আপনি যদি ভেবে থাকেন যে শুধুমাত্র ফ্লিপকার্টের মাধ্যমে আপনি বিক্রয় করে উপার্জন করতে পারবেন বিষয়টি তেমন না এই কোম্পানি থেকে আপনি আরো বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনি চাইলে এখান থেকে কেনাকাটার কাজ চলছে সেরে নিতে পারবেন। আসলে এটি হচ্ছে ই-বানিজ্য ভারতীয় একটি অসাধারণ সংস্থা। যার মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বসেই সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন সহজেই। আর সেখান থেকে ইনকাম করার আরও একটি রাস্তা হচ্ছে ফ্লিকাটের অনুমোদিত প্রোগ্রামের মাধ্যমেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তবে আজকের আর্টিকেলটি আমরা সাজিয়েছি এই ফ্লিপকার্ট সম্পর্কে। যদি আপনারা এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই সাথে থাকুন ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ এর সাথে।
ডিজিটাল বিজনেস ক্যারিয়ার
আসলে ফ্লিপকার্ট কি?
এই ফ্লিপকার্ড হচ্ছে ভারতীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সংস্থা। তবে এটি পুরোপুরি amazon এর মতই। তবে এটি জনপ্রিয়তা শুধু ভারতেই নয় পুরো বিশ্বজুড়ে রয়েছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার অর্ডার কমপ্লিট করছে এই সংস্থাটি। আর এই জন্য রয়েছে তাদের কোম্পানির ভিতরে বিপুল পরিমাণ কর্মজীবী। যারা সঠিক স্থানে পৌঁছে দিয়ে কিছু টাকা ইনকাম করছে সেখান থেকে। তবে এই সংস্থাটি সর্ব প্রথমে ২০০৭ সালে বই বিক্রি করে তাদের সংস্থাটি শুরু করে। তবে এই সংস্থাটি ভারতে বড় কোম্পানির ই বাণিজ্য ওয়েবসাইট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে অ্যামাজনের সাথে এই সংস্থাটি প্রায় প্রতিযোগিতার শুরু করে দিয়েছে।
আরো পড়ুন: পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করার উপায়
জেনে নিন ফ্লিপকার্ট কিভাবে কাজ করে?
আসলে অনলাইনে প্রোডাক্ট সেলিং এর কাজ করে এই ফ্লিপকার্ট টি। তবে হ্যাঁ এই সংস্থাটি সর্বপ্রথমে বই দিয়ে তাদের বিজনেস শুরু করেছিল তবে তারা এখনো সেখানে আটকে থাকে নি তারা তাদের সংস্থার ভিতরে নিয়ে এসেছে ল্যাপটপ ট্যাবলেট ইউএসবি ড্রাইভ ইত্যাদি ভালো মানের প্রোডাক্ট। তারা তাদের গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের এই অর্ডারগুলি কমপ্লিট করে থাকে। আসলে এই ফ্লিপকার্ট টি হচ্ছে একটি অনলাইন ই-কমার্স বিজনেস এর মত। এখান থেকে আপনি প্রায় সকল জিনিসই অর্ডার দিতে পারবেন এবং সময় মতই পেয়ে যাবেন আপনার হাতে। আসলে এই সংস্থাটি বানানোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রাহকরা যাতে ঘরে বসে থেকে কেনাকাটা সম্পূর্ণ করতে পারে।
কিভাবে ইনকাম করবেন স্লিপ কার্ট থেকে?
এই সংস্থা থেকে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই ঘরে বসে থেকে। তাছাড়াও এই কাজের বিনিময়ে আপনি এখান থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা কিংবা তারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে চলুন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা আরো জেনে নেই।
সেখানে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়
আমরা প্রায় সকলেই জানি যে amazon এফিলিয়েট ওয়েবসাইট সম্পর্কে। তবে হ্যাঁ আপনি সেই সেম প্রসেসর ওয়েবসাইটকে কাজে লাগাতে পারেন ফ্লিপকার্টের প্রোডাক্ট সিলিং এর জন্য। তবে ফ্লিপকার্টের সবচেয়ে সুবিধা হচ্ছে এখানে অ্যাপ্রুবের কোন ঝামেলা নেই। তবে একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট বানানোর জন্য আপনাকে সে ওয়েবসাইটের পিছনে অনেক সময় দিতে হবে। আর তার জন্য আপনাকে সে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বেশ কিছু পণ্য বিক্রি করতে হবে এবং সে ওয়েবসাইটের একটি নাম বানাতে হবে। আপনি সে ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যত বেশি বৃদ্ধি করতে পারবেন আপনার ওই ওয়েবসাইটের বিক্রির দামও ততই বৃদ্ধি হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করুন
আপনি অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিতে পারেন flipkart এর প্রোডাক্ট সেল করার জন্য। আপনি ফ্লিপকার্টের একজন ভালো ব্যবসায়ক এ বিষয়টি আপনি যদি আপনার facebook পেজে কিংবা ইমুতে কেকটকে ইউটিউবে ছাড়েন তাহলে অবশ্যই আপনার পণ্যের গ্রাহক বৃদ্ধি পাবে। আর যার কারণে আপনার ওয়েবসাইটের পণ্যের ক্রেতার সংখ্যা অতি দ্রুতই বৃদ্ধি পাবে। তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সততা বাদী হতে হবে। আপনি যদি ভুল করে কোন এক অর্ডার কমপ্লিট না করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের অনেক বড় বদনাম হয়ে যেতে পারে। তাই এদিকে আপনাকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ অনলাইন ইনকাম ভিত্তিক খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন এখানে ক্লিক করে
0 মন্তব্যসমূহ