এখন আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সে বিষয়টি জানার জন্য খুবই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি জুড়ে থাকুন। বিভিন্ন গণমাধ্যম
গুলোতে আমরা কিন্তু বর্তমান সময়ে নগদের বিষয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা খবর
দেখতে পাচ্ছি। এক্ষেত্রে তাদের লেটেস্ট যে ধারণা আমরা পেয়েছি গণমাধ্যমগুলো থেকে সেটি আপনাদের মাঝে আলোচনা করা হলো। নগদে একাউন্টে গ্রাহকেরা কোটি কোটি টাকা লেনদেন বা জমা করে থাকে এই টাকাগুলোকে নগদ কোম্পানি বন্ধক রেখে নগদ একাউন্টের যে কর্ণধার রয়েছে তিনি এক্সিম ব্যাংক থেকে 500 কোটি টাকা লোন নিয়েছে। আর এক্ষেত্রে এক্সিম ব্যাংক কিন্তু গ্রাহকের জমানো 317 কোটি
টাকা অলরেডি নিয়ে নিয়েছে গ্রাহকদের জমানো টাকা থেকে। এখন আপনারা একটু
ভেবে দেখুন আগামীতে এখান থেকে আপনারা কি ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন ?
এক্ষেত্রে আপনার একাউন্টে টাকা শো করবে ঠিকই কিন্তু আপনি টাকা উঠাতে ব্যর্থ হতে পারেন। আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা শো করবে কিন্তু সেখান থেকে আপনারা কিন্তু টাকা উঠাতে হয়তোবা নাও সফল হতে পারেন। টাকা না পাওয়ার বিষয়টি এখন পর্যন্ত শিওর না তবে অনেকটা ধারণা করা হচ্ছে। তার কারণ হলো নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থাটি যদি সে লোনে আনা টাকাগুলো পরিশোধ করতে না পারে তাহলে কিন্তু এক্সিম ব্যাংক নগদ একাউন্ট থাকা গ্রাহকদের টাকা কেটে নিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কিন্তু যারা নগদ ব্যাংকিং ব্যবস্থার গ্রাহক রয়েছে তাদের টাকাগুলো কিন্তু চলে যেতে পারে অন্যের হাতে। আমরা অনেকেই কিন্তু ইভ্যালির কথা শুনেছি কম বেশি। আর ইভালির যে কর্ণধার রয়েছে তিনি কিন্তু বর্তমান সময়ে জেলে রয়েছে তার কারণ হলো বিভিন্ন মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছিল মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে। এক্ষেত্রে মানুষ কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের চেক হাতে নিয়ে মামলা বিরোধ করতে চায় কিন্তু তারা আসলে জানে না কাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। তো এটার কিন্তু সমাধান এখন পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি। তো নগদের বিষয়টি আপনাদের মাঝে জানানোর মূল উদ্দেশ্য হলো আপনাদের যার যার টাকা গুলোকে সুরক্ষা করা।
মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন বা অনলাইন ভিত্তিক
লেনদেনগুলোতে লুকোচুরির বিষয়গুলো নির্দিষ্ট করে বলা অনেকটা কঠিন। এখানে
আমাদেরকে সবসময় চোখ কান খোলা রেখে লেনদেন করতে হবে। প্রতিটা মোবাইল ব্যাংকিং যে ফেক আবার প্রতিটা মোবাইল ব্যাংকিং যে ভালো এটা নির্দিষ্ট করে বলা অনেকটা কষ্টকর। এতদিন ধরে ডাক বিভাগের নাম ভাঙিয়ে চলা নগদ কোম্পানি হঠাৎ করে যেন থেমে যাওয়ার মত একটা অবস্থা। এতদিন আমরা জেনে এসেছি সরকারি ডাক বিভাগের 51% এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের 49% কোম্পানির মূল শেয়ার এভাবেই ভাগ করে চলছিল এমনটাই আমরা শুনতে পেয়েছিলাম নগদ কোম্পানির পক্ষ থেকে, যদিও এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে আবার বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে শুনতে পাওয়া যায় ডাক বিভাগের সাথে নগদের কোন সম্পর্ক নেই। তাহলে সাধারণ মানুষ এখন আমরা একটি বিভ্রান্তিতে রয়েছি নগদ কোম্পানী তাহলে পূর্ণাঙ্গভাবে কোন প্রতিষ্ঠানের আদলে চলে থাকে? এক্ষেত্রে নগদ যদি আপনাদের টাকাগুলো জালিয়াতি করে কেড়ে নেয় তাহলে আপনারা কোন সূত্রপাত ঘটিয়ে সেই টাকাগুলো ফিরে আনবেন সেটাও কিন্তু অজানা।
উপরে আপনাদের সামনে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলোকে মূলত আমরা বিভিন্ন ধরনের গণমাধ্যম বা ব্যারিস্টার সুমন ভাইয়ের youtube চ্যানেল থেকে উদঘাটিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। তো উপরের আলোচনায় আপনাদের সুবিধার জন্য বা যারা নগদের গ্রাহক রয়েছে তাদের সুবিধার জন্য একটি সতর্কবার্তা পোস্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো। আর এক্ষেত্রে আমরা যারা নগদের গ্রাহক রয়েছি তারাও অনেকটা সতর্ক থেকে লেনদেন করতে পারব। আর এই বিষয়টি যেহেতু এখন পর্যন্ত শিওর না সেহেতু তার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত লেনদেন বিষয়ে সতর্ক থাকাটাই কিন্তু মঙ্গল জনক। আর এই বিষয়ে আপনাদের কি কি ব্যক্তিগত মতামত রয়েছে সেগুলকে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্যারিস্টার সুমন ভাই youtube চ্যানেলে নগদের বিষয়ে যে ভিডিও তৈরি করেছে সেই ভিডিওটি তার ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে দেখে নিতে পারেন।
0 মন্তব্যসমূহ