হঠাৎ করে যখন পৃথিবীর বুকে করুনা প্রবেশ করে তখন থেকেই যেন সাধারণ মানুষের বিশেষ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । যাদের টাকা-পয়সা আল্লাহপাকের দোয়ায় ও রাসুলের উসিলায় মোটামুটি কিংবা ভাল রয়েছে তারা হয়তো বা ঘরে বসে থাকলেও তাদের কোন সমস্যা নেই কারণ তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল ।
সমস্যা হচ্ছে ওই ধরনের মানুষদের যে মানুষগুলো দিনে আনে দিনে খায় অর্থাৎ সাধারণ যে মানুষগুলোর রয়েছে হিসাব মোতাবেক বাংলাদেশে প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি এরকম সাধারণ মানুষ রয়েছেন যাদের জীবন চলা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে এ করুনার কারণে তারপরে আবার লকডাউন দিতে হচ্ছে প্রতিটা দেশের সরকারকে বাধ্য হয়ে ।
কারণ এটি এরকম একটি অশোক যেটা কিনা বাতাসের মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এ কারণে মূলত প্রায় সবকিছুই বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন দেশের সরকারগুলো বা জনগণকে ঘরে থাকতে ।
অনেকে আবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কী খাবেন কী করবেন বর্তমান পরিস্থিতি ভেবে । যে মানুষগুলো দিশেহারা । এই ধরনের সাধারণ মানুষদের জন্য কিছুটা হলেও আল্লায় দিলে যাতে করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই সুব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।
তবে বলে রাখা ভাল বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যতবারই করুনার কারণে লকডাউন দেওয়া হয়েছে ততবারই প্রধানমন্ত্রী আড়াই হাজার টাকা করে প্রায় প্রতিটি মানুষকেই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ।
এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না অর্থাৎ চলতি লকডাউনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন দরিদ্র মানুষদের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে 3200 কোটি টাকার মোট পাঁচটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে যারা কিনা হতদরিদ্র রয়েছেন তারাই শুধু এই সুবিধাগুলো যাতে পায় ।
সরকার থেকে টাকা কি সবাই পাবে ?
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যারা হতদরিদ্র লোকজন রয়েছেন বা নির্মাণ শ্রমিক রয়েছেন তাদের মাঝে এই টাকাগুলো দেওয়া হবে । এবারকার সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন যারা । * প্যাকেজ 1 এর আওতায় । ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক, দিনমজুর, ও নৌপরিবহন শ্রমিক । এদেরকে 2500 টাকা করে দেওয়া হবে । এজন্য সরকার প্যাকেজ ওয়ানের জন্য 450 কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন ।
* প্যাকেজ 2 এর আওতায় যারা থাকছেন । শহর এলাকা ভিত্তিক স্বল্পআয়ের মানুষদের জন্য । 25 শে জুলাই
থেকে 7 ই আগস্ট পর্যন্ত চলবে ৮১৩ টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে 150 কোটি টাকা ।
* প্যাকেজ 3 এর জন্য দেওয়া হয়েছে 100 কোটি টাকা বরাদ্দ । যারা বিভিন্ন সময়ে ৩৩৩ নম্বরে কল দিয়ে খাদ্যের জন্য আবেদন করেছিলেন মূলত তাদের উদ্দেশ্যে এ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ।
* প্যাকেজ 4 এর আওতায় যারা রয়েছেন । পল্লী সংস্থা ব্যাংক ও পি কে এস এফ এর মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দেওয়ার জন্য । এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় রয়েছে অন্তর্ভুক্ত অবশ্য শর্তসাপেক্ষে দেওয়া হবে এই ঋণ ।
* প্যাকেজ 5 এর আওতায় । বিভিন্ন পর্যটন খাতের জন্য দেওয়া হয়েছে যেমনঃ । হোটেল মোটেল থিম পার্ক গুলো যাতে করে তাদের কর্মীদের বেতন দিতে পারে সেজন্য । এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার জন্য 1000 টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । সব মিলিয়ে এই পাঁচটি প্যাকেজের মাধ্যমে 3,200 কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ।
এই টাকাগুলো কিসের মাধ্যমে দেওয়া হবে ?
পূর্বে যখন সরকার থেকে অনুদানের টাকা দেওয়া হয়েছিল তখন বিকাশ নগদ কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু এবার টাকা কিসের মাধ্যমে সরকার দেবে সেটা এখনো জানা যায়নি । তবে যখন দেওয়া শুরু হবে তখন অবশ্যই সরকার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চলে আসবে ইনশাল্লাহ । তবে এটা ধারণা করে রাখা যায় যদি ডিজিটাল পেমেন্ট মেথড এর মাধ্যমে দেওয়া হয় তাহলে বিকাস নগদ থাকতে পারে । অন্যথায় সরাসরি দেওয়া হলে মেম্বার চেয়ারম্যানদের ধারায় দেওয়া হতে পারে । যখনই এ বিষয়ে কোন আপডেট চলে আসবে তখনই এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আর্টিকেল দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে । এজন্য সবাই নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ডিজিটাল বাংলা 360 . com । সূত্র বাংলাদেশ বিভিন্ন গণমাধ্যম
3 মন্তব্যসমূহ
এই লকডাউনে আমার বাড়িতে খাবার দাবারের অসুবিধা হচ্ছে। আমার পরিবারে৬জন মানুষ।
উত্তরমুছুনআমার পরিবারে বাবা নাই ১ টা ভাই ৪ বোন আছে লগডাউন এ সব কিছু বন্ধ হওয়ার কারণে খাওয়ার সমস্যা হচ্ছে তাই আপনারা যদি কিছু দিয়ে সাহায্য করতেন অনেক ভালো হইতো
উত্তরমুছুনআমার পরিবারে বাবা নাই ১ টা ভাই ৫বোন আছে লগডাউন এ সব কিছু বন্ধ হওয়ার কারণে খাওয়ার সমস্যা হচ্ছে তাই আপনারা যদি কিছু দিয়ে সাহায্য করতেন অনেক ভালো হইতো।
উত্তরমুছুন