Join Our Telegram channel! name='keywords'/> বাংলাদেশ সরকারের নতুন আইন-এই কাজটি না করলে কেউ সিগারেট কিনতে পারবেন না

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

বাংলাদেশ সরকারের নতুন আইন-এই কাজটি না করলে কেউ সিগারেট কিনতে পারবেন না

বাংলাদেশ সরকারের নতুন আইন-এই কাজটি না করলে কেউ সিগারেট কিনতে পারবেন না




সিগারেট
গ্রহণ বা ধুমপান আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পেয়ে যাই বিভিন্ন বয়সের মানুষেদেরকে লক্ষ করলে। আমরা আমাদের আশেপাশে এর ব্যাপক বিস্তৃতি দেখতে পেয়ে যাই। আর এখন এর বিস্তৃতি এতটাই বেড়ে গেছে যে প্রায় 80% তরুন ও পুরুষ মিলিয়ে এখন ধূমপান করে থাকে। এখন এর বিস্তৃতি যেভাবে বাড়ছে আমরা কিন্তু নিশ্চিন্তে বলতে পারি আগামীতে যে 20% ধূমপান থেকে বিরত রয়েছে সেটাও কিন্তু একটা সময় না থাকতে পারে।


তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় 2015 সালে বাংলাদেশে ধূমপানের লোকের সংখ্যা ছিল প্রায় 24 শতাংশ এবং 2018 সালের সেটা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে 66 শতাংশ। যেকোনো বয়সের মানুষের কাছেই ধূমপান এখন কমন একটা সাবজেক্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে বলা যেতে পারে অনেকে ফ্যাশনের জন্য করে থাকেন অনেকে আবার টেনশনের জন্য করে থাকেন, অনেকে আবার অভ্যাসের কারণে করে থাকেন, একেকজনের কারণ একেক রকম তবে যাই হোক না কেন তামাকজাত দ্রব্য মূলত কিন্তু ক্ষতির কারণ।


ধূমপান মৃত্যুর কারণ এটা প্রচার-প্রচারণা করার পরেও মানুষ কিন্তু ধূমপান থেকে বিরত থাকেনা। আর তাদের জন্য একটি খুবই দুঃসংবাদ রয়েছে, এখন আপনারা হয়তো একটি প্রশ্ন করতে পারেন যে ভাই আমরা কি তাহলে আর ধুমপান করতে পারবো না ? আবার অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন দেশ থেকে কি তাহলে ধূমপান চলে যাবে ? বা সরকারিভাবে নতুন করে আবার কোন আইনানুক ব্যবস্থা চালু হলো ? আরো অনেকেই রয়েছে যাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। তো আজকে এই রিভিউ এর মাধ্যমে সেই বিষয়টিকে উদঘাটন করে আমরা আপনাদেরকে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিব।


ধুমপান নিরসন বা তামাক জাত পণ্য নিরসনের জন্য সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে। আমরা যদি একটু সরকারের 2013 সালের আইনের উপর একটু নজর রাখি তাহলে সেখানে বলা হয়েছিল প্রকাশ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা গেলেও বিজ্ঞাপনের বিষয়টি বাতিল করেছিল এবং পরবর্তীতে কিন্তু সেটা কার্যকর হয়। 


তামাকজাত পণ্য সম্পূর্ণভাবে নিরসন করা না গেলেও সরকার এর উপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর সেটা কার্যকর করতে পেরেছে। আমরা আরেকটি বিষয় জেনে অবাক হবো সরকারের সবচেয়ে বেশি কর এসে থাকে এই তামাকজাত পণ্য থেকে। সরকারের আইনানুক তৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি করলেও এর থেকে কিন্তু মানুষ খুবই কম সচেতন হয়ে থাকে। আমরা কমবেশি সকলেই হয়তো তা বাস্তব জগতে দেখতে পেয়ে থাকি। 


তামাক জাত পণ্য বা সিগারেট সম্পর্কে এক একজনের মতামত এক এক রকম। সরকার কর্তৃক এটার উপর নিষেধাজ্ঞা আসলেও বেশিরভাগ সাধারণ মানুষগুলো কিন্তু সেটাকে এড়িয়ে চলছেনা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে আমরা দেখতে পেয়ে থাকি ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এটা দেওয়া হয়ে থাকে। এটা মূলত সরকারি একটা নির্দেশ। এটাই প্রথম পন্য এটার প্রোডাক্ট গুলোর খারাপ দিকগুলো মানুষের সামনে উন্মেচিত করেও বিক্রি করে থাকে।


এখন যদি আপনাদেরকে বলা হয়ে থাকে যে পানির মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত করা গেছে তাহলে কিন্তু আপনারা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কিন্তু সিগারেটের প্যাকেটের উপরে লেখা থাকে ধূমপান মৃত্যুর কারণ, কিন্তু তাও মানুষ সিগারেট খাওয়া থেকে কিন্তু বিরত থাকেনা। এটার মূল রহস্য আমার থেকে আপনারা অনেকটাই ভালো জানেন। সরকার এই বিষয়ে অনেকটাই তৎপর এবং বিভিন্ন সময় আমরা কিন্তু এর দাম বৃদ্ধি হতে দেখি এটাও কিন্তু সরকার কর্তৃক নিদর্শিত আইন মোতাবেক হয়ে থাকে। প্রতিবছর সরকার তামাক জাত পণ্য গুলোর বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করে থাকে যাতে করে মানুষজন যেন এই তামাক জাত পণ্যের প্রতি কম আকর্ষিত হয়।


এবার আমরা আলোচনা করবো সরকারের নতুন একটি আইন প্রণয়ন এই তামাকজাত পণ্য নিয়ে। এবার যে আইন তুলে ধরা হয়েছে সেখানে বেশ কয়েকটি কারণ পেশ করা হয়েছে। আর এটার মূল স্লোগান হলো খুচরা সিগারেট বিক্রয় বন্ধ। আমরা অনেককেই দেখতে পেয়ে যাই যারা কিনা দুইটা বা পাঁচটা সিগারেট ক্রয় করে ধূমপান করে থাকে। আর তাদের জন্য অত্যন্ত একটি দুঃসংবাদ, তারা এখন দুইটি বা পাঁচটি সিগারেট ক্রয় করতে পারবেনা সিগারেট ক্রয় করতে হলে তাদেরকে কিনতে হবে সম্পূর্ণ প্যাকেট। 


অর্থাৎ খুচরা কোন সিগারেট ক্রয় বা বিক্রয় করা হবে না। দুইটি নয় , পাঁচটি নয় কিনতে হবে সম্পূর্ণ প্যাকেট। আর এই লক্ষ্যে সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে আর ধারণা করা হচ্ছে সেখানে খুচরা তামাক জাত পণ্য বিক্রয় এর বিরুদ্ধে নতুন আইন প্রণয়ন করতে পারে। ধুমপান এবং তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পরিচালক কাজী জোবেরুন্নেসা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন ( একজন চাইলে কিন্তু একটি দোকান থেকে খুচরা সিগারেট ক্রয় করতে পারে কিন্তু এই আইন প্রণয়ন করার পর সে কিন্তু খুচরা সিগারেট ক্রয় এর সুবিধা আর পাবে না তখন কিন্তু তাকে সম্পূর্ণ প্যাকেট ক্রয় করতে হবে )। 


এখন আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন এই আইনটি প্রণয়ন হওয়ার পর আমাদেরকে কি কি সমস্যা পড়তে হবে। এই আইনটি প্রণয়ন হয়ে গেলে আমরা কিন্তু খুচরা তামাক জাত পণ্য ক্রয় করতে পারবো না। যদিও এই আইনটি এখন পর্যন্ত কার্যকরী হয় নি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে তবে ধারণা করা হচ্ছে এই আইনটি আগামী বাজেট অধিবেশনে কার্যকরী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 


প্রতি বছর আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পেয়ে যাবেন সিগারেটবিড়ির , গুলসহ তামাকজাতীয় পণ্য রয়েছে সেগুলোর  উপর বাড়তি কিছু কর সরকারের পক্ষ থেকে ধার্য করা হয়ে থাকে এবং নতুন নতুন আইন প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এখন আবার নতুন করে তাদের নতুন আইনে যুক্ত হতে পারে খুচরা সিগারেট বিক্রয়ের বিষয়টি। সরকারের এই নতুন পদক্ষেপটি কার্যকর হলে সেটা আমাদের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে অথবা আপনারা এই আইনটি পাশ হলে কতটুক উপকৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেটি জানিয়ে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ