Join Our Telegram channel! name='keywords'/> সফল ইউটিউবাররা যে ৫টি কাজ করে থাকেন? | এই কাজগুলো করলে ইউটিউব চ্যানেল বড় হবে

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

সফল ইউটিউবাররা যে ৫টি কাজ করে থাকেন? | এই কাজগুলো করলে ইউটিউব চ্যানেল বড় হবে

ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায়



বন্ধুরা একটি ইউটিউব চ্যানেলের মূল যে বিষয়গুলো রয়েছে তার ভিতরে তিনটি বিষয়ে বিশেষ করে গুরুত্ব পেয়ে থাকে ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ভিউ, ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার এবং টাকা ইনকাম করার বিষয় গুলি মূলত বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে কারণ এই তিনটি জিনিস যদি সফলতা পাওয়া যায় ইউটিউব এ তাহলে আর পিছন দিকে ফিরে তাকাতে হয়না ।


অনেক ইউটিউবার আছে যারা এসে সফলতা পেয়েছেন আবার অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন সফল ইউটিউবারা যে পাঁচটি অভ্যাসকে মানিয়ে নিয়ে সফলতা পেয়েছেন যে পাঁচটি অভ্যাস নিয়মিতভবে পালন করলে হতে পারেন আপনিও সফল ইউটিউবার

তাই বন্ধুরা আপনাদের মাঝে এরকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করব যে পাঁচটি বিষয়ে সফল ইউটিউবারা নিয়মিতভাবে মেনে কাজ করেছেন বিদায়ী আজকে তারা ইউটিউব জগতে সফল ইউটিউবার হিসেবে দাঁড়িয়েছে । আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি কিভাবে আমরা সফল ইউটিউব স্টার হতে পারি ।

এই পাঁচটি গুণ যদি আপনার ভিতরে আপনি প্রবেশ করাতে পারেন আল্লায় দিলে তাহলে অবশ্যই আপনি ইউটিউব এ সফলতা পাবেন ইনশাআল্লাহ এটা বলাই যায় ।


সফল ইউটিউবাররা যে ৫টি কাজ করে থাকেন? | এই কাজগুলো করলে ইউটিউব চ্যানেল বড় হবে



১ নিয়মিতভাবে ভিডিও আপলোড


যদি আপনি নিয়মিত ভাবে ভিডিও আপলোড করতে পারেন তাহলে ইউটিউবএ সফলতা আপনার দ্বার প্রান্তে এসে যাবে অনেকেই রয়েছেন যারা অনিয়মিতভাবে ভিডিও আপলোড করে থাকেন অর্থাৎ সপ্তাহে একটা কিংবা 10-12 দিন পরেপরে একটা করে যদি আপনি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করেন তাহলে ইউটিউব এ সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম রয়েছে ।

তবে আপনি যদি নিয়মিতভাবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করেন প্রতিদিন অন্তত একটি করে সেটি আবার নিয়ম মেনে অর্থাৎ দিনে নির্দিষ্ট সময়ে যদি প্রতিদিন একটি করে ভিডিও আপলোড করে যান তাহলে ইউটিউব চ্যানেল খুব তাড়াতাড়ি রেঙ্ক করবে ।

ইউটিউবে যে ধরনের সস থেকে বেশি বেশি ভিউ জেনারেট হয়ে থাকে তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে ব্রাউজ ফিচার এই ফিচারটা থেকে ইউটিউব এ হিউজ পরিমান এ view এসে থাকে আর যারা নিয়মিত ভাবে ভিডিও আপলোড করে তাদের চ্যানেলে কেবল ব্রাউজ ফিচারটি ভালো কাজ করে থাকে ।



২ নতুনত্বের অভাব থাকা



অনেক চ্যানেলেই ইউটিউবে রয়েছে যে চ্যানেলগুলো বেশিরভাগ সময় ধরেই ভালো পরিমাণের রেভিনিউ জেনারেট করতে পারে না কিংবা অনেকদিন হয়ে গেছে তারপরও চ্যানেলটি বড় হচ্ছে না এটির একটি বড় সমস্যা হচ্ছে চ্যানেলটিতে চোখ বুঝে কাজ করা ।

চোখ বুজে কাজ করার বিষয়টি হয়তোবা বুঝতে পারেননি? এটার সহজ ব্যাখ্যা হচ্ছে যারা দিনের পর দিন একিভাবে করে ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করে যাচ্ছেন নতুনত্ব আনছেন না তাদের চ্যানেলগুলো আস্তে আস্তে করে ডাউন হয়ে যাবে ।

এজন্য অবশ্য চ্যানেলে নিত্যনতুন নতুন কিছু আনার চেষ্টা করতে হবে বিশেষ করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও গুলো যখন তৈরি করবেন সেই থামনেল গুলো অবশ্যই নতুনত্ব আনতে হবে আকর্ষণীয় কিছু দিতে হবে তাহলেই পাবলিক সেই থামনেলএ গুলোতে ক্লিক করবে আরো বেশি হবে আর বেশি ভিউ হওয়া মানে চ্যানেল টি অটোমেটিকলি বড় হবে টাকাও ইনকাম বেশি হবে ।

তবে থামনেল আকর্ষণ আনতে গিয়ে যেন মিস লিডিং না হয়ে যায় অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে ভিডিও আপলোড করবেন ওই বিষয়ে থামনেল দিবেন আকর্ষণীয়ভাবে কিন্তু আপনি যে বিষয় ভিডিও দিলেন আর থামনেল দিলেন অন্য বিষয় এটা করলে কিন্তু মিস লিডিং হয়ে যাবে তখন ইউটিউব চ্যানেলের সমস্যা হতে পারে ।

লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন মানুষের নতুনত্বের প্রতি একটি আলাদা আকর্ষণ কাজ করে থাকে এজন্য অবশ্যই নতুনত্ব কিছু নিয়ে আসতে হবে তাহলে ইউটিউব এর ভিডিও গুলো বেশি মানুষ দেখবে আর এর ফলে চ্যানেলটির ভিডিওগুলো বেশি মানুষের কাছে ইউটিউব সাজেস্ট করবে তো বুঝতেই পারতেছেন এটা চলতে থাকলে চ্যানেল অটোমেটিকলি বড় হয়ে যাবে ।

এইজন্য বন্ধুগণ এই বিষয়গুলো মনে রাখা খুব জরুরি আপনার চ্যানেল টি ছোট হোক কিংবা বড় হোক তাতে কোন সমস্যা নেই তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর অর্থাৎ 6 থেকে সাত মাস পর পর অবশ্যই চ্যানেলের থামনেল গুলো নতুনত্ব নিয়ে আসতে হবে নতুনত্ব পেলে মানুষ বেশি আকর্ষণ পেয়ে চ্যানেলে বেশি বেশি ভিডিও দেখতে শুরু করবে ।


৩ সিডিউল মেনে কাজ করা



ইউটিউবে সিডিউল মেনে কাজ করার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত কারণ অনিয়মিতভাবে ইউটিউবে যদি কাজ করেন তাহলে সম্ভাবনা থাকবে ব্যর্থ হওয়ার বেশি আর সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকবে এজন্য অবশ্যই নিয়মিত ভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় মেনে নিয়মিত ভাবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে যেতে হবে ।

আরেকটি জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে দিনের কোন সময় মানুষগণ অনলাইনে বেশি থাকে সেদিকে লক্ষ করে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে হবে আপনার চ্যানেল টি যদি ছোট হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন চেষ্টা করবেন সকালের দিকে ভিডিও আপলোড করতে আর যদি আপনার চ্যানেল টি বড় মানের হয়ে থাকে তাহলে রাতের দিকে ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করাই ভালো কারণ বড় চ্যানেল গুলো বেশিরভাগ সময় রাতে ভিডিও আপলোড করে থাকে ।

ছোট ইউটিউবাররা যদি রাতের দিকে ভিডিও আপলোড করেন তাহলে বেশি ভিউ পাবেন না কারণ হচ্ছে বড় ইউটিউবার যখন ভিডিও আপলোড দিবেন তখন তাদের ভিডিওগুলি দর্শকরা বেশি দেখে থাকবেন এজন্য ছোট ইউটিউব চ্যানেল অলারা অবশ্যই সকালের দিকে ভিডিও বেশি বেশি আপলোড দিবেন এই ক্ষেত্রে ভিডিওতে বেশি বেশি ভিউ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে ।


তবে যদি আপনি ট্রেন্দিং টপিক নিয়ে কাজ করে থাকেন তাহলে সিডিউল মেনে তেমন একটা কাজ করার প্রয়োজন নেই কারণ ট্রেন্দিং টপিক গুলো যে কোন সময় আপলোড করলে বেশি বেশি ভিউ হয়ে থাকে ।


৪ আণলিস্টিং ভিডিও আপলোড করা



বন্ধুরা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভিডিও যখন আমরা তৈরী করব ভিডিওটিকে এনলিস্টিং পজিশনে অনেকক্ষণ যাবৎ রেখে দেওয়া ভালো এই সিস্টেমে রেখে দিলে ইউটিউব অ্যালগরিদম বুঝতে পারে এই ভিডিওটি কোন কোন দর্শকের সামনে পৌঁছানো উচিত কিংবা ভিডিওতে কোন কপিরাইট থাকলে সেটিও ইউটিউব এর পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে ।

আমরা যখন ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করি তখন তিনটা অপশন পাওয়া যায় একটা হল এনলিস্টিং, প্রাইভেট, আরেকটা হল পাবলিক, তবে আমরা বেশিরভাগ সময় কিন্তু প্রাইভেট অপশনটি বেছে নেই কারণ এটি বেছে নিলে পরে আমরা ভিডিওর টাইটেল থামনেল দেস্ক্রিপশন সবকিছু দেওয়ার পরে আমরা পাবলিক করে দিতে পারি ।

তবে আমরা ভিডিও আপলোড করার সময় আণ লিস্টিং পজিশনে রেখে তারপরে কয়েক ঘন্টা পর যদি ভিডিওটিকে আপলোড করি তাহলে আমাদের চ্যানেলের জন্য অনেক ভালো হয়ে থাকে ইউটিউব বুঝতে পারে এই ভিডিওটি কোন কোন দর্শকের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এতে করে কিন্তু সঠিক দর্শকদের সামনে নোটিফিকেশন ইউটিউব পাঠিয়ে থাকে ।


৫ ভিডিও বানানোর পরিকল্পনা করা



বন্ধুগণ আরেকটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভিডিও তৈরি করার আগে প্রচুর পরিমাণে রিচার্জ করতে হবে অর্থাৎ আপনি কোন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করবেন সেই বিষয়ে অবশ্যই আপনাকে আগে ধারণা নিতে হবে তারপরে আপনি ওই বিষয়ে ভিডিও বানানোর জন্য প্রস্তুত হতে পারেন এজন্য অবশ্যই আপনি যে বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে আগে রিচার্জ করে নিবেন যে ওই বিষয়ের উপরে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীরা কোন ধরনের ভিডিও তৈরী করেছে তারপর আপনি ওই বিষয়ে ভিডিও নতুন নতুন কিছু যোগ করে বানানোর চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার ভিডিওটি ভাল হবে মানুষ আকর্ষণ সরকারে দেখবে ।

অর্থাৎ আপনি যে সময় ভিডিও তৈরি করার কথা ভাবছেন যে টপিক এর উপরে ওই টপিকটি আপনার চ্যানেলের জন্য এই সময় প্রযোজ্য কিনা বা এই সময় ওই টপিকটি নিয়ে ভিডিও আপলোড করলে কতটুকু সফলতা পাওয়া যাবে এই বিষয়টিও কিন্তু ভাবনা চিন্তা মাথায় নিতে হবে তারপরে আপনি চেষ্টা করবেন ওই বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাতে হতে পারে সেটা ট্রেন্দিং টপিক, ভাইরাল, টপিক কিংবা পুরানো কোন টপিক ইত্যাদি ।

এই বিষয়গুলোকে যারা লক্ষ করে বা নিয়ম মেনে ভিডিও তৈরি করে নিচ্ছেন তারাই কিন্তু ইউটিউব এ সফলতা পেয়েছেন তাদেরকে সফল ইউটিউবার বলে আমরা চীনে থাকি । এখন আপনি চিন্তা করুন আপনি সফল হবেন? নাকি ব্যর্থ হবেন হবেন? যদি সফল ইউটিউবার হতে চান তাহলে এই বিষয়গুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে ।

এরপরও যদি কোন বিষয়বস্তু সমস্যা হয় কিংবা আপনার মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন পরবর্তীতে আপনাদের সলিউশন দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ