Join Our Telegram channel! name='keywords'/> 18 বছর হওয়ার আগে যে জিনিস গুলো জানা জরুরী | এই কাজগুলো করুন জীবনে আফসোস করতে হবে না

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

18 বছর হওয়ার আগে যে জিনিস গুলো জানা জরুরী | এই কাজগুলো করুন জীবনে আফসোস করতে হবে না

সফল হওয়ার সেরা কারণ


প্রায় সবাই বড়দের মুখে এই ধরনের কথা আপনারা শুনে থাকবেন ইশ আমি যদি এটা আগে করতাম যদি এই কাজটা না করতাম তাহলে আমার জীবনটা এরকম হতো না হয়তোবা আমার জীবনটা আরো ভালোভাবে কাটানোর উপযোগী হয়ে উঠতো কি বন্ধুরা ঠিক বললাম তো কথাটা? ।

আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের আল্লায় দিলে অভিজ্ঞতাও বাড়তে থাকে আর ঠিক তখনই আমাদের এরকম বিষয়গুলো মাথায় ঘোরাফেরা করে ইস আমি যদি এটা না করে ওটা করতাম তাহলে আমার লাইফ এখন থেকে বেটার হতো ।


আপনাদের আজকে তাই আমি এরকম পাঁচটা টপিকস নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো যদি আপনারা মেনে চলেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনাদের হয়তো বা অতীত নিয়ে আফসোস করতে হবে না আসুন আমরা বিস্তারিত বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী বাণী গুলো জেনে নেই ।



18 বছর হওয়ার আগে যে জিনিস গুলো জানা জরুরী | এই কাজগুলো করুন জীবনে আফসোস করতে হবে না



১ সকলেই যেটা করছে সেটা কি আমার করা উচিত?


বন্ধুরা আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন প্রতিটা মানুষই কিন্তু আলাদা আলাদা আকৃতির তৈরি করেছে মহান আল্লাহ পাক এবং প্রতিটা মানুষের সবকিছু আলাদা যেমন তার খাবারের রুচি ফিংগারপিন ইত্যাদি মানুষের ক্যারিয়ার গঠনের রয়েছে ভিন্নতা যদি সবার চিন্তাধারা একরকম থাকতো তাহলে পৃথিবী কি আর আলাদা আলাদাভাবে চলত ।

উদাহরণস্বরূপ দেখা গেল আপনার মাঝে প্রচুর পরিমাণে বই পড়ার আগ্রহ রয়েছে হয়তোবা আপনি কবি হতে পারেন কিন্তু আপনি দেখলেন যে আপনার আশেপাশে অনেকেই বা বেশিরভাগ মানুষ এই কাজটি করতাছে না তখন হয়তোবা আপনি এটিকে ভুল মনে করে ছেড়ে দিলেন পরে যখন আপনি বুঝতে পারবেন কিংবা আপনার বয়স যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাবে তখন দেখলেন এই কাজটি করে আরেকজন এগিয়ে গিয়েছে তখন আফসোস করা ছাড়া কি আর কিছু করার থাকবে? ।

তাই নিজের যেটা ভালো মনে হয় কিংবা আগ্রহ রয়েছে যে কাজটি করার সেটি করা উচিত অন্যথায় আপনি সফলতা নাও পেতে পারেন এজন্য সব সময় অন্যের থেকে আইডিয়া নিয়ে নিজের মত করে সেটিকে সাজিয়ে জীবনের ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করাটাই হলো উত্তম কাজ ।


মনে রাখবেন আপনার মনে যেটা চায় সেটা অবশ্যই করা উচিত তবে এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার ওই কাজটা্র দ্বারা যেন আশেপাশের কারোর ক্ষতি না হয় কিংবা ভবিষ্যতে আপনার নিজেরও যেন কোনো ক্ষতি না হয় এই দিকটা খেয়াল রেখে নিজের মন মত এগিয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ ।


২ ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে পিছিয়ে আসো?


দেখুন আপনি যদি ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে শুরু না করেন তাহলে সফলতা আপনি কিভাবে পাবেন মনে রাখবেন সফলতা-ব্যর্থতার ভিতর লুকিয়ে থাকে ব্যর্থতার মাঝে রয়েছে সফলতার রাস্তাটি খুঁজে বের করে সফলতা রাস্তায় চলতে হবে সারা জীবন এই জন্য ভয় পেলে চলবে না এগিয়ে যেতে হবে ।

যারা সফল মানুষ রয়েছেন তারা কিন্তু একদিনে দুদিনে সফলতা পান নি কিংবা একটি দুটি কাজ করে সফলতা পাননি তারা জীবনে অনেক কাজ করেছেন যার বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়েছে একের পর এক তার পরেও সফল মানুষেরা কাজ করে গিয়েছেন ব্যর্থ হয়েছেন কিন্তু হেরে যান নি এগিয়ে গিয়েছেন একটা সময়ে গিয়ে দেখা গেছে কোনো একটি কাজে সফলতা পেয়েছেন আর যার উপর ভর করেই দেখুন সফল মানুষের তালিকায় তার নাম উঠে গিয়েছে এখন আপনি কি করবেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার ।


একজন পিপাসায় কাতর মানুষেই জানেণ তার পানির কতটুকু প্রয়োজন কিংবা পানি কতটুকু মূল্যবান কিন্তু একজন পেটভরা মানুষ কখনই বোঝবেনা পিপাসার কষ্ট-যন্ত্রনা কতটুকু এইজন্য ভয় পেয়ে যদি আপনি কাজ ছেড়ে দেন তাহলে হেরে গেলেন আর যখন হেরে যাবেন তখন কেউ আপনাকে দাম দিবে না কারণ সফল মানুষ ছাড়া অন্য মানুষেরা পাত্তা দেয় না ।


একবার লক্ষ্য করে দেখুন আপনার ভাষাতে যে শিশু সন্তান রয়েছে সে যখন হাঁটতে শিখে তখন দেখবেন তাকে দাড় করিয়ে দিলে বার বার হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় কিংবা দাঁড়াতে পারে না এই ভাবে চলতে চলতে একটি সময় কিন্তু সে দাড়িয়ে যায় আর যখন সে হাটা শিখে যায় তখন তাকে আর কেউ থামাতে পারেনা তখন দৌড়ে এদিক সেদিক চলে যায় ।

আপনি জানেন কি ব্যর্থতা থেকেও অনেক কিছু অর্জন করা যায় কারণ আপনি যে কাজটি করে একবার ব্যর্থ হবেন সে কাজটি হয়তোবা আপনি দ্বিতীয়বার করতে চাইবেন না কিংবা করবেন না এখান থেকে আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন তো বুঝতেই পারতেছেন ব্যর্থতার থেকেও অনেক কিছু শিখার রয়েছে তাই ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে কখনো এগিয়ে যাওয়ার পথ থামিয়ে দেওয়া উচিত নয় ।

আর মনে রাখবেন যে কাজটি করেন না কেন সেটি মন দিয়ে করার চেষ্টা করবেন তাহলেই হয় ভালো রেজাল্ট কিংবা মন্দ রেজাল্ট যেকোনো একটি রেজাল্ট বেরিয়ে আসবে আর যদি আপনি মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে চান তাহলে আপনার সময় নষ্ট হবে এতে আপনার আরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে তাই সব সময় চেষ্টা করে যান পিছনে কি ভুল গুলো ছিল সেগুলো কে গুছিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নামই হচ্ছে সফলতার জীবন ।


৩ প্রথম থেকে বড় হওয়ার আশা করা?


দেখুন আপনার কাছে যদি কোন টাকা-পয়সা তেমন একটা না থাকে যদি আপনি মনে করেন যে আমি বড় একটা শোরুম এর দোকান দেবো যেখানে 15 থেকে 20 লাখ টাকা খরচ হবে এবং আমার ইনকাম হবে প্রতিমাসে 50 থেকে 80 হাজার টাকা তাহলে এই স্বপ্ন কি কখন সফল হবে কিংবা পূর্ণ হবে ।

কখনোই হবে না আর যদি আপনি ছোট কোন একটা ব্যবসা শুরু করেন প্রথম দিকে কিংবা কাজ শুরু করেন যেটা আপনার স্ট্যাটাস অনুযায়ী যায় ব্যবসা কিংবা কাজ করতে করতে যে টাকা বা অর্থ উপার্জন হবে সেগুলো সঞ্চয় করে যদি আপনি দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার মধ্যে দুই থেকে তিন বছরের ভিতর একটি ছোটখাটো ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন তাহলে সফলতা  আস্তে আসতে শুরু করবে আগামী কয়েক বছর পর আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি থেকে উপার্জিত অর্থ বড় কোন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে আরো বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন কিন্তু আপনি যদি চান শুরুতেই বড় ব্যবসা করতে ছোট থেকে তাহলে কখনই সম্ভব হবে না ।

প্রথমে বড় কিছু করতে চাওয়াটাকে বোকামি ছাড়া কিছু বলা আসলে হয় না আপনি যখন অল্প অল্প করে বড় হবেন তখন সেটা স্থায়িত্ব সারাজীবন থাকবে অন্যথায় আপনি ব্যর্থ যখন হয়ে যাবেন তখন সারা জীবন আপনার সেই আফসোস বয়ে বেড়াতে হতে পারে এজন্য সফল হতে গেলে আগে ছোট থেকে শুরু করা উচিত ।


৪ ছোট জিনিসকে বড় করে ভাবা?



দেখুন ছোটবেলায় আমাদের হাত থেকে যদি কেউ বেলুন কেড়ে নিয়ে যেত তাহলে আমাদের মনে হত 
পুরো পৃথিবীটাই যেন আমাদের থেকে কেড়ে নিয়ে গেছে আবার একটু বড় হয়ে যাওয়ার পর কেউ আমাদের থেকে একটি বই নিয়ে যায় তখন আমরা আগের বিষয়টি ভেবে হয়তবা হাসি যে ছোটবেলায় একটি বেলুন নিয়ে গেছিল তাতে কান্না করেছিলাম আর এখন বই নিয়ে গেল তাতেও তো তেমন একটা কিছু মনে হচ্ছে না এটা ভেবে ।

আবার অনেক সময় দেখা যায় ছোটখাটো একটা বিষয় নিয়ে আমরা তর্কে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি অনেক সময় তো ছোট বিষয় নিয়ে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়ে যায় আবার যখন ঠান্ডা মাথায় আমরা সেটি ভাবি তখন আমাদের মনে হয় ইস এ কাজটা না করলেও পারতাম আসলেই এই কাজটা করা উচিৎ হয়নি কী বন্ধুরা কথাটা ঠিক বললাম তো? ।


তাই যখনই আপনারাদেন বুদ্ধিশুদ্ধি কিংবা মাথার কন্ট্রোল হারিয়ে যেতে শুরু করবে তার আগেই নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করবেন এতে করে ছোটখাটো ভুলগুলো থেকে বড় বড় সমস্যা সৃষ্টি হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা যাবে ।


৫ নিজেকে নিয়ে ভাবা?


লক্ষ করে দেখুন আপনাকে নিয়ে আপনি যতটা ভাবেন ততটা কিন্তু আপনার ফ্যামিলির আপনজনরা ভাবেনা মনে রাখবেন আপনি যেমন সারাদিন নিজেকে নিয়ে ভাবতে পছন্দ করেন কিংবা ভেবে জান ঠিক ওরকম ভাবে অন্য কেউ তার নিজের ভাবনাটা নিয়েই ভাবতে ব্যস্ত থাকে যদি আপনি ভাবেন অন্নে আমাকে নিয়ে সারাদিন ভাবুক কিংবা ভাববে এটা ভাবাটাও হবে একটি বোকামি ।

মনে রাখা প্রয়োজন শুধু শুধু অন্য কেউ আপনাকে নিয়ে কখনোই তেমন একটা ভাববে না যদি আপনি তার জীবনের সাথে জড়িয়ে যান হয়তোবা দিনের কোন একটা সময় কিংবা কিছু সময় আপনি তার ভাবনার পাত্র হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে পারেন জাস্ট এতোটকুই এর থেকে বেশি কিছু আশা ককরাট কখনই উচিত নয় ।

তাই আপনার কাজ করার বিষয় নিয়ে অন্যে কি ভাবলো সেটা নিয়ে আপনার বাবার তেমন একটা প্রয়োজন নেই কারণ অন্যকে নিয়ে মানুষ তেমন একটা ভাবে না ভাবলেও খুব কম সময় ভেবে থাকে আর বেশিরভাগ সময় মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়ে নিজেকে নিয়ে ভাবতে তাই অন্য কেউ কি ভাবলো সেটা না ভেবে নিজে কিভাবে সফল হবেন সেটা ভেবে কিংবা পরিকল্পনা করে কাজ করাটাই হল বুদ্ধিমানের কাজ ।


তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা যে কাজটি আপনি শুরু করেন না কেন শুরু করার আগে ভেবে নিবেন নিজের এবং অন্যের যাতে ওই কাজটির কারণে কখনো কোনো ক্ষতি না হয় এইটা ভেবে আপনি কাজ করার সিদ্ধান্তটা গ্রহণ করবেন অন্যথায় আপনার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে কারণ মহান আল্লাহপাক বলে দিয়েছেন যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই সে বিষয়ে অবগত হইওনা ।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ