Join Our Telegram channel! name='keywords'/> ধনী হতে চাইলে এই ৪ টি বিষয়ে কারো সাথে শেয়ার করবেন না

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

ধনী হতে চাইলে এই ৪ টি বিষয়ে কারো সাথে শেয়ার করবেন না

 আমাদের সকলের জীবনে অনেক রকমের কথাবার্তা থাকে যেগুলো আমাদের জীবনের সাথে জড়িত হয়ে থাকে। এইসব কথাগুলো আমরা হয়তো অনেক সময় না বুঝে শুনেই সকলের সাথে শেয়ার করে ফেলি বা জানিয়ে দেই। যার ফলে আমাদের উপকার হবে তো দূরের কথা শত্রুরই সংখ্যা আরো দিন দিন বেড়ে যায়। কারণ ভেবে দেখুন মানুষের জীবনে এমন কিছু গোপনীয় কথা বা তথ্য থাকে সেগুলো সব সময় গোপন রাখায় মঙ্গলজনক । যেগুলো হতে পারে আপনার পার্সোনালি বিষয়, আপনার  মাসিক আয় ইত্যাদি। কারণ আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা অন্যের মঙ্গল হোক এমনটা   চায়না। যদিও তারা জেনে যায় তাহলে দেখতে পাবেন তারা অন্যের কাছে আপনাকে ছোট করবে বা সম্মান হানি করে দেবে এই কোয়ালিটির মানুষ সমাজে দেখতে পাবেন অনেক । তবে আমি আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের মাঝে এমন চারটি বিষয় উল্লেখ করতে যাচ্ছি যেগুলো কিনা আপনি অন্যের সাথে আলোচনা না করলে ধনী হতে পারবেন খুব সহজে। তো কথা না ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চলে যাওয়া যাক আজকের এই দুর্দান্ত আকর্ষণীয় চারটি বিষয়ে আর্টিকেলটিতে।


ধনী হতে চাইলে এই  ৪ টি বিষয়ে কারো সাথে শেয়ার করবেন না


নাম্বার ১ : আপনার কাছে কত টাকা-পয়সা রয়েছে কিংবা আপনার ইনকাম কিরকম

আপনি যদি এই কথাটি কারো কাছে বলে দেন তাহলে সেই ব্যক্তি চাবে না যে তার থেকে কেউ এগিয়ে যাক তাই সেই সেটা সহ্য করতে পারবে না। আপনার প্রতি মাসে কি রকম টাকা আয় বা ইনকাম করছেন তা যদি সাধারণত আপনার পরিবারের কারো সাথে আলোচনা করেন তারপরে দেখতে পাবেন তারা কিছুক্ষণ আগে থেকে তৎকালীন সময়ে একটু অন্যরকম ব্যবহার করবে আপনার সাথে। আপনার সব কার্যগলিতেই তারা একটু বিরক্তি ফিল করবে । এবং আপনাদের কাছের মানুষদের সাথে সে আপনাকে ছোট করার চেষ্টা করবে এবং কি আপনার পিছনে আপনার বদনামও করবে। আপনাকে ডমিনেন্ট ও করার চেষ্টা করবে এবং ওই পর্যায়ে থেকে যতগুলো নেগেটিভ পর্যায়ে রয়েছে সকলগুলোই সে ইউজ করবে আপনাকে তার ইনকাম থেকে যেন আপনার ইনকাম  নিচে চলে আসে এমনটাই ঘটে থাকে ৯৯% সময় । এবং এক কথায় বলা যেতে পারে যে সে আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দেবে না। এটা সাধারণত আমাদের জন্মগত অভ্যাস বললেই চলে। কারন আমরা একে অপরের ভালো হোক সে বিষয়টি কোন সময়ই চাই না। আর তখন আরো একটি মহা বিপদে আপনাকে পড়তে হবে যে হল যে ব্যক্তি জানতে পারবে যে আপনার কাছে টাকা রয়েছে তারা আপনার কাছে টাকা হাওলাত নেওয়ার জন্য চলে আসবে । তখন আপনি সকলকে টাকা দিতে পারবে না এবং চাইবে না টাকা দেওয়ার জন্য। তখন দেখতে পারবেন কিছু মানুষ আপনার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। আবার কখনো কখনো সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে । আর যাদেরকে এই হালাত দিবেন তারা দেখতে পাবেন সময় মত টাকা ফেরত দিচ্ছে না। আবার যখন আপনার টাকার প্রয়োজন হবে তখন আপনি তাদের থেকে টাকা পাবেন না। তখন আপনি তাদের উপর বিরক্ত হয়ে যাবেন এবং আপনাদের সম্পর্ক আবার নষ্ট হয়ে যাবে। সাধারণত আমরা জানি যে আপনি যখন টাকা দেবেন তখন নির্ভর করবে আপনার উপর কিন্তু টাকা যখন ফেরত নেবেন তখন নির্ভর করবে যাকে টাকা দিয়েছেন তার উপর। তবে এখানে সকলেই এক নয় কিছু কিছু লোক সময় মত দিয়ে দেয় আবার কিছু কিছু লোক রয়েছে যারা সময় বিলম্ব করে দেয়। তবে যাকে দিবেন সে যদি আপনার বিশ্বাসযোগ্য হয় তাহলে আপনি তাকে টাকা হাওলাত দিতে পারেন।

নাম্বার ২: অর্থ অপ্রয়োজনীয় কাজের নষ্ট করা যাবে না 

আমাদের  মাঝের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই অপ্রয়োজনীয় কাজের টাকা নষ্ট করে ফেলে এবং পরে তার জন্য আফসোস করে । দেখুন একটি সোজা বিষয় হল আপনি যখন টাকাকে ইনভেস্ট করে দেবেন টাকাও আপনাকে তখন ছেড়ে যেতে বাধ্য হবে। আর এর একটি বাস্তব উদাহরণ আপনাদের দেয়া হলো.........

ধরুন কিছুদিন আগে আপনার বন্ধু আপনাকে ফোন দিয়ে বলল তুই আমার বাসায় চলে আসিস আমি আজ সন্ধ্যায় তোকে নিয়ে শপিংমলে কিছু শপিং করতে যাব। তখন আপনিও সেই দিন সন্ধ্যাবেলা তার বাসায় চলে গেলেন । আপনারা দুইজনই শপিং মলে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বা প্রস্তুত হয়ে বাড়ি থেকে বের হলেন। তখন একই অটো আপনাদের মাঝে এলো শপিংমলে নিয়ে যাওয়ার জন্য । তখন আপনার বন্ধু বলল আমাদেরকে শপিংমলে নিয়ে যাবেন আমাদের থেকে কত টাকা ভাড়া নিবে । অটোওয়ালা বলল আমাকে ৩০ টাকা দিলেই হবে কিন্তু আপনার বন্ধু বললো ২৫ টাকার ভাড়া আপনি ৩০ টাকা চাচ্ছেন কেন তখন আপনার বন্ধু ক্ষিপ্ত হয়ে অন্য অটো দিয়ে শপিং মলে গেল। শপিংমলে গিয়ে আপনার বন্ধু একটি টি-শার্ট ক্রয় করল যার মূল্য ছিল ১৬০০ টাকা। তখন আপনি তাকে পরামর্শ দিলেন যে এই টাকা দিয়ে ভালো মানের তো চারটি টি-শার্টই ক্রয় করতে পারতাম আমরা দুজনেই। তখন আপনার বন্ধু বলল যাই হোক এটা তো ব্র্যান্ডের টিশার্ট তাই না। আর এখন আপনি দেখুন আপনার বন্ধু একজন গরীব অটোওয়ালাকছ ৫ টাকা বেশি দিতে চাইল না কিন্তু টি-শার্টটির ব্র্যান্ডের জন্য ১৬০০ টাকা দিয়ে দিল।আমরাও কিন্তু টাকা পয়সার ক্ষেত্রে এইসব বিষয়ের উপর একটু কম লক্ষ্য করি। যার ফলে আমাদের আস্তে আস্তে অর্থের সংকট দেখা দেয়।
আপনার মাথায় আরেকটি বিষয় রাখতে হবে যে আপনার ইনকাম বা আপনি যতই ধনী হন না কেন খরচ করার সময় খুব ভেবে চিন্তে খরচ করতে হবে।

নাম্বার ৩: আপনার বিজনেসের প্ল্যান বা বিজনেসের সম্পর্কে 

আপনি আপনার বিজনেস প্লান বা বিজনেস সম্পর্কে অন্যের সাথে পরামর্শ করবেন না কারণ এমনটাও হতে পারে সে আপনার বিজনেস প্লান বা বিজনেস সম্পর্কে আইডিয়া নিয়ে সে তার নিজের জন্য একটি বিজনেস খুলে নিতে পারে।
কিন্তু সেই ব্যক্তি যদি এই প্লান না করে থাকে তাহলে সে অন্যের সাথে আবার এই বিজনেস প্লান সম্পর্কে আলোচনা করবে । তখন আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন যে আপনি কতটুকু পরিমাণ বিপদে পড়তে পারেন। তাই নিজের প্ল্যান সম্পর্কে কারো সাথে শেয়ার করা যাবেই না। তবে আপনি আপনার ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং যাদের কাছে বললে রিক্স না থাকে তাদের কাছে বললে কোন সমস্যা হবে হবে না।

নাম্বার ‌‌৪: ভেবেচিন্তে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে

 

ধরুন আপনি যদি  এমন কোন অপরচুনিটি পেয়ে যান যেখানে আপনি টাকা পয়সা ইনভেস্ট করলে আর টাকা পয়সার ইনকাম হবে তবে সেখানে তো টাকা ইনভেস্ট করবেন ঠিকই তবে সব টাকা ইনভেস্ট করা যাবে না। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ভুলটি করে ফেলি কোনো ভালো অপরচুনিটি পেলে বেশি টাকা ইনভেস্ট করে বেশি টাকা আয় করার জন্যে। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল কারণ আমরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিন্তু কেউই জানিনা কিংবা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আন্দাজ করে কেউ কিছু বলতেও পারবেনা কারণ হতে পারে আপনি যার সাথে এই অপরচুনিটির প্লান টি নির্ধারণ করেছেন সে হয়তো আপনাকে প্রতারিতার ফাদে ফালাতে চাচ্ছে। তাই সে সব ব্যবসা  সম্পর্কে আগে সম্পূর্ণ জানুন ভুজন সিদ্ধান্ত নিন তারপরেই ইনভেস্ট করুন। এটি একটি বুদ্ধিমত্তার কাজ হিসেবে আপনাকে সাহায্য করবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ