Join Our Telegram channel! name='keywords'/> সকালে ব্যায়াম করার অসাধারণ কিছু উপকারিতা জেনে নিন | Benefits of morning exercise

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

সকালে ব্যায়াম করার অসাধারণ কিছু উপকারিতা জেনে নিন | Benefits of morning exercise

আমাদের দেশে খুব পুরানো কালের লোকেরা শরীর সতেজ রাখতে সকালে অনুশীলন, যোগব্যায়াম করে আসছেন । তবে আজকের যুবকরা তাদের কাজ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে তারা সকালে অনুশীলন করার সময় পায়ে না, যেই কারণে অনেক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মানুষের শরীর বাঁচিয়ে রাখতে যেমন খাদ্য যেমন প্রয়োজন তেমনিভাবে প্রতিদিন শরীরচর্চা করাও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষ সুস্থ মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারে। এর বাইরে, মর্নিং এক্সারসাইজ, হতাশা ও স্ট্রেসে জন্য এক ধরণের ওষুধ হিসাবে কাজ করে। যদিও যাদের সকালে ব্যায়াম করার অভ্যাস নেই তাদের পক্ষে প্রাথমিক স্তরে একটু অসুবিধা হতে পারে তবে প্রতিদিনের ব্যায়াম অভ্যাসে পরিণত হওয়া নিজেই শরীরে পরিবর্তন দেখতে পাবেন ও সুস্থ অনুভব করবেন। সারা দিন ধরে শরীরের শক্তি বজায় রাখতে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনারা জানেন যে, আমাদের দেশে করোনার মতো মহামারীর সমস্যা রয়েছে, তাই আমাদের উচিত আমাদের শরীরকে ফিট রাখা যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়ে। যদিও সম্প্রতি সময় বাইরে বেরোনো বিপদজনক,তাই আপনার উচিত বাড়িতে থাকাকালীন প্রচুর অনুশীলন অভ্যাস করা। এখুন প্রত্যেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ৮-৯ ঘন্টা কাজ করেন, তারপর যদি সকালে কোন রকম শারীরিক ব্যায়াম না করা হয় তাহলে আপনার শরীর দ্রুত রোগের বাসায় পরিণত হতে পারে।তাই লোকদের প্রতিদিন সকালে অনুশীলন করা উচিত। আসুন আমরা আপনাকে আজকের নিবন্ধে সকালে ব্যায়াম করার সুবিধা কি? সম্পর্কে বলব ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ এর মাধ্যমে।

সকালে ব্যায়াম করার অসাধারণ কিছু উপকারিতা জেনে নিন | Benefits of morning exercise

সকালে ব্যায়াম করার সুবিধা কি?

সকালে ব্যায়াম করার নিম্নলিখিত সুবিধা রয়েছে। আসুন আমরা আরও বিস্তারিত বর্ণনা করি আর হ্যাঁ আপনারা কিন্তু সাথেই থাকবেন।

মর্নিং এক্সারসাইজ জীবনে উন্নতি আনে –

 আপনার জীবনযাত্রাকে সুন্দর করার জন্য আপনার খুব সকালে উঠে ব্যায়াম করা উচিত। যদিও এটি প্রথমে একটু কঠিন হবে তবে ধীরে ধীরে এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে। সকালে অনুশীলন করার মাধ্যমে আপনার জীবনে অনেক উন্নতি হবে যা আপনি নিজেই লক্ষ করতে পারেবন। আপনি যদি দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা সকালে অনুশীলন করেন ,তবে অনুশীলন আপনার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠবে ।

সকাল

সকালের নাশতা আটটার মধ্যে শেষ করবেন। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় ওজন কমানোর জন্য চিঁড়া একটি দুর্দান্ত ব্রেকফাস্ট। ফাইবার অন্ত্রের জন্য দুর্দান্ত। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে ভরপুর প্রোটিন পেতে খাবারে ৫০ গ্রাম পনির এবং হলুদ দেওয়া দুধ খেতে হবে। প্রতিদিন এই রুটিন একঘেয়ে লাগতে পারে। বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন এক বাটি মিক্সড ফ্রুট এবং হলুদ দুধ। 

মিড মর্নিং স্ন্যাক্স

সকাল ১১টায় সূর্যমুখীর বীজ এবং এক গ্লাস ডাবের পানি রাখুন খাদ্যতালিকায়। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার সূর্যমুখী বীজ দীর্ঘ সময় পেট পরিপূর্ণ রাখে। অন্যদিকে, ডাবের পানি শরীর হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে।

দুপুর ১টার মধ্যে দুপুরের খাবার 

বাদামি চালের ভাতের সঙ্গে মুসুর ডাল দিয়ে দুপুরের টেবিল সাজান। এর সঙ্গে রাখুন সালাদ। একঘেয়ে লাগলে পনির ভুর্জির সঙ্গে একটা রুটি নেওয়া যায়। বাদামি চাল ফাইবার সমৃদ্ধ গোটা শস্য। এটি ওজন ও পেটের চর্বি কমাতে সহায়ক।

বিকেলে এক গ্লাস ঘোল 

প্রতিদিন বিকেল ৪টায় এক গ্লাস ঘোল পান করুন। ঘোল প্রোটিন, ভিটামিন এবং বেশ কিছু খনিজ সমৃদ্ধ। এতে ক্যালোরি ও চর্বির পরিমাণ কম থাকে। এটি দেহ হাইড্রেটেড রাখতে এবং এনার্জি যোগাতে সাহায্য করবে। যারা ওজন কমাতে চান তাঁদের জন্য ঘোল আদর্শ পানীয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ঘোল উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রাযুক্ত ব্যক্তিদের কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

সন্ধ্যা ৭টায় রাতের খাবার 

ওজন কমাতে চাইলে সন্ধ্যা ৭টার দিকের রাতের খাবার খেয়ে ফেলুন। এরপর আর কিছু খাবেন না। খাবার তালিকায় রাখুন স্যুপ। এটি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর এবং ওজন কমানোর জন্য দুর্দান্ত। ভেজিটেবল স্যুপের পাশাপাশি ক্লিয়ার স্যুপ, চিকেন স্যুপ ইত্যাদিও ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সবজির স্যুপও হজমশক্তি ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। 

রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ মশলা চা বা গ্রিন টি পান করুন। আর হ্যাঁ এই ট্রিক্স আপনার টানা ১৫ দিন চালু রাখতে হবে তবেই আপনার ওজন আপনার নিজের কন্ট্রোলে থাকবে। ধন্যবাদ আমাদের আমাদের সাথে থাকার জন্য এবং ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে বন্ধুদেরকেও ওজন ফিট রাখতে সাহায্য করবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ