স্মার্ট ফোন যে বর্তমান সময়ের ছেলেমেয়েদের কতটুকু ক্ষতি করেছে সেটা হয়তো সেই ছেলে মেয়ের মা বাবা ছাড়া কেউ জানে না। তো তাদের মা বাবা থেকে তারাই ভালো জানে যে তারা কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আসলেই স্মার্টফোন আবিষ্কার করা হয়েছে আমাদের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বা আমাদের জীবনের সময়কে বাঁচানোর জন্য কিন্তু বরং আমরা কি করছি সে মোবাইল ফোনের পিছনে সারাদিন শেষ করে দিচ্ছি। কে কেউ গেম খেলে কেউ কেউ লাইভ স্ট্রিম করে ইত্যাদি কাজে সবাই ব্যস্ত।
একবারও কি ভেবে দেখেছেন এই স্মার্টফোন কি জন্য আবিষ্কার করা হয়েছে কেন আবিষ্কার করা হয়েছে। হয়তো যদি ভেবে থাকেন তাহলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করাটা কমিয়ে দেওয়াই ভালো। বর্তমান সময়ে শিশু থেকে বয়স্ক প্রায় সকল মানুষের কাছে এই ফোন দেখা যায়। এই ফোন দিয়ে তারা তাদের সময় বাঁচানোর তো দূরের কথা সময় আরো নষ্ট করে দিচ্ছে। তো আজকে আমি আপনাদের এমন কিছু টিপস দিব যেগুলো ফলো করলে আপনারা স্মার্টফোন ব্যবহার করা কমিয়ে দিতে পারবেন।
তবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার উপরে তার কারণ হলো লাইফ স্টাইল টি হল আপনার আর আমার ব্লগ দেখে হয়তো আপনি আপনার স্টাইল পরিবর্তন নাও করতে পারেন। তবে আমি আশা করব যারা কমাতে চান তারা এই টিপস গুলো ফলো করতে পারেন। আর আপনারা সাথে থাকছেন ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ এর সাথে।
কেন অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করছেন সেটা ভাবুন
বর্তমান সময়ে তো এরকম হয়ে গেছে যে মোবাইল চালানো টি একেকজনের কাছে পেশা হিসেবে হয়ে উঠেছে। হয়তো অন্যান্য কাজের চেয়ে আপনার কাছে মোবাইল ফোনটা পাঠাই বেশি ভালো লাগে তাই হয়তো আপনি এই কাজটি বেশি করেন। মোবাইল ফোন ব্যবহার কমাতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম এটা বুঝতে হবে যে মোবাইল ফোন টেপার কারণে আপনার কি লাভ হচ্ছে। সেটা যদি আপনি সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি ফোনটি বা কমিয়ে দিবেন। আর অতিরিক্ত ফোন টেপা আপনার চক্ষু কিংবা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। সে বিষয়টিও আপনাকে সম্পূর্ণভাবে বুঝতে হবে।
আপনি নিজের কাছে প্রশ্ন করে দেখুন যে এই গেম কিংবা লাইভ স্ট্রিম এসব থেকে সামাজিকীকরণ বেশি ভালো নাকি। যদি আপনি নিজের কাছে এই প্রশ্নটি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি উত্তরটি ও পেয়ে গেছেন আশা করি। তবে হ্যাঁ আমি যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বাদ দিতে বলেছি এরকম টাও না। আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আপনার জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন যেমন ইমেইলের মাধ্যমে, ফোনের মাধ্যমে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
কি পরিমান সময় আপনি ফোন টিপছেন
আসলে এটাই হচ্ছে ফোন টেপা কমানোর একটি অসাধারণ ট্রিকস। সব কিছুরই একটি সময় আছে। আপনি হয়তো ফোন টিপতে পারেন দেখা গেছে ১ থেকে ২ ঘন্টা পর্যন্ত কিন্তু সেটা যদি মাত্রা পেরিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনার ক্ষতি হতে পারে। সে বিষয়টিও আপনার মাথায় রাখতে হবে। তবে আপনি যদি সময় মত কিংবা সময় মেনে ফোন চালান তাহলে হয়তো আপনার ক্ষতির আশঙ্কা কমে যায়। তাই আমি অবশ্যই বলব সময় মতো সব কাজ করে আপনার জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
ফোন না চালানোর ভয়ে কাটিয়ে তুলতে হবে
আপনার যদি এরকমটা মনে হয় যে আপনি ফোন টিপা কমিয়ে দিলে আপনার রুলস এর থেকে কোন একটা কাজ বাদ পড়ে গেল তাহলে আপনি অবশ্যই মনে করবেন যে আপনি ফোনে আসক্ত হয়ে গেছেন। ঠিক তখনই আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে হবে এখন আর এই ফোনটি বিক্রি করব সকল কাজ তো শেষ। তবে হ্যাঁ আপনি দৈনিক রুটিন হিসেবে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন । এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ঐ সকল ব্যক্তিদের সাথে চলাচল করতে হবে যারা আপনার জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। তাদের সাথে চলাফেরার করার ফলে দেখবেন আপনি আস্তে আস্তে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা কমিয়ে দিয়েছে। আর আপনার মনের ভিতরে ভয়ও আস্তে আস্তে কেটে যাবে বলে আশা করা যায়।
শেষ কথা,
তবে মনে রাখতে হবে এই পদক্ষেপটি নির্ভর করবে সম্পূর্ণই আপনার উপর। তার কারণ হলো জীবন হলো আপনার। আপনি এলা কিভাবে পরিচালনা করবেন সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার উপরে। তাই এখানে কিছু টিপস দিয়ে দেওয়া হল যদি ভালো লাগে টিপস গুলো ফলো করে আপনিও মোবাইল ফোন থেকে আসক্তি কমাতে পারেন। আর যদি আর্টিকেল যে ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করে অবশ্যই বন্ধুদের কেউ মোবাইল ফোনটা এবার আসক্তি কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ সকলকে।
0 মন্তব্যসমূহ