Join Our Telegram channel! name='keywords'/> স্টুডেন্ট ইউনিক ID কি?-স্টুডেন্ট ID Card কিভাবে পাব?-সরকার অনুমোদিত সকল সুযোগ সুবিধা সমূহ

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

স্টুডেন্ট ইউনিক ID কি?-স্টুডেন্ট ID Card কিভাবে পাব?-সরকার অনুমোদিত সকল সুযোগ সুবিধা সমূহ

বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে আর সেটা হল শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। বৈঠা ছাড়া যেমন একটি নৌকা চলতে পারে না ঠিক তেমনি শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি সাধন করতে পারে না। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধি করার জন্য সরকার এর পক্ষ থেকে শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক নজর দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জ্ঞানী জনরা বলে থাকেন ছাত্র জীবন হচ্ছে বীজ বপনের সময়। বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অর্জন করে নিজেদেরকে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীতে পরিণত করছে এবং নিজেদের ক্যারিয়ার গঠন করে নিচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের নিরক্ষরতার হার কিন্তু অনেকটাই কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন উপভোগ করে নিচ্ছে। এখন আবার নতুন করে শিক্ষার্থীদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে সরকার অধিদপ্তরের এর উদ্যোগে আরও একটি মূল্যবান লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি কার্ড বা স্টুডেন্ট ইউআইডি কার্ড প্রদান করা। স্টুডেন্ট ইউআইডি কি এবং কিভাবে আমরা এই ইউনিক আইডি কার্ড জেনারেট করব ? সেটা আপনাদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ( ইউনিক আইডি সংক্রান্ত নোটিশ )




স্টুডেন্ট ইউনিক ID কি?



স্টুডেন্ট ইউআইডি কার্ড কি ?


সহজ ভাষায় বলতে গেলে স্টুডেন্ট ইউআইডি কার্ড হল জাতীয় পরিচয় পত্রের মতো যেখানে স্টুডেন্টদের পরিচয় তুলে ধরা হবে। জাতীয় পরিচয় পত্রে যেমন সামনে এবং পিছনে দুইটি পার্ট থাকে ঠিক তেমনি স্টুডেন্ট ইউআইডি কার্ড এর ক্ষেত্রেও দুইটি পার্ট থাকবে। স্টুডেন্ট ইউআইডি কার্ড এর প্রথম পার্টে আমরা দেখতে পেয়ে যাব শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের নাম , শিক্ষার্থীদের নাম ইংরেজি এবং বাংলায়, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক পিতা এবং মাতার নাম, শিক্ষার্থীদের জন্ম তারিখ। পিছনের পার্টে শিক্ষার্থীদের অ্যাড্রেস এবং প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর এবং তারিখ। এছাড়াও পিছনের পার্টে আমরা কিন্তু একটি কিউআর কোড দেখতে পেয়ে যাব। বাংলাদেশর সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল শিক্ষার্থীদেরকে ইউনিক আইডি কার্ড প্রদান করা হবে। এই ইউনিক আইডি কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিচয় পাওয়া যাবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ইউনিক আইডি কার্ড প্রদান করা সরকারের যুগান্তকারী কর্মকাণ্ড বলেই মনে হয়েছে। এই উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ডিজিটাল বাংলা 360 কোম্পানির পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। ( স্টুডেন্ট ইউনিক আইডি মানে কি ? )


স্টুডেন্ট ইউনিক আইডি কার্ড জেনারেট করার উপায় ?


স্টুডেন্ট ইউনিক আইডি কার্ডে বাংলাদেশ সরকারের লোগো এবং  প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর এর উপর ভিত্তি করে স্টুডেন্টকে আইডি কার্ড দেওয়া হবে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি বা স্টুডেন্ট ইউআইডি কার্ড তৈরি হয়েছে কিনা সেটা জানার কৌতুহলতা আমাদের মধ্যে থাকতে পারে। সেটা কিভাবে আপনারা দেখতে পারবেন সে বিষয়টি আপনাদের মাঝে আলোচনা করা যাক। আপনার প্রতিষ্ঠানে যে শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের ইউনিক আইডি কার্ড তৈরি হয়েছে কিনা সেটা জানার জন্য আপনারা এই লিংক www.banbeis.gov.bd অনুযায়ী গুগলে সার্চ করতে পারেন। এর পর ওয়েবসাইটটিতে যাওয়ার পর CRVS ইনস্টিটিউট লগইন দেখতে পেয়ে যাবেন। CRVS ইনস্টিটিউট লগইনে যাওয়ার পরে আপনারা যদি স্টুডেন্ট আইডি কার্ড জেনারেট করতে চান তাহলে সেখান থেকে ইউজার টাইপ নামের একটি অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করে আপনাদেরকে এডমিন সিলেক্ট করে দিতে হবে। এটা সম্পূর্ণ করার পর আপনারা আপনাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নাম্বার দিবেন এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন অপশনে ক্লিক করবেন। ইআইআইএন এবং পাসওয়ার্ড আপনারা আপনাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়ে যাবেন। লগইন অপশনে ক্লিক করার পর আপনাদের সামনে একটি নতুন ইন্টারফেস চলে আসবে এবং সেখানে নিচের দিকে দেখতে পেয়ে যাবেন uid ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাসটিক্স। সেখানে আপনারা দেখতে পেয়ে যাবেন আপনার প্রতিষ্ঠানের কতজন শিক্ষার্থীর ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হয়েছে এবং কতজন শিক্ষার্থীর ভেরিফিকেশন পেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিষয়াদি গুলো লিস্ট আকারে থাকবে সেখানে যদি দেখতে পান আপনাদের প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে তাহলে কিন্তু আপনারা তাদের ইউনিক আইডি কার্ডে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো এবং ইউ আইডি নাম্বার সহ প্রদানকারী স্বাক্ষর দেখতে পেয়ে যাবেন। আর যদি ভেরিফিকেশন না হয় বা পেন্ডিং অবস্থায় থাকে তাহলে কিন্তু এই ইনফরমেশন গুলো আপনারা পাবেন না। আর যদি আপনাদের প্রতিষ্ঠানের সকল স্টুডেন্টদের ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হয়ে যায় তাহলে দুই নাম্বার অপশনে দেখতে পেয়ে যাবেন স্টুডেন্ট আইডি কার্ড সেখান থেকে আপনারা তাদের ইউআইডি কার্ড গুলোকে জেনারেট করতে পারবেন। সেখান থেকে আপনারা যেই শ্রেণীর স্টুডেন্টদের ইউআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন তাদের ইনফরমেশন দিয়ে আপনারা ইউআইডি কার্ডগুলোকে জেনারেট করতে পারবেন। ( স্টুডেন্ট ইউনিক আইডি কার্ড সুবিধা )




স্টুডেন্ট ইউআইডি কার্ডের মাধ্যমে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে ?


স্টুডেন্ট ইউআইডি কার্ড প্রতিটি শিক্ষার্থী জাতীয় পরিচয় পত্রের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। আমাদের মধ্যে যারা ১৮ বয়সের নিচে রয়েছে তাদের কিন্তু আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র নেই বা থাকেনা। তাদের যদি স্টুডেন্ট আইডি কার্ড থাকে তাহলে কিন্তু তারা রাষ্ট্রীয় বা সরকারের প্রতিটি কাজে স্টুডেন্ট এন আইডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবে। আর এই স্টুডেন্ট এন আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের এনআইডি কার্ড প্রদান করা হবে। অনেক সময় আমরা দেখে থাকি জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ডের ভুল সংশোধনের জন্য আমাদেরকে অনেক হয়রানি শিকার হতে হয় এবং টাকা খরচ করতে হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি স্টুডেন্ট এন আইডি কার্ডের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রহণ করে থাকে তাহলে কিন্তু সেখানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। আর যদিও ভুল হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু সেগুলো সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। স্টুডেন্ট এন আইডি কার্ড প্রদান করা সরকারি অধিদপ্তরের একটি ডিজিটাল পরিকল্পনা। আর ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্ট এনআইডি কার্ড কার্যক্রম চালু হয়ে যাবে। ( স্টুডেন্ট ইউনিক আইডি দিয়ে কি হবে ? )



স্টুডেন্ট ইউনিক আইডি কার্ডের রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফরম পূরণ করব কিভাবে ?


শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ইউনিক আইডি তৈরি করার জন্য সবার প্রথমে তাদেরকে ফরম পূরণের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য রেজিস্ট্রেশন ফর্মে আপনারা কিভাবে সম্পূর্ণ ইনফরমেশন বা ডকুমেন্ট গুলো দিবেন সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো । ( ইউনিক আইডি ফরম পূরণের নিয়ম )



রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনাদেরকে রেজিস্ট্রেশন ফরমের সাথে কিছু ইনফরমেশন বা ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। আর সেগুলো হল।

১/ দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে। ছবির সাথে শিক্ষার্থীর সম্পূর্ণ নাম এবং শ্রেণী রোল লিখে দিতে হবে।

২/ শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি জমা দিতে হবে।

৩/ শিক্ষার্থীর পিতা এবং মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দিতে হবে।

৪/ পিতা এবং মাতার যদি জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিলে চলবে।

৫/ পিতা এবং মাতা যদি মৃত হয় তাহলে অভিভাবকের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।



এই ইনফরমেশন গুলো আপনাদেরকে রেজিস্ট্রেশন করার সময় আবেদন ফরমের সাথে জমা দিতে হবে। আর এখন আপনাদের সামনে বিস্তারিত বিষয়গুলো বুঝিয়ে দেওয়া হলো আপনারা কিভাবে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করবেন সঠিকভাবে। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফরমে আপনাদেরকে কাগজে কলম দিয়ে লিখে দিতে হবে এবং ভরাট করে নয় টিক চিহ্ন দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। এখন আপনাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই ফরমটি আমরা কিভাবে সংগ্রহ করবো? উপরে আপনাদেরকে একটি ওয়েবসাইট লিংক দেওয়া হয়েছে সেই ওয়েবসাইট থেকে আপনারা ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সবার মোবাইলে PDF ফাইলটি সাপোর্ট নাও করতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনারা google ড্রাইভ এপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে নিবেন।

১ / রেজিস্ট্রেশন ফরমের উপরের দিকে ডান পাশে আপনাদেরকে পাসপোর্ট সাইজের ছবি যুক্ত করতে হবে এবং ডান পাশে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নাম্বার দিতে হবে। সেখানে আপনি যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লেখাপড়া করে যাচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নাম্বার দিতে হবে।

২ / এরপরে যেখানে শিক্ষার্থীর মৌলিক তথ্য রয়েছে সেখানে আপনাদেরকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে এবং সেখানে প্রথমেই আপনাদেরকে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ এর সাথে মিল রেখে যাবতীয় ইনফরমেশন গুলো দিতে হবে।

৩ / প্রথমেই আপনারা দেখতে পেয়ে যাবেন শিক্ষার্থীর নাম। এখানে শিক্ষার্থীদেরকে বাংলায় তাদের নাম লিখতে হবে এবং বাংলায় নাম লেখার পর নিচে ক্যাপিটাল বা বড় হাতের অক্ষর ব্যবহার করে আপনার নামটি ইংরেজিতে লিখতে হবে।

৪ / এরপরে শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধনের ১৭ ডিজিটের নাম্বার দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফরমে ১৭ টি ফাঁকা ঘর রয়েছে সেখানে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন এর ১৭ ডিজিটের নাম্বার গুলো এক এক করে পূরণ করে দিতে হবে।

৫ / সেটা দেওয়ার পর আপনাদেরকে আপনাদের জন্ম সনদ অনুযায়ী জন্ম তারিখ দিয়ে দিতে হবে। জন্ম তারিখ দেওয়ার সময় অবশ্যই একটু কেয়ারফুল থাকবেন তার কারণ হল এখানে অনেকেই ভুল করে থাকে। দিনমাস এবং বছরকে ঠান্ডা মাথায় দিয়ে দিবেন।

৬ / জন্ম তারিখ দেওয়ার পর আপনাদেরকে জেলার নাম লিখতে হবে অর্থাৎ সেটা যদি আপনাদের জানা না থাকে তাহলে জন্ম সনদ থেকে দিতে পারেন দেখে দেখে। এটা দেওয়ার পরে আপনাদেরকে জেন্ডার অপশনে টিক চিহ্ন দিতে হবে অর্থাৎ আপনি যদি পুরুষ হয়ে থাকেন তাহলে পুরুষ অপশনে টিক চিহ্ন দিবেন আর যদি মহিলা হয়ে থাকেন তাহলে মহিলা অপশনে টিক চিহ্ন দিবেন। এর পরে আপনাদেরকে আপনাদের নিজস্ব জাতীয়তা বেছে নিতে হবে যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশি অপশনের উপর টিক দিয়ে দিবেন আর যদি অন্যান্য দেশের হয়ে থাকেন তাহলে অন্যান্য দেশের উপর টিক চিহ্ন দিবেন।

৭ / এরপরে আপনাদেরকে ধর্ম সিলেক্ট করে সেখানে টিক চিহ্ন দিতে হবে। আপনারা যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারে হয়ে থাকেন তাহলে ইসলাম ধর্মের উপরে টিক চিহ্ন দিয়ে দিবেন। সহজ কথায় আপনার ধর্মের উপরে আপনি টিক চিহ্ন দিয়ে দিবেন।

৮ / এরপরে আপনাদেরকে অধ্যায়নরত শ্রেণীর উপরে টিক চিহ্ন দিতে হবে। সরকার ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেরকে ইউনিক আইডি কার্ড প্রদান করবে। সেক্ষেত্রে আপনারা যদি সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে সপ্তম শ্রেণীর উপর টিক চিহ্ন  দিবেন আর যদি দ্বাদশ শ্রেণীর হয়ে থাকেন তাহলে দ্বাদশ শ্রেণীর উপর টিক চিহ্ন করে দিবেন। মোটকথা আপনি আপনার অধ্যায়নরত শ্রেণীর উপরে টিক চিহ্ন দিয়ে দিবেন।

৯ / এরপরে আপনাদেরকে শ্রেণী রোল নম্বর লিখতে হবে অর্থাৎ সেখানে তিনটি শূন্যস্থান থাকবে এক্ষেত্রে আপনাদের শ্রেণির রোল যদি দুই সংখ্যা হয় তাহলে আগে একটি শূন্য ব্যবহার করে আপনার শ্রেণীর রোল লিখে দিবেন।

১০ / এই কাজটি করার পর আপনাদেরকে আপনাদের বৈবাহিক অবস্থার উপর টিক চিহ্ন দিতে হবে। আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে বিবাহিত এর উপরে টিক চিহ্ন দিবেন আর যদি অবিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে অবিবাহিত এর উপরে টিক চিহ্ন দিবেন।

১১ / এরপরে আপনাদের মধ্যে যদি কেউ শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে থাকেন তাহলে তাহলে সেগুলোর উপরে টিক চিহ্ন দিয়ে দিবেন আর যদি এই ধরনের কোন সমস্যা না থাকে তাহলে সমস্যা নেই অপশনে টিক চিহ্ন করে দিবেন।

১২ / অতঃপর আপনাদেরকে আপনাদের যার যার রক্তের গ্রুপের উপর টিক চিহ্ন দিয়ে দিতে হবে। আপনাদের রক্তের গ্রুপ যদি এ পজেটিভ হয় তাহলে এ পজেটিভ এর উপর টিক চিহ্ন দিতে হবে।

১৩ / এরপরে আপনারা যদি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা চাকমা, গারো, মারমা বা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর হয়ে থাকেন তাহলে হ্যাঁ অপশনের উপর টিক চিহ্ন করুন আর যদি ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী না হয়ে থাকেন তাহলে না অপশনের উপর টিক চিহ্ন করে দিবেন। আর এই কাজটি সম্পূর্ণ করার মধ্য দিয়ে কিন্তু আপনাদের 'ক' অংশের information দেওয়া শেষ হলো।

১৪ / এরপরে শিক্ষার্থীদের মাতার এনআইডি কার্ড অনুযায়ী তাদের মাতার এনআইডি কার্ডের নাম্বার , শিক্ষার্থীদের মায়ের নাম বাংলায় এবং ইংরেজিতে, শিক্ষার্থীদের মাতার এন আইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্ম সনদের নাম্বার ও জন্মতারিখ এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে দিতে হবে। আর যদি শিক্ষার্থীদের মাতা মৃত্যুবরণ করে থাকে তাহলে মৃত্যু সাল উল্লেখ করতে হবে।




১৫ / শিক্ষার্থীদের মাতার ইনফরমেশন গুলো দেওয়ার পর ঠিক একই ইনফরমেশন গুলো শিক্ষার্থীদের পিতার অপশনেও দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের পিতার নাম বাংলায় এবং ইংরেজিতে, এনআইডি কার্ড এবং জন্ম সনদের নাম্বার, মোবাইল নাম্বার এবং জন্ম তারিখ আর যদি পিতা মৃত্যুবরণ করে থাকে তাহলে মৃত্যুর সাল লিখে দিতে হবে।

১৬ / এরপরে শিক্ষার্থীদেরকে স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানায় জেলার নাম, উপজেলার নাম ,গ্রামের নাম, ইউনিয়নের নাম, মৌজার নাম , ওয়ার্ড নম্বর, সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা, বাসার হোল্ডিং নম্বর লিখে দিতে হবে।

১৭ / শিক্ষার্থীদের অভিভাবক পিতা এবং মাতা উভয় যদি মৃত্যুবরণ করে থাকে তাহলে অভিভাবক এর জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এবং জন্ম সনদ নাম্বার এর পাশাপাশি অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার দিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও অভিভাবকের সাথে শিক্ষার্থীর কি সম্পর্ক রয়েছে সেটার উপর টিক চিহ্ন দিতে হবে অভিভাবক যদি শিক্ষার্থীর ভাই হয় তাহলে ভাই অপশনে টিক চিহ্ন দিতে হবে আর অভিভাবক যদি চাচা হয় তাহলে চাচা অপশনে টিক চিহ্ন দিতে হবে। 

১৮ / এরপরে দেখা যাবে শিক্ষার্থীর কনফার্মেশন নম্বর এবং ইউনিক আইডি নম্বর অপশন তো সেখানে পরীক্ষার্থীদের পূরণ করার কিছু নেই। এটা মূলত প্রতিষ্ঠানের অফিস পূরণ করে থাকবে।

১৯ / এরপরে দেখতে পাওয়া যাবে শিক্ষার্থীদের অধ্যায়ন সম্পর্কিত তথ্য তো এখানে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠানের নাম লিখতে হবে। এখানে আপনাদেরকে উল্লেখ করতে হবে শ্রেণীর রোল এবং ভর্তির তারিখ। এছাড়াও আপনাদেরকে উল্লেখ করতে হবে পূর্ববর্তী শ্রেণীর ফলাফলও জানাতে হবে অর্থাৎ যদি এখন ক্লাস এইটে পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ক্লাস সেভেনের ফলাফল গুলো লিখতে হবে।


২০ / এছাড়াও আপনাদেরকে ২০২০ সালের শ্রেণীর শিক্ষক প্রদত্ত বিদ্যালয়ের উপস্থিতির দিন উল্লেখ করতে হবে মাস অনুযায়ী। জানুয়ারি মাসে আপনি কতদিন উপস্থিত ছিলেন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে আপনি কত দিন উপস্থিত ছিলেন এভাবে করে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ।

২১ / এরপরে আপনারা যদি স্কাউট বা রেড ক্রিসেন্ট সংস্থার সাথে যুক্ত থাকেন তাহলে সেটার উপর টিক চিহ্ন দিয়ে দিবেন।

২২ / এরপরে এখানে আপনাদেরকে আপনাদের যার যার শখ এর উপর টিক চিহ্ন দিতে হবে যদি আপনারা বই পড়তে ভালোবাসেন তাহলে বই পড়ার পরে দিবেন আর যদি খেলাধুলা করতে পছন্দ করেন তাহলে খেলাধুলার উপরে টিক চিহ্ন দিবেন।

২৩ / এরপরে শিক্ষার্থীদের ক্যাটাগরি এর উপর ঠিক চিহ্ন দিতে হবে অর্থাৎ আপনি যদি কর্মজীবী হয়ে থাকেন তাহলে কর্মজীবীর উপরে টিক চিহ্ন দিতে হবে আর এতিম হয়ে থাকেন তাহলে এতিম অপশন এর উপর টিক চিহ্ন দিয়ে দিবেন।

২৪ / এরপরে আপনাদেরকে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর স্থানে আপনাদের স্বাক্ষর দিতে হবে এবং তারিখ দিতে হবে আর নিচে যা রয়েছে সেখানে আপনাদেরকে আর কোন কিছু পূরণ করতে হবে না সেগুলো শ্রেণি শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের অফিস পূরণ করবে।


উপরে আপনাদেরকে যে ইনফরমেশন গুলো দিতে হবে সে ইনফরমেশন গুলো অবশ্যই ঠান্ডা মাথায় দিবেন তার কারণ হলো এখানে যদি আপনার ইনফরমেশন ভুল হয় তাহলে ভবিষ্যতে কিন্তু আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা এন আইডি কার্ডে কিন্তু ইনফরমেশন ভুল আসবে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাদেরকে অনেকটা হয়রানি হতে হবে। এখন সরকার ব্যবস্থার এই পরিকল্পনাটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। যারা শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের জন্য এই ইউনিক আইডি কার্ড কি কি সুবিধা এনে দিতে পারবে বলে আপনাদের ধারণা রয়েছে সেটা শেয়ার করতে পারেন আমাদের সাথে আপনার মূল্যবান মতামতটি কমেন্ট করে। 



স্টুডেন্টরা সহজে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার জন্য এখানে ক্লিক করে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ