Join Our Telegram channel! name='keywords'/> ডায়াবেটিস কি?-ডায়াবেটিস কেন হয়?-ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি?

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

ডায়াবেটিস কি?-ডায়াবেটিস কেন হয়?-ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি?

কথায় আছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল কারণ স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে আমাদের কিছুই ঠিক থাকবে না। স্বাস্থ্য ঠিক থাকা হচ্ছে স্রষ্টার একটি অন্যতম বড় নেয়ামত। আমাদের স্বাস্থ্য যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে সকল কাজই ঠিকঠাক মতোই হবে তবে স্বাস্থ্য যদি খারাপ থাকে সকল কাজ আমাদের ঠিকঠাক মতো করতে হলে হিমশিম খেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে বর্তমান সময়ে রোগগুলোর  ভিতরে ডায়াবেটিস একটি কমন রোগ হয়ে উঠেছে। যা কিনা আমরা প্রায়  সকলের মাঝেই দেখতে পেয়ে থাকি।  আমাদের জানা জরুরী যে এই ডাইবেটিস রোগটি আমাদের মধ্যে অনেকের কি জন্য হয়ে থাকে। তো আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো এ ডায়াবেটিস রোগটি আসলে কি? ডায়াবেটিস হলে কি কি করণীয় । তো চলুন আপনি যদি আপনার শরীর ঠিক রাখতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি জুড়ে চোখ রাখুন।


আরো পড়: ১৯টি শারীরিক ব্যায়াম করার উপকারিতা






*তবে এই আর্টিকেলটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের গুরুত্বপূর্ণ  মতের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে।

ডায়াবেটিস আসলে কি ?


*ডায়াবেটিস একটি বিপাক জনিত রোগ। আমাদের শরীরে ইনসুলিন নামের হরমোনের সম্পূর্ণ বা আপেক্ষিক ঘাটতির কারনে বিপাকজনিত গোলযোগ সৃষ্টি হয়ে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং এক সময় তা প্রস্রাবের সংগে বেরিয়ে আসে। এই সামগ্রিক অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে।

*ডায়াবেটিস সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে ।

নাম্বার  1: টাইপ ১


 (টাইপ.১)- এই ধরনের রোগীদের শরীরে ইনসুলিন একেবারেই তৈরী হয় না। সাধারণতঃ ৩০ বৎসরের কম বয়সে (গড়ে বয়স ১০-২০ বৎসর) এ ভিতরে ব্যক্তিদের  ডায়াবেটিস রোগটি   তুলনামূলক বেশি দেখা যায় । সু্‌স্থ্য থাকার জন্য এ ধরনের রোগীকে ইনসুলিন নিতে হয়। এই ধরনের রোগীরা সাধারনত কৃষকায় হয়ে থাকেন।

নাম্বার ২ : টাইপ 2 

 (টাইপ.২)- এই শ্রেণীর রোগীর বয়স অধিকাংশ ক্ষেত্রে ত্রিশ বৎসরের উপরে হয়ে থাকে। তবে ত্রিশ বৎসরের নিচে এই ধরনের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এই ধরনের রোগীদের শরীরে ইনসুলিন তৈরী হয় তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ঠ নয় অথবা শরীরে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যায়। অনেক সময় এই দুই ধরনে কারণে এই ডায়াবেটিস রোগের  লক্ষণ দেখা যায়।এ ধরনের রোগীরা ইনসুলিন নির্ভরশীল নন। অনেক ক্ষেত্রে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন এবং নিয়িমিত ব্যয়ামের সাহায্যে এদের চিকিৎসা করা সম্ভব। এই ধরনের রোগীরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে স্থূলকায় হয়ে থাকেন।

নাম্বার ৩: অন্যান্য নির্দিষ্ট কারণ ভিত্তিক শ্রেণী-

*জেনেটিক কারনে ইনসুলিন তৈরী কম হওয়া ।
*জেনেটিক কারনে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া ।
*অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ ।
*অন্যান্য হরমোনের আধিক্য।
*ঔষধ ও রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শ।
*সংক্রামক ব্যধিত।
*অন্যান্য কোন প্রতিরোধ ক্ষমতার জটিলতা
*এই ধরনের রোগী ক্ষীণকায় ও অপুষ্টির শিকার হয়ে থাকে এবং ইনসুলিন ছাড়া অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে না। এই ধরনের রোগীর বয়স সাধারণত  ৩০ বৎসরের নিচে হয়ে থাকে।

নাম্বার ৪: গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ।

*অনেক সময় গর্ভবতী অবস্থায় অনেক মেয়েদের  ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। আবার প্রসাবের পর ডায়াবেটিস থাকে না। এই প্রকারের জটিলতাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলা হয়। গর্ভবতী মহিলাদের ডায়াবেটিস হলে গর্ভবতী,ভ্রুণ,প্রসূতি ও সদ্য-প্রসূত শিশু সকলের জন্যই বিপদজনক হতে পারে। বিপদ এড়ানোর জন্য গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিসের প্রয়োজনে ইনসুলিনের মাধ্যমে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। এই ধরনের রোগীদের চিকিৎসা  ভালো মানের হাসপাতালে করা প্রয়োজন।

ডায়াবেটিস কেন হয়?


*আমরা যখন কোন খাবার খাই তখন আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে ( গ্লুকোজে ) রুপান্তরিত করে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিসৃত হয়, সেটা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে নির্দেশ দেয় চিনিকে গ্রহণ করার জন্যে। এই চিনি কাজ করে শরীরের জ্বালানী বা শক্তি হিসেবে। শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে অথবা এটা ঠিক মতো কাজ না করে তখনই ডায়াবেটিস হয়। এবং এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমা হতে শুরু করে।

ডায়াবেটিসের থেকে বাচার উপায় 

*বর্তমানে সারা বিশ্বে  ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায়  ৪২ কোটিরও বেশি। যা ৩০ বছর আগের তুলনায় এই সংখ্যা এখন চার গুণ বেশি- এই হিসাব করে আমাদেরকে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন পর্যন্ত  ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ সারানো বা নিরাময় করার কোন কার্যকরী মেডিসিন এখনও বের হয়নি । তবে এ রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা  সম্ভব যদি সঠিক পদ্ধতি গুলো গ্রহন করলে। তবে এখন ডায়বেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিভিন্ন উন্নত মানের হসপিটাল গুলো রয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে অনেক হসপিটাল রয়েছে যেখানে শুধু টাকাই খরচ হবে তাই বুঝেশুনে ভালো মানের  হসপিটালে নিজেকে অথবা  প্রেসেনট নিয়োগ করুন  । বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের  কথা অনুযায়ী আমাদের যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। 


*আঁশবহুল খাবার (ডাল,শাক,সবজি,টক ফল ইত্যাদি) বেশী খেতে হবে।
*উদ্ভিদের তেল,অর্থাৎ সয়াবিন তেল,সরিষার তেল এবং সব ধরনের মাছ খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।
*ওজন স্বাভাবিক রাখতে হবে।
*চিনি-মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।
*চালের আটা দিয়ে তৈরী খাবার,মিষ্টি ফল  কিছুটা হিসেব করে খেতে হবে।
*ঘি,মাখন,চর্বি, ডালডা ,মাংস ইত্যাদি কম খেতে হবে।
* নিয়োমিত ও পরিমাণ মতো সুষম খাবার খেতে হবে।
* নিয়োমিত ও পরিমাণমতো ব্যায়াম বা দৈহিত পরিশ্রম করতে হবে।
*ডাক্তারের পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র সুষ্ঠভাবে মেনে চলতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ