণে আপনার হাত পর্যন্ত না আসলে আপনাকে থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে খোঁজ করতে হবে।এতে করে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার ভোটার আইডি কার্ডের হার্ড কপি।  

হারানো ভোটার আইডি ডাউনলোড করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে তাৎক্ষনিক ভাবেই প্রথমে আপনার নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে হবে।এরপর এই ডায়েরী (জিডি) স্ক্যান কপি আপলোড করে অনলাইনে আইডি কার্ডের রিইস্যুর আবেদন করতে হবে।
রিইস্যু বিষয়ে উপরে পোষ্টের মধ্যে অনেক সহজ করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবেদন অনুমোদন হওয়ার সাথে সাথেই অনলাইন থেকেই ভোটার আইডি কার্ড/জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে হার্ড কপিও পাবেন উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ