Join Our Telegram channel! name='keywords'/> UK visa information for Bangla review | ২০২৩ সালে লন্ডনে যাওয়ার সহজ পদ্ধতি

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

UK visa information for Bangla review | ২০২৩ সালে লন্ডনে যাওয়ার সহজ পদ্ধতি

লন্ডন হলো ইংল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্য এর রাজধানী, প্রায় ২১ শতক এর একটি শহর এটি, যার ইতিহাস রোমান সময় পর্যন্ত প্রসারিত রয়েছে । এর কেন্দ্রে রয়েছে পার্লামেন্ট এর প্রভাবশালী হাউস, আইকনিক ‘বিগ বেন’ ক্লক টাওয়ার এবং ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে, ব্রিটিশ রাজা রাজ্যাভিষেক এর স্থান সহ আরও অনেক কিছু।টেমস নদীর ওপারে, লন্ডন আই পর্যবেক্ষণ চাকা দক্ষিণ ব্যাঙ্ক এর সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স এবং পুরো শহর এর মনোরম দৃশ্য প্রদান করে থাকে। এই সব কিছুর জন্য লন্ডন ব্যাপক ভাবে বিখ্যাত, তাই প্রতি বছরই হাজার হাজার বাংলাদেশী নাগরিক গন লন্ডন ভ্রমন করার আশায় মগ্ন থাকে। 

তবে ভ্রমন এর পূর্ব মুহূর্তে লন্ডন ভিসা সংক্রান্ত অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেওয়া জরুরী। যেমনঃ ভিসার ধরন, কোন ভিসার খরচ কেমন হতে পারে, ভিসার মেয়াদ কাল কতো সময় থাকবে৷ কোথায় এবং কিভাবে আবেদন করবেন সে সকল নিয়ম গুলো জানা আবশ্যক। আজকের এই আর্টিকেল এ আমরা আপনাদের সেই সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে অবগত করবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক… 


আরো পড়ুন: ধনী হওয়ার সহজ উপায়


UK visa  information for Bangla review   | ২০২৩ সালে লন্ডনে যাওয়ার সহজ পদ্ধতি



*বর্তমান সময়ে লন্ডনের ভিসার তিনটি সেকশন বেশি জনপ্রিয়তা দেখা গিয়েছে।

নাম্বার ১

*লন্ডনের স্টুডেন্ট ভিসার  সময়কালঃ 

আপনার বিশ্ববিদ্যালয় এর ডিগ্রি প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার কমপক্ষে ৪ থেকে ৬ মাস আগে আপনার আবেদন করা উচিত। আপনি আবেদন করার পরে, আপনি আশা করতে পারেন যে ফাইনাল সিদ্ধান্ত এর জন্য প্রায় ২১ দিন অপেক্ষা করবেন।

 *লন্ডনের স্টুডেন্ট ভিসার সময়ের  মেয়াদ

বেশীরভাগ ছাত্র দের জন্য, সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এর মেয়াদ থাকে যেখানে আপনি ডিগ্রি স্তর এর কোর্স (স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা উভয়) অধ্যয়ন এর সময় ছাত্র ভিসায় লন্ডনে থাকতে পারেন।

নাম্বার২


*লন্ডন ওয়ার্ক ভিসার সময়

একবার আপনি অনলাইন এ আবেদন করলে, আপনার পরিচয় প্রমাণ করে এবং আপনার নথিপত্র সরবরাহ করলে, আপনি সাধারণত ৩ সপ্তাহ এর মধ্যে আপনার ভিসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাবেন, যদি আপনি লন্ডন এর বাইরে থাকেন অর্থাৎ বাংলাদেশ -এ থাকেন। 

 *লন্ডন ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদ 

লন্ডনের আইন  অনুযায়ী থাকার জন্য সময়কাল. দক্ষ কর্মী সর্বোচ্চ ৫ বছর এর জন্য দক্ষ কর্মী ভিসা একটি পয়েন্ট-ভিত্তিক ভিসা এবং আবেদনকারীদের তাদের আবেদন বিবেচনা করার জন্য ন্যূনতম ৭০ পয়েন্ট স্কোর করতে হবে। পয়েন্ট গুলি এর উপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়: আপনার কাছে একজন নিয়োগ কর্তার কাছ থেকে স্পনসারশিপ এর প্রশংসাপত্র আছে কিনা।

নাম্বার ৩

*লন্ডনের ফ্যামিলি ভিসার সময়


আপনি আপনার প্রস্থান এর তারিখ এর ৩ মাস আগে পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন এবং আবেদন গুলি ১৫ কার্য দিবস এর মধ্যে ই প্রক্রিয়া করা হয়।

 লন্ডন ফ্যামিলি ভিসার মেয়াদ 

আপনি এই ভিসায় ২ বছর ৯ মাস লল্ডনে থাকতে পারবেন। এর পরে আপনাকে আপনার থাকার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি যদি আপনার ফ্যামিলি ভিসা বাড়ান বা এই ভিসায় চলে যান তাহলে আপনি ২ বছর এবং ৯ মাসের জন্য লল্ডনে থাকতে পারবেন।

*লন্ডনের ভিসা বের করতে আমাদের যে ডকুমেন্ট গুলো লাগবে 


নাম্বার ১ : স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আমাদের ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে ।

* লিগেল ডিজিটাল পাসপোর্ট।
* চার কপি পাসপোর্ট সাইজ এর রঙিন ছবি।
*আপনার পছন্দ মতো যে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় এর অফার লেটার।
*স্কুল এবং কলেজ এর সকল মেইন সার্টিফিকেট, তার পাশাপাশি আগের সকল পরীক্ষার মার্কশিট।
*IELTS স্কোর এর সার্টিফিকেট।
*এপ্লিকেশন ফর্ম। 
*ব্যাংক সলভেন্সির কাগজ পত্র। 
*কানাডা ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম।
*শিক্ষার্থী দের সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র গুলো অবশ্যই ইন্টান্যাশনাল অরগানাইজেশান ফর মাইগ্রেশান থেকে ভেরিফিকাশন করে নিতে হবে।
*স্টুডেন্ট এর লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস। 
*রিকমেন্ডেশন লেটার অথবা মোটিভেশনাল লেটার।
*ডিভি এবং পুলিশ ক্লিয়াররেন্স সার্টিফিকেট।
*কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।




*আগের স্কুল কলেজ এর সকল সার্টিফিকেট এর মেইন কপি এবং ফটোকপি। অবশ্যই সকল সার্টিফিকেট গুলো শিক্ষাবোর্ড এবং কানাডা এর অ্যাম্বাসি থেকে সঠিক উপায়ে সত্যায়িত করে নিতে হবে।


নাম্বার ২ : ওয়ার্কার ভিসার জন্য আমাদের ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হবে।

*ডিজিটাল পাসপোর্ট।
*আসল জন্ম নিবন্ধন সনদ। 
*লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস। 
*কানাডা ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম।
*পাসপোর্ট সাইজ এর রঙিন ছবি।
*কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।
*সকল কাগজ পত্র সমূহ সত্যায়িত হওয়া বাঞ্চনীয়।
*সরকার থেকে স্বীকৃত দেওয়া মেডিকেল ফিটনেস এর সনদ পত্র। 
* ভিসা স্পনসার কারীর আকামার ফটো কপি।
*পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর ফটো কপি।
*বাংলাদেশী ভোটার আইডি কার্ড।

 নাম্বার ৩ : ফ্যামিলি ভিসার জন্য আমাদের ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হবে।

*লিগেল ডিজিটাল পাসপোর্ট।
*লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস।
*কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।
*কানাডা ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম।
*পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
*বাংলাদেশী ভোটার আইডি কার্ড।
*পাসপোর্ট সাইজ এর সদ্য তোলা কয়েক কপি রঙিন ছবি।
*ডিক্লারেশন এর কাগজ।
*সকল কাগজ পত্র সমূহ সত্যায়িত হওয়া বাঞ্চনীয়।
*বিয়ের লিগেল ডকুমেন্টস। 



*আশা করি লন্ডন ভিসা সংক্রান্ত আজকের এই আর্টিকেল টি সম্পুর্ন রূপে পড়ার পরে আপনি লন্ডন ভিসার বিষয়ে সকল প্রকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যা আপনার ভিসা প্রসেসিং এর সময়কাল থেকে শুরু করে লন্ডন সঠিক ভাবে পৌছানো পর্যন্ত সময়কালে প্রয়োজন হবে। সেসব বিষয় খুব সহজে -ই জানতে পেরেছেন। তবে আমরা আপনাকে লন্ডন ভিসা সংক্রান্ত একটি ব্যাপারে এডভাইস করতে পারি তা হলো, অবশ্যই আপনার উচিত হবে যখনই লন্ডন ভ্রমণ করার পরিকল্পনা শুরু করবেন ঠিক তখনই বাংলাদেশ থেকে লন্ডন ভিসা সংক্রান্ত অন্যান্য সকল ধরন এর বিস্তারিত বিষয় সমূহ অবশ্যই সরাসরি ভালো ভাবে যাচাই- বাছাই করে নিয়ে নিবেন।এরপর লন্ডন ভিসা এর প্রসেসিং সংক্রান্ত অন্যান্য সকল কাজ শুরু করবেন। আমরা আশা করি তাহলে আপনার লন্ডন এর বৈধ ভ্রমন টি হবে আরও আনন্দময় এবং মনোমুগ্ধকর।

আর্টিকেলটির বিস্তারিত সম্পতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ