Join Our Telegram channel! name='keywords'/> আউটসোর্সিং করে টাকা ইনকাম করার সহজ ট্রিক্স | How to earn money by outsourcing

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

আউটসোর্সিং করে টাকা ইনকাম করার সহজ ট্রিক্স | How to earn money by outsourcing

ফেসবুক স্ক্রোল করতে করতে অথবা রাস্তায় চলতে ফিরতে প্রায়শই হয়তো “আউটসোর্সিং করুন, স্বাবলম্বী হোন” অথবা “ফ্রিল্যান্সিং করে জীবন বদলে ফেলুন” এমন লেখা চোখে পরে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বেশির ভাগ মানুষই ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং কি? এই সম্পর্কে ধারনা শূন্যের কোটায়, কেউ কেউ ভাসা-ভাসা জানে আর খুব কম সংখ্যক ই সম্পূর্ণ ধারণা রাখে এ ব্যাপারে। আউটসোর্সিং সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই যে প্রশ্ন আপনার মাথায় আসবে তা হলো, আউটসোর্সিং কি? এবং খুব সহজে কিভাবে আয় করতে পারবেন? অথবা কাজ গুলোই বা কি? এবং শুধু মাত্র কি বা কিভাবে প্রশ্নের উত্তর জানাই কিন্তু যথেষ্ট না ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জন্য। যে কোনো কাজে নামার গে সবচেয়ে জরুরি সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা, নিজের স্কিলটা কে আরো একটু ধারালো করে নেওয়া। এতে করে আপনার হতাশ হওয়ার পার্সেন্টেজ যেমন প্রায় শূন্যতে নেমে যাবে তেমন ভাবে কনফিডেন্স ও বুস্ট করবে হাজার গুণ।তাই আউটসোর্সিং কি / কেনো বা কিভাবে এর প্রশ্নের উত্তর তো থাকছেই সাথে খুব সহজেই ঠিক কোন কোর্সটি আপনার টাকা আয় এর পথ আরো মসৃণ করতে সাহায্য করবে সেই তথ্য গুলো ও পাবেন এই আর্টিকেল এ!


আউটসোর্সিং করে টাকা ইনকাম করার সহজ ট্রিক্স | How to earn money by outsourcing


আউটসোর্সিং বলতে কি বুঝায়?

মূলত আউটসোর্সিং বলতে এমন এক ধরনের কাজ আদায়ের প্রক্রিয়া বোঝায় যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন বা কোনো ব্যক্তি নিজের প্রতিষ্ঠানের কাউকে দিয়ে নয় বরং বাইরের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে কাজটি করিয়ে নেয়, অর্থের বিনিময়ে। এমনকি শুধু মাত্র অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ই নয় বরং নিজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে অন্য দেশের কেউ অর্থের বিনিময়ে কাজ করে বা করিয়ে নিতে পারে।আউটসোর্সিং এর মজা বা সুবিধাটা-ই এখানে, আপনি ঘরে বসে যেকোনো সময় যে কোনো পরিমানের কাজ নিতে এবং টাকা আয় করতে পারবেন আবার চাইলে অন্য যে কোনো কাউকে দিয়ে নিজে কাজ করিয়েও নিতে পারবেন।এতে করে যেমন সময়টাকে নিজের মতন ব্যবহার করতে পারবেন তেমন ভাবে কোনো বসের আন্ডারেও কাজের প্রেশার এ ও পরতে হবে না। স্বাধীনভাবে আউটসোর্সিং করে টাকা আয় করা যায় বলেই দিন দিন এর চাহিদা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আউটসোর্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং শব্দ দুটির অর্থ এক ই রকম শোনালেও এর মধ্যে যেমন মিল আছে তেমননি অমিল ও আছে।  ফ্রিল্যান্সিং বলতে কোনো বাধ্যবাধকতা ছাড়া নিজের স্বাধীন মতন, নিজের ক্যাপাসিটি আর প্রয়োজন বুঝে টাকা আয় করাকে বোঝায়। এখানে আপনার রাজ্যের রাজা আপনি ই। পছন্দমতন রেট নির্ধারণ করে কাজ করবেন এবং কাজ শেষে টাকা পাবেন, কাজ না করলে টাকা পাবেন না।  অন্যদিকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সার দ্বারা নিজেদের কাজ টি টাকার বিনিময়ে করে নেওয়ার ব্যাপারটাকেই আউটসোর্সিং বলে। এখানে উল্লেখ যে, ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখানে গড়পড়তা কোনো ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় না। সাধারণত, ফ্রিল্যান্সাররা মান্থলি নির্দিষ্ট পরিমানের কোনো বেতন ফিক্সড করে দেওয়া হয় না। বরং কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক বা টাকা পান। আর আউটসোর্স এজেন্সি ও তেমনিভাবে কাজের বিনিময়ে তাদের ফ্রিল্যান্সারদের পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে।

আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি?

আউটসোর্সিং এর কাজ গুলোর ভেতর ভিন্নতা আছে, ফলে ব্যক্তি বিশেষত যার যেমন ইচ্ছা, দক্ষতা বা ভালো লাগার উপর নির্ভর করে কাজ গুলো বেছে নিতে পারে। মার্কেট প্লেস বা সাইট গুলোতে মূলত কাজগুলো করতে হয়। যেমন:


*ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

*সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট

*এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) 

*ইনফরমেশন সিস্টেম

*অটোক্যাড

*কন্টেন্ট লেখা ও অনুবাদ

*গ্রাফিক্স ডিজাইন

*প্রশাসনিক সহায়তা,

*গ্রাহকসেবা (Customer Service), 

*ডিজিটাল মার্কেটিং

*এনিমেশন ডিজাইন

*ডাটা টাইপিং ইত্যাদি।

যে কোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা ই আপনাকে আউটসোর্সিং করে আয় করতে যথেষ্ট সাহায্য করবে।খুব সহজেই একটি কোর্সের মাধ্যমে ফটোশপে স্কিলড হতে এই Adobe Photoshop CC Masterclass Basics To Advanced কোর্স টি করতে পারেনমার্কেটিং এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে কোনো পণ্য বিক্রয় এমনি সেবা বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও। কারণ এটা অসম্ভব যে মার্কেটিং ছাড়া ই আপনি আপনার পণ্যের প্রচার, প্রসার বা বিক্রয় করবেন। ডিজিটালাইজেশন এর যুগে মার্কেটিং এর বিষয় টাও এখন শুধু কাগজ অথবা টিভি বিজ্ঞাপন এ সীমাবদ্ধ নেই।বরং মার্কেটিং করে নিজ পণ্য ক্রেতার দ্বারে দ্বারে পৌছে দেওয়ার জন্য ও উদ্ভাবিত হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল। যেমন: Social Media Marketing, Content Writing, E-Mail Marketing, Podcast Marketing, SEO ইত্যাদি।তাই মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে যে কোনো বিষয়ে দক্ষতা থাকলেই কিন্তু ফাইবারের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে তাদের পণ্য মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। এমনি কি অভিজ্ঞতা আর দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার আয়ের পরিমান ও কিন্থ বাড়বে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ