Join Our Telegram channel! name='keywords'/> বাদামওয়ালার জীবন কাহিনী | বাদামওয়ালার আসল বাড়ি কোথায়?

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

বাদামওয়ালার জীবন কাহিনী | বাদামওয়ালার আসল বাড়ি কোথায়?

বর্তমানে এমন একটা যুগে আমরা বাস করতেছি যে যুগে যে কখন কে ভাইরাল হয়ে যায় সে জিনিসটা আসলে আগে থেকে বলা মুশকিল আগে একটা সময় শুধু যারা সুপার স্টার থাকতো বা ছিল তারাই শুধু ভাইরাল হতো কিন্তু এখন যুগ পালটে গেছে এখন যে কেউ হুটহাট করে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে । (বাদাম আলার জীবন কাহিনী)

এইতো বেশিদিন আগের কথা নয় এক যুগ আগের কথাই তখন ভাইরাল হতো কোন নায়ক-নায়িকা খেলোয়াড় এই ধরনের বিশেষ কোন ব্যক্তি কিংবা গুষ্টি কিন্তু এখন সাধারণ একজন মানুষ হুটহাট করে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ।


এর আগেও আপনারা শুনেছেন হিরো আলমের কথা যিনি হুটহাট করে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন মধু হই হই এই গানটি গেয়ে ও একটি শিশু শিল্পী ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এখন এক বাদামওয়ালা গান গেয়ে ভাইরাল হয়ে গেছে বিষয়টা কি স্বাভাবিক মনে হচ্ছে আপনাদের কাছে? চাইলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।

অনেক শিল্পী রয়েছেন যারা বছরকে বছর সাধনা করে ভাইরাল হতে পারছেন না অথচ একজন ফেরিওয়ালা থেকে এখন প্রথম সারির শিল্পী হয়ে গিয়েছেন বলা চলে অনেকটা এই বাদামওয়ালা এখন সুপারস্টার কন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউটিউব টিকটক ফেসবুকে ঢুকলেই এখন বাদাম কাচা বাদাম এই গানটি ছাড়া যেন আর কোন কিছু পাওয়া যাচ্ছেনা এমন একটা অবস্থা ।

আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব এই বাদামওয়ালার ভাইরাল হওয়ার পিছনে কারন গুলো এবং এই ভাইরাল বাদামওয়ালার বাড়ি কোথায় এবিষয়টি অনেকে জানেন না এ বিষয়টিও আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব অর্থাৎ বাদাম আলার জীবন কাহিনী আজকে তুলে ধরার চেষ্টা করব । (বাদাম ওয়ালার জীবন কাহিনী)


বাদামওয়ালার জীবন কাহিনী | বাদামওয়ালার আসল বাড়ি কোথায়?


কে এই বাদামওয়ালা?



লক্ষ করলে দেখা যায় বিভিন্ন বাদামওয়ালা মুড়িওয়ালা ফুচকাওয়ালা এধরনের লোকজন যারা ফেরি করে পণ্য বিক্রি করে থাকে খাবারের তারা বেশিরভাগই হেঁটে হেঁটে মানুষের কাছে এগিয়ে গিয়ে তাদের খাবারের পণ্যগুলো বিক্রি করে থাকে । এই বিষয়টি আমাদের অনেকেরই চোখে পড়ে কিন্তু ঐ যে কথায় বলেনা ডিজিটাল হয়ে গেলে আসলে অনেক ছোট কিছু ডিজিটাল হয়ে যায় ওরকমই হয়ে গিয়েছে, হয়তোবা আপনারা জেনে থাকবেন উন্নত বিশ্ব গুলোতে যারা ভিক্ষা করে তারাও কিন্তু বিভিন্ন একটা স্টাইল নিয়ে কাজ করে ভিক্ষা করে যেটা আমাদের দেশের সচরাচর দেখা যায় না ।

অর্থাৎ সহজভাবে বলতে গেলে মানুষকে আনন্দ দিয়ে কিংবা ভিন্ন কিছু উপস্থাপন করে তারা ভিক্ষা করে থাকে কিংবা তাদের বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে থাকে । এমনই সেই বিষয়গুলো এখন বলা চলে ডিজিটালের কল্যাণে অনেক দেশে হতে চলেছে একজন দরিদ্র পরিবারের সন্তান এই বাদামওয়ালা তিনি পেটের দায়ে বাদাম বিক্রি করে থাকেণ । তাও আবার কাচা বাদাম এটা তার গানেতে বলা রয়েছে (কাচা কাচা বাদাম আমার কাছে পাবেন কাচা বাদাম আমার কাছে পাবেন না আপনারা ভাজা বাদাম) এটা তিনি আবার গানের সুরে সুরে বলে থাকেন কারণ সত্যিই তিনি অরজিনাল কাচা বাদাম বিক্রি করে থাকেন ।

এই বাদাম ওয়ালার নাম অনেকেই আমরা জানি না এই বাদাম ওয়ালার নাম হচ্ছে ভুবন বাদ্যকর তিনি পেশায় একজন বাদামওয়ালা সেটা আপনারা ইতি পূর্বে আগে জানতে পেরেছেন তিনি তার পুরোনো মোটরসাইকেলে করে বিভিন্ন জায়গাতে গিয়ে গান গেয়ে গেয়ে বাদাম বিক্রি করে থাকেন ।

এই বাদামওয়ালা মানুষকে আকর্ষণ করার জন্য বা মানুষকে একটু ভিন্ন কিছু দেওয়ার জন্য তিনি গান গেয়ে গেয়ে বাদাম বিক্রি করে থাকেন তাঁর এই গান শোনার জন্য অনেকে আকৃষ্ট হয়ে তার বাদামের কাছে চলে আসেন অনেকে বাদাম কিনে ণেণ । 

শুধু টাকা দিয়েই বাদাম বিক্রি করেন এমনটা নয় তিনি পুরানো প্লাস্টিক যেমন মোবাইলের কাবার  হাতের বালা মাথার চুল ইত্যাদি পুরানো সামগ্রীর মাধ্যমে তিনি কাচা বাদাম বিক্রি করে থাকেন কাস্টমারের কাছে । কিন্তু তিনি এইসব বস্তু দিয়ে তৈরি করে ফেলেছেন এমন জনপ্রিয় গান যেটি এখন পৃথিবীজুড়ে মাতাচ্ছে পুরো সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে ।


এখন তো এই বাদাম বিক্রেতার বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন নানা জায়গা থেকে হাজার হাজার মানুষ বলতে গেলে এখন তিনি হয়ে উঠেছেন সুপারস্টার যেটা শাকিব খান কিংবা সালমান খানের কাছেও এত মানুষ কখনও যান নি যত মানুষ এই বাদাম ওয়ালার কাছে যান দেখা করার জন্য । এমনটাই কেউ কেউ কথার ছলে আবার বলে থাকেন এই বাদামওয়ালার জনপ্রিয়তা দেখে ।

এই বাদাম বিক্রেতার রয়েছে একটি মাটির ঘর যেখানে তিনি খুবই নিম্নমানের দরিদ্রতার সাথে জীবনযাপন করে থাকেন আসলে সেই বাড়িটি দেখলে যে কেউ মনে অনেক কষ্ট অনুভব করবে কারণ তিনি একেবারে দরিদ্র ভাবে জীবন যাপন করে যাচ্ছেন ।

এই সোশ্যাল মিডিয়া সুপারস্টারের রয়েছে মোট তিনজন সন্তান দুটি ছেলে একটি মেয়ে সন্তানের অধিকারী তিনি সাথে রয়েছে তার বউ এই নিয়ে আসলে জীবন যাপন কিংবা পরিবার রয়েছে তার আল্লাহ দিলে কাটাচ্ছেন দিন দুনিয়ার সময় । এই ভুবন বাদামওয়ালা জানান প্রতিদিন আমি গান গেয়ে গেয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাদাম বিক্রি করে থাকি প্রতিদিন আড়াইশো থেকে 300 টাকা হয় আমার রোজগার এই দিয়ে আমি সংসার চালিয়ে থাকি ।


এই সোশ্যাল মিডিয়ার সুপারস্টার আরো জানান প্রতিদিনের মত আমি বাদাম বিক্রি করতে গিয়েছিলাম একটি গ্রামে সেখানে আমার গান শুনে একটি ছেলে সেই গানটি কে ক্যামেরা বন্দী করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে দেয় তার পরের কাহিনী তো আপনারা জানেন । তিনি আরো বলেন এখন অনেকটা ভালো লাগছে যে আমার গাওয়া গান এখন পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি মানুষ শুনছেন এবং আমাকে সম্মান করছেন ।

এই সোশ্যাল সুপারস্টার আরো জানান যদি আপনারা আমাকে সুযোগ দেন তাহলে আমি নতুন আরও বেশকিছু গান তৈরি করে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করতে পারি যদিও আমি কোন দিন গান শিখি নি তারপরও আপনাদের জন্য আমি নতুন গান তৈরি করতে চাই এরকমটি জানিয়েছেন ভাইরাল বাদামঅলা ।


বাদাম আলার বাড়ি কোথায়?



অনেকে মনে করেন এই নতুন ভাইরাল বাদামওয়ালার বাড়ি হচ্ছে বাংলাদেশ এ কিন্তু অনেকেই শুনে আশ্চর্য হবেন যে তার বাড়ি কিন্তু বাংলাদেশে নয় । এই বাদাম সুপারস্টার বাড়ি হচ্ছে মূলত কলকাতায় অর্থাৎ ইন্ডিয়াতে এখন কথা হচ্ছে কিভাবে তিনি ইন্ডিয়ার বাসিন্দা হয়ে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশেষ ভাবে ভাইরাল হয়ে গেলেন? ।

এই বাদামওয়ালা তিনি একজন হিন্দু পরিবারের সন্তান তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন ইন্ডিয়াতে তারপরও এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন যেন বাংলাদেশের কাছে ।

ইন্ডিয়াতে টিকটক কে ব্যান করে রাখা হয়েছে এ কারণে ইন্ডিয়াতে এখন টিকটক দেখা যাচ্ছে না এই বাদামওয়ালার গানটি ভিডিও করে কোন একজন সেটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে পরে ও টিক টিক এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায় তার পরে তো যা ঘটেছে পুরোটাই ইতিহাস ।


এখন অনেককেই দেখা যাচ্ছে এই ভাইরাল বাদাম আলার কাছে বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটে যাচ্ছেন ভিডিও বানানোর জন্য এইতো কিছুদিন আগে আমাদের দেশের মজার টিভি নামে একটি ইউটিউব কর্ণধার গিয়েছিলেন ইন্ডিয়াতে সেখানে গিয়ে তিনি বাদামওয়ালার বিভিন্ন গান কিংবা তার বাড়ির দৃশ্য ধারণ করে সেটি চ্যানেলে আপলোড করে দেন ।

এখানেই শেষ নয় লক্ষ করলে দেখা যায় এখন বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন গুলোতে এই বাদামওয়ালার নিউজ প্রকাস গুরুত্বসহকারে প্রচার করা হচ্ছে কিংবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশ হচ্ছে তার জীবন কাহিনী নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন ।

কিন্তু কথা হচ্ছে এতে করে তো অন্যান্য বিভিন্ন দেশের সোশ্যাল মিডিয়ার কর্ণধারদের এবং বিভিন্ন গনমাধ্যমের কর্ণধারদের লাভ হচ্ছে কারণ তাদের ভিডিও চলছে চেনেলের গ্রোথ বাড়ছে তবে এতে করে কিন্তু ভাইরাল ভাদামইয়ার এক টাকাও লাভ হচ্ছে না ।

কারণ সবাই শুধু তার গান ভিডিও করে কিংবা তার বাড়ি ভিডিও করে এনে সেটিকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়াচ্ছে বেশি বেশি ভিউ পাওয়ার আশায় কিন্তু তাকে দিচ্ছে না কোনো অর্থ বা টাকা তাহলে বাদামওয়ালার আসলে এখানে লাভ কি? ।

যদি এরকম কেউ মহৎ লোক থাকেন যে অসহায় বাদাম ওয়ালা কে কিছু হলেও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবেন তারা করতে পারেন শুধু ভিডিও বানিয়ে নিজের লাভের আশায় গিয়ে শুধু বাদাম ওয়ালা কে দিয়ে কাজ করিয়ে নিলে চলবে না । এই বাদাম আলার রয়েছে কিছু পাওয়ার অধিকার সেটা তাকে দেওয়া টা আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় উচিত ।

এখন এই ভাদামইয়ার গানকে কিন্তু বিভিন্নভাবে ডিজে সিস্টেমে তৈরি করা হয়েছে যেমন বাংলাদেশে তৈরি করা হয়েছে ও সখিনা গেছস কিনা ভুইলা আমারে আমি এখন বাদাম বেশি ঢাকার শহরে এই শিরোনামে একটি গান প্রকাশ করেছে যে গানটি ইতিপূর্বে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে বিভিন্ন দর্শকমহলে । (বাদাম বাদাম ডিজে সং)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ