Join Our Telegram channel! name='keywords'/> প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে সাহায্য পাওয়ার উপায় | How to get help from Prime Minister's Education Assistance Trust

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে সাহায্য পাওয়ার উপায় | How to get help from Prime Minister's Education Assistance Trust

অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বৃত্তি প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ এপ্রিল, ২০১০ খ্রি: তারিখে একটি ট্রাস্ট ফাণ্ড গঠনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে লিখিত নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ফাণ্ড গঠনের সম্ভাব্যতা পরীক্ষাপূর্বক প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রীকে আহবায়ক করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ১৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব কে আহবায়ক করে ট্রাস্ট ফাণ্ড গঠন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। মুখ্যসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯ আগস্ট, ২০১০ খ্রি: তারিখের সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) কে আহবায়ক করে একটি টেকনিক্যাল উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ৫ টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩১ জানুয়ারি, ২০১১ খ্রি: তারিখের পত্রে ট্রাস্ট ফাণ্ড গঠন সম্পর্কিত প্রতিবেদন, নীতিমালা ও আইনের খসড়া পরিকল্পনা কমিশনে পেশ করা হয়।মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফাণ্ড আইন ২০১১ এর খসড়া প্রণয়ন করে Rules of Business, 1996 এবং সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী উক্ত ট্রাস্ট ফাণ্ড সংক্রান্ত প্রণীত খসড়া আইনটি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১১ খ্রি: তারিখের মন্ত্রিসভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রণীত প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১১ বিগত ১২ ডিসেম্বর, ২০১১ খ্রি: তারিখে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। ১১ মার্চ ২০১২ খ্রি: তারিখে নবম জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট বিল, ২০১২ পাস হয়। সংবিধানের ৮০ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ১৪ মার্চ, ২০১২ খ্রি: তারিখে উক্ত বিলে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং একই তারিখে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর স্থায়ী তহবিল হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সিডমানি হিসেবে ১০০০.০০ (এক হাজার ) কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে যা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি তফসিলি ব্যাংকে এফ. ডি. আর. হিসেবে রক্ষিত আছে। উক্ত এফ. ডি. আর. থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দ্বারা ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের শুধুমাত্র নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ছাত্রীদের পাশাপাশি ছাত্রদেরকেও উপবৃত্তি কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে সকল উপবৃত্তি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে স্থানান্তরিত হবে মর্মে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে সাহায্য পাওয়ার উপায় | How to get help from Prime Minister's Education Assistance Trust


প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে সাহায্য পাওয়ার উপায় 

ষষ্ঠ থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান শ্রেণি পর্যন্ত যেকোন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এ সুবিধা নিতে পারবে। তবে তার জন্য শিক্ষার্থীকে অবশ্যই শ্রেণিকক্ষে কমপক্ষে ৭৫% উপস্থিত থাকতে হবে। উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট এক লক্ষ টাকার কম হতে হবে।অপরদিকে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী অভিভাবকের মোট জমির পরিমাণ পাঁচ শতাংশের কম থাকতে হবে। তবে সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে বসবাসকারী অভিভাবকের মোট জমির পরিমাণ পঁচাত্তর শতাংশের কম থাকতে হবে।

***

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নদীভাঙ্গন কবলিত পরিবারের সন্তান এবং দুস্থ পরিবারের সন্তানগণ উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।

***

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর আওতায় উপবৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী এর এইচ.এস.সি/সমমান পরীক্ষার মূল মার্কশিট স্নাতক (পাস)/সমমান পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষার সমাপ্তি পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিসে জমা রাখতে হবে।

***

সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভর্তি রেজিস্ট্রার, টটলিষ্ট, শ্রেণি হাজিরা খাতা, বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার খাতা এবং ফলাফল বিবরণী/রেজিস্ট্রার ভর্তি ও পরীক্ষার তারিখ থেকে ন্যূনতম ২ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে।

***

উপবৃত্তিপ্রাপ্ত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কোনরূপ টিউশন ফি গ্রহণ করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর টিউশন ফি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করা হবে।

***

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নির্দেশনা অনুযায়ী উপবৃত্তির জন্য “শিক্ষার্থী নির্বাচনী কমিটি” গঠন করতে হবে। উক্ত শিক্ষার্থী নির্বাচনী কমিটি ট্রাস্ট এর নির্ধারিত শর্ত মোতাবেক শিক্ষার্থী নির্বাচন করে নির্বাচিত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নাম/শ্রেণি রোল নম্বর উল্লেখপূর্বক একটি রেজুলেশন প্রস্তুত করবেন এবং তা সংরক্ষণ করবেন।

আবেদনের করার নিয়ম

শিক্ষা সহায়ত পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ওয়েবসাইট থেকে নিবন্ধন করতে হবে। অথবা মোবাইলে গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা e-Stipend Management System অ্যাপ দিয়েও আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন করতে কোন সমস্যা হলে হেল্প ডেস্কে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ