Join Our Telegram channel! name='keywords'/> নতুনদের জন্য অনলাইন বিজনেস করে টাকা ইনকাম করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন | Ways to start an online business for beginners

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

নতুনদের জন্য অনলাইন বিজনেস করে টাকা ইনকাম করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন | Ways to start an online business for beginners

How to Successful online businesses



আজকে আমরা অনলাইন বিজনেস নিয়ে আলোচনা করব। অনলাইন কে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করাকে অনলাইন বিজনেস বলা যায়। আমাদের দেশের বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানি যেমন দারাজ, রকমারি এরা অনলাইন বিজনেস করছে। এরা অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের কাছে তাদের পণ্য বিক্রয় করছে। অনলাইন বিজনেস কে সংক্ষেপে ই-কমার্স ও বলে থাকেন অনেকে। আজকে আমরা অনলাইন বিজনেস কি? কিভাবে শুরু করব? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো আমাদের এই পোস্টে।আগেই বলা হয়েছে যে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে বিজনেস করাকেই অনলাইন বিজনেস বলে। অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো পণ্য তা যদি দেশের আইনের সাথে সাংঘর্ষিক না হয় তবে বিক্রয় করা যায়।যেমন ধরুন বাংলাদেশের বিভিন্ন রকম পণ্য খাদ্যদ্রব্য সহ প্রায় সব রকমের জিনিস অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করা হচ্ছে।সুতরাং সহজ কথায় বলা যায় যে দেশের আইনের সাথে যদি সাংঘর্ষিক না হয় তবে সব ধরনের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করা যায়। দেশের আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এরকম একটি পণ্যের উদাহরণ দেওয়া যায় যে বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য বিক্রয়।মাদক দ্রব্য বিক্রয় করা বাংলাদেশের আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং, মাদকদ্রব্য কোন অনলাইনে পেজ বা ওয়েবসাইট বিক্রয় করাও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হবে।সুতরাং অনলাইনে বিজনেস করতে গেলে আপনি দেশের আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যে কোন ধরনের পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। ( online business ideas )


আরো পড়ুন: ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার উপায় জানতে এখনই আমাকে ক্লিক করুন এবং বিস্তারিত দেখুন ভালো লাগলে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করুন


নতুনদের জন্য অনলাইন বিজনেস করে টাকা ইনকাম করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন | Ways to start an online business for beginners


অনলাইন বিজনেস এর সুবিধা

অনলাইন বিজনেস করার অনেকগুলো সুবিধা আছে। যেমন অনলাইন বিজনেস যে কেউ যখন তখন শুরু করতে পারে। কিন্তু অফলাইন বিজনেসের ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন নয়। যেমন ধরুন আপনি কোন খাদ্য দ্রব্য তৈরি করলেন।এখন আপনি যদি তা সাধারণভাবে অফলাইনে বিক্রি করতে চান তাহলে আপনার একটি দোকান খোঁজা লাগবে। তারপর সেই দোকানের ভাড়া পরিশোধ, কাগজপত্র তৈরি, ট্যাক্স এসব করা লাগবে আপনার পণ্য বিক্রি করার জন্য।কিন্তু একই খাদ্যদ্রব্য আপনি অনলাইনে কোন ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট খুলে বিক্রয় করতে চান তবে সাথে সাথে করতে পারবেন। তখন আপনার এত সব ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যাওয়া লাগবেনা। অর্থাৎ অফলাইনে বিজনেস করার সময় আপনার দোকান ভাড়া নেওয়া এসবে যে খরচ হতো সে সব খরচ আপনার বেঁচে গেল। অনলাইনে বলা যায় কোন খরচ ছাড়াই আপনি আপনার ব্যবসা এভাবে শুরু করতে পারবেন। এটা হচ্ছে অনলাইন বিজনেস করার মস্ত বড় সুবিধা।সুতরাং যে ব্যবসায়ীরা ব্যবসার জন্য মূলধন সংকটে আছেন তারা অনলাইন বিজনেস এর দিকে ঝুকতে পারেন। আবার যে সব ব্যবসায়ী রা বড় অংকের অংকের বিনিয়োগ করতে ইতস্তত বোধ করছেন তাদের জন্য অনলাইন বিজনেস একটি সুবর্ণ সুযোগ এনে দিচ্ছে।অনলাইনে বিজনেস করা আরেকটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে যে এর পরিচালনা পদ্ধতি। আপনি অনলাইনে বিজনেস পরিচালনা খুব সহজভাবে করতে পারবেন। যেমন অনলাইনে বিজনেসে আপনি সমস্ত হিসাব নিকাশ কোন সফটওয়ারের সাহায্যে সহজেই করতে পারবেন।এভাবে আপনি একই সাথে একাধিক অনলাইন বিজনেস করতে পারবেন। আপনি ঘরে বসে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে আপনার অনলাইন বিজনেস পরিচালনা করতে পারবেন।অনলাইন বিজনেস পরিচালনা করা খুব সহজেই দিক থেকেও যে যে কেউ ইন্টারনেটের সামান্য জ্ঞান থাকলেই অনলাইন বিজনেস করতে পারবে। যেমন ধরুন ফেসবুকে তো সবারই চ্যাট করে অভ্যাস আছে।
এখন অনলাইনে ফেসবুকে যদি কোন পেজ খোলা হয় তবে বিক্রেতাকে ক্রেতার সাথে চ্যাট বক্সে তার পণ্য সম্পর্কে বলতে হবে। এগুলো খুবই সহজ কাজ। এই সহজলভ্যতার জন্যই দেখা যায় যে বাংলাদেশে অনেক প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের এখন অনলাইন ব্যবহার করে ব্যবসা করছে।দূরবর্তী অঞ্চল থেকে পণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে বিক্রয় করা ও অনলাইনে বিজনেস করার একটি সুবিধাজনক দিক। যেমন ধরুন উত্তরাঞ্চলের আমের কথাই বলা যাক। উত্তরাঞ্চলের আম চাষিরা কয়েক বছর আগেও তাদের আমের জন্য ভালো দাম পেত না।কিন্তু তাদের মধ্যে এখন অনেকেই অনলাইনে বিজনেস করা শিখে গেছে। যার ফলে এই আম চাষিরা অনলাইনের মাধ্যমে ক্রেতাদেরকে তাদের আম প্রদর্শন করছেক্রেতাদের যদি আম পছন্দ হয় তবে তারা খুব ভালো দাম দিয়ে এই তা কিনে নিচ্ছে। এর ফলে আমচাষীদের জীবন মানে যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমনি তারা কাঙ্খিত আমের দামও পাচ্ছে।অনলাইনে এভাবে বিজনেস করার ফলে অনেক জায়গায় এভাবে বিক্রেতা এবং ক্রেতার মধ্যে দূরত্ব কমে এসেছে। অর্থাৎ মাঝখানে যে মধ্যস্বত্বভোগী হয়ে পণ্যের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি করত তা এখন অনেকাংশে কমে এসেছে অনলাইনে বিজনেস এর কল্যাণে।বিক্রেতার সাথে এভাবে ক্রেতার সরাসরি সংযোগ স্থাপনে ক্রেতা পাচ্ছে ভালো মানের পণ্য। আবার ঠিক তেমনি বিক্রেতা ও পাচ্ছে তার কাঙ্খিত দাম।অনলাইন বিজনেস করার আরেকটি সুবিধা হল মহিলারা সহজে অনলাইনে ঘরে বসে বিজনেস করতে পারে। বাংলাদেশে অনেক মহিলারা ঘরের বাহিরে যে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।এসব মহিলারা এখন অনলাইনে বসে থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রয় এ অংশগ্রহণ করছেন। এর ফলে অর্থনীতি যেমন গতিশীল হচ্ছে ঠিক তেমনি তাদের পরিবারও জীবনযাপন পদ্ধতিতে আসছে পরিবর্তন। বাংলাদেশের অনেক বুটিক শপ, কাপড়ের দোকান গড়ে উঠেছে যেখানে মহিলারা ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করছে।অনলাইনে বিজনেস করা আরেকটি উল্লেখযোগ্য অসুবিধা হচ্ছে যে এখানে পার্টটাইম কাজ করা যায়। যেমন ধরুন কোন ব্যক্তি কোন অনলাইনে বিজনেস প্রতিষ্ঠান খুলেছে। এখন অফলাইনে বিজনেস প্রতিষ্ঠার মত তাকে সারাক্ষণ অনলাইনে বিজনেস প্রতিষ্ঠানে বসে থাকতে হবে না। বরং সে কাজের পাশাপাশি কিছু সময় দিলেই অনলাইন বিজনেস চালানো যায়।অনলাইন বিজনেস এর জন্য কোন কোনো ক্রেতা তাকে মেসেজ দিবে তখন সে তাকে ওই মেসেজের রিপ্লাই দিতে পারে। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের কাজ করার পাশাপাশি অনলাইন ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া যায় খুব সহজেই। ( online business opportunity work from home )


আরো পড়ুন: সকল অজানা ব্যবসায়িক তথ্যগুলো জানার জন্য এখনই আমাকে ক্লিক করুন

অনলাইন বিজনেস করে কত টাকা আয় করা সম্ভব

আপনি হয়তো জেফ বেজোস এর নাম শুনেছেন। জেফ বেজোস হচ্ছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা। অ্যামাজন হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স কম্পানি।এই অ্যামাজন হচ্ছে জেফ বেজোস এর মূল ব্যবসা আছে অনলাইনে পরিচালনা করে থাকে। এই জেফ বেজোস হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনী।আবার, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের উদাহরণ টানা যায়। সেও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় একজন ধনী। তার ব্যবসার মূল মাধ্যম হচ্ছে অনলাইন।আবার বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তর কোম্পানি আলিবাবা এবং এর প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা ও অনলাইনের মাধ্যমে বিজনেস করছেন। অর্থাৎ বিশ্বের অনেক বড় বড় ধনীরা অনলাইনের মাধ্যমে বিজনেস করে তাদের ব্যবসার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।তাই বলা যায় যে অনলাইনে আয় করার সীমা কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। ইংরেজিতে যে প্রবাদটি আছে, “The sky is the limit” অনলাইনে আয়ের পরিসীমার ক্ষেত্রে খাটে।বাংলাদেশ ও অনেক অনলাইন ব্যবসায়ী আছেন যারা অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে কোটিপতি হয়েছেন। আবার অনেকে আছেন যারা অনলাইন ব্যবসা করে তাদের সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন।এভাবে আপনি অনলাইনে বিজনেস করে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে এটার জন্য লাগবে প্রচুর শ্রম, মেধা এবং সময়। যে কোন ব্যবসার মত অনলাইনে ব্যবসা করাতেও অনেক পরিশ্রম দরকার আছে। ( how to manage business money )

অনলাইন ব্যবসা করার জন্য কি কি প্রয়োজন

প্রথমের ব্যবসার কথায় আসা যাক। যে কোন ব্যবসা করার জন্যই আপনার ব্যবসায় বিক্রয় করার জন্য পণ্য লাগবে। অনলাইনে বিজনেস এর ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে।এখানে প্রথমে আপনার কোন পণ্য থাকা লাগবে যা বিক্রয় করে আপনি অর্থ উপার্জন করবেন। অর্থাৎ প্রথম শর্ত হলো আপনার বিক্রয় করার জন্য পণ্য থাকা লাগবে।তারপর আপনার একটি ইন্টারনেট কানেকশন থাকা লাগবে। একটি ডিভাইস থাকা লাগবে যে ডিভাইসে আপনি ইন্টারনেট সংযোগ করে চালাতে পারবেন। এই ডিভাইসটির হতে পারে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল, ট্যাব ইত্যাদি। যে ডিভাইসে হোক না কেন খেয়াল রাখতে হবে যে তাতে যেন ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া যায়।অনলাইন বিজনেস এর জন্য আরেকটি জিনিস জরুরি তা হচ্ছে পণ্য পরিবহন। অর্থাৎ বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রেতার কাছে কোন পণ্য পরিবহন করা। তবে পণ্য পরিবহন বর্তমানে খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে। অনেক কুরিয়ার সার্ভিস আছে যারা মানুষের বাসায় পণ্য পৌঁছে দিয়ে থাকে। পণ্য পরিবহনের জন্য আপনি এ সকল কুরিয়ার সার্ভিসের সহায়তা নিতে পারেন।
এরপর আপনিই বিভিন্ন মাধ্যম যেমন ফেসবুক বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে পণ্য প্রদর্শন করে বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ( online business needs )

অনলাইন বিজনেস কিভাবে শুরু করব 

অনলাইন বিজনেস শুরু করার সম্পর্কে অনেকেই সাজেশন চান? আমরা আজকে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করব অনলাইন বিজনেস শুরু করা নিয়ে।অনলাইনে বিজনেস শুরু করার একাধিক পদ্ধতি আছে। এর মধ্যে আপনার জন্য জুতসই বা পছন্দনীয় যে কোন পদ্ধতি আপনি আপনার অনলাইন বিজনেস শুরু করার জন্য বেছে নিতে পারেন। ( How to online business start )

ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইন বিজনেস

ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইন বিজনেস বাংলাদেশের প্রচলিত অনলাইন বিজনেস করার পদ্ধতি গুলোর মধ্যে সম্ভবত সবচাইতে জনপ্রিয় পদ্ধতি। বাংলাদেশে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা সকলে ফেসবুক চালাতে পারেন।ফেসবুক সম্পর্কে সর্বসাধারণের জ্ঞান থাকার কারণে তারা খুব সহজেই কোন একটি ফেসবুক আইডি থেকে তাদের অনলাইন পেজ খুলে ব্যবসা করতে পারেন। আমরা এখানে আলোচনা করব কিভাবে আপনি নিজস্ব একাউন্ট থেকে বা গ্রুপ খুলে বা পেজ খুলে অনলাইন বিজনেস করতে পারেন। ( How to online business social media promote )

নিজস্ব একাউন্ট থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়

আমাদের প্রায় সকলেরই একটি নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে। এই ফেসবুক একাউন্টে আমাদের পরিবারের আত্মীয়-স্বজন, আমাদের বন্ধু-বান্ধব এবং অনেকের ফেসবুক একাউন্টে অনেক না জানা বন্ধুবান্ধব সংযুক্ত থাকে।আপনি কোনো পণ্য বিক্রয় করতে চাইলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পণ্যের বার্তা ফেসবুকের ফ্রেন্ড এর কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। তাদের মধ্যে যদি কেউ কিনতে আগ্রহী থাকে তখন তারা এই ফেসবুক আইডির মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে নেয়।এই পদ্ধতির অনেক সুবিধা আছে কিন্তু এই পদ্ধতি দীর্ঘমেয়াদে উপযুক্ত নয়। এই পদ্ধতির আরেকটি সমস্যা হল যে এখানে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত পোস্ট গুলো শুধু আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড দের এই নজরে আসবে।ফেসবুক ফ্রেন্ড সার্কেলের বাইরে অন্যান্য মানুষ আপনার পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে না। তাই প্রাথমিকভাবে এ ধরনের পদ্ধতি দিয়ে আপনি আপনার বিক্রয় শুরু করতে পারেন। তবে দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে অন্য ধরনের স্ট্রাটেজি যেমন গ্রুপ খুলে বা পেজ খুলে পণ্য বিক্রয়ের দিকে যেতে হবে। প্রাথমিক অনলাইন বিজনেস শুরু করার জন্য নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুকে পণ্য বিক্রয় একটি চমকপ্রদ আইডিয়া। 



পেজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় 

পেজ খুলে পণ্য বিক্রয় করা একটি সুবিধাজনক এবং একটি দীর্ঘমেয়াদে উপযুক্ত প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার অনেক সুবিধা আছে। যেমন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য ফেসবুক থেকে বুস্ট করতে পারবেন।এখানে আপনার পেজে যারা লাইক করে বা ফলো করে তারা সকলেই আপনার পণ্য সম্পর্কিত পোস্ট গুলো দেখতে পাবে। ফেসবুক পেজ আপনি আপনার একাউন্টের মাধ্যমে খুলতে পারেন।তারপর এই পেইজে আপনি আপনি সহ একাধিক এডমিন এড করতে পারেন। এই এডমিন গুলো হতে পারে আপনার অন্য আইডি, আপনার পরিচিত মানুষ যারা আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার পেজটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। একটি পেজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করলে বহু রকমের সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন ধরুন আপনি যে পণ্য বিক্রয় করেন সেই পণ্য কোন ক্রেতা ব্যবহার করে ভাল ফল পেল। এখন এই ক্রেতা সে আপনার পেজে যদি ভালো রিভিউ দেয় তবে তা পেজ এর শুরুতে রিভিউ আকারে প্রকাশ পাবে।এর মাধ্যমে অন্যান্য ক্রেতারা আপনার পেজ থেকে পণ্য কিনতে উৎসাহিত হবে। পাশাপাশি আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে মেসেজিং সহ অনেক কাজ করতে পারবেন। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আরেকটি যে কাজ করা যায় তা হচ্ছে বুষ্টিং। বুষ্টিং বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় পদ্ধতি পণ্য বিক্রয়ের জন্য। বুষ্টিং এ ফেসবুক কে কিছু পরিমাণ টাকা দিয়ে নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের কাছে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা যায়।যেমন ধরুন আপনি যদি প্রসাধন সামগ্রী বিক্রি করেন লিপস্টিক বা ফেসওয়াশ ক্রিম যা সাধারণত মেয়েরা বেশি ব্যবহার করে। সুতরাং সহজ হিসাব হল যে মেয়েরাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আপনার পণ্যের ক্রেতা হবে।এক্ষেত্রে আপনি যা করতে পারে তা হচ্ছে ফেইসবুক বুষ্টিং এর মাধ্যমে শুধু মেয়েদের কেই আপনার বিজ্ঞাপনের লক্ষ বানাতে পারেন। এক্ষেত্রে শুধু মেয়েদের ফেসবুক পেজে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে।এই বুষ্টিং এর ফলে যেমন আপনার পণ্য বিক্রয় হবার সম্ভাবনা বাড়বে। পাশাপাশি আপনার বিজ্ঞাপন থেকে রিটার্ন অফ ইনভেসমেন্ট এর সম্ভাবনা অনেক বেশি। কেননা এই ধরনের বুষ্টিং থেকে একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণীকে টার্গেট করা হচ্ছে যারা ঐ পণ্য বেশি কিনে থাকে। বুষ্টিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন আপনি যদি ছবির মাধ্যমে আপনার পণ্যের বুষ্টিং করতে চান তবে তা যেন আকর্ষণীয় হয়। আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন যদি আপনি আকর্ষণীয় করতে চান তবে কোনো গ্রাফিক ডিজাইনার এর সাহায্য নিতে পারেন। গ্রাফিক ডিজাইনারদের কে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে ছবির মাধ্যমে যেন আপনার পণ্য সম্পর্কিত বার্তা সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে । যদি ফটো এডিটিং সম্পর্কে আপনার নিজের জ্ঞান থাকে তবে আপনি নিজেও এই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজটি করতে পারেন।এখানে মূল বিষয়টি হচ্ছে যে আপনার পণ্যের বার্তা সুন্দরভাবে আপনার ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো। আবার অনেকে এখন ছবির মাধ্যমে শুধু বিজ্ঞাপন না দিয়ে ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে তাদের পণ্যের প্রচারণা চালাতে চায়। ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণা চালাতে চাওয়া খুবই ভাল একটি পদ্ধতি।অনেক সময় দেখা যায় যে ভিডিও অনেক লম্বা হয়ে যাওয়ায় সম্ভাব্য ক্রেতারা পুরোটি ভিডিও দেখতে আগ্রহ বোধ করেন না। এসব ক্ষেত্রে মূল মেসেজ অনেক সময় তাদের সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে এসে পৌঁছায় না।সুতরাং ভিডিওটি যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত রেখে বার্তাটি কাঙ্খিত ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি ভিডিও কোয়ালিটি উত্তম হতে হবে। পণ্যের বুষ্টিং করার জন্য আমি বলব ভিডিওগ্রাফি সবচাইতে উত্তম পদ্ধতি। কারণ ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে পণ্য সম্পর্কিত বার্তাটি পৌঁছে দেওয়া আরো সহজ হয়ে যায়। তবে ভিডিওগ্রাফি ছাড়াও আপনি সুন্দর করে ছবির মাধ্যমেও আপনার পণ্য সম্পর্কিত বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন। ছবি বা ভিডিও ছাড়াও অনেকে শুধু কোন ছোট গল্পের মাধ্যমে ফেসবুকে বুষ্টিং করে থাকে। তবে এই পদ্ধতি তুলনামূলকভাবে কম কার্যকর পদ্ধতি অন্যান্য পদ্ধতি গুলোর তুলনায়।  ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করতে চাইলে পোস্টিং এর জন্য ভিডিওগ্রাফি বা ছবি মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে দেয়ায় সবচাইতে ভালো। ( How to online business Sale )



গ্রুপ খুলে ফেসবুকে পণ্য বিক্রয়

গ্রুপ খুলে ফেসবুকের পণ্য বিক্রয় অন্যতম আরেকটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এতে পণ্য বিক্রয় এর নিয়ম হলো আপনাকে গ্রুপের এডমিন হওয়ার পর যত বেশি পারেন সদস্য এড করতে হবে।যত বেশি সদস্য হবে পণ্য বিক্রয় হবার সম্ভাবনা ততই বাড়বে। তবে গ্রুপ করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে গ্রুপ এর নিয়ন্ত্রণ যেন আপনার হাতে থাকে।বাংলাদেশ দেখা যায় যে অনেকে কমন গ্রুপের মাধ্যমে বা নিজের সুনির্দিষ্ট গ্রুপের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করে থাকে। কমন গ্রুপ হচ্ছে একটি প্ল্যাটফর্ম এর মত যাকে বাণিজ্যমেলার সাথে তুলনা করা যায়।বাণিজ্য মেলায় যেমন অনেকগুলো বিক্রেতা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে ঠিক তেমনি কমন গ্রুপগুলোর অবস্থাও তদ্রুপ। এখানে নিয়ম হচ্ছে যদি এখানে পোস্ট করতে হয় তবে এডমিনকে কিছু পরিমাণ অর্থ দিতে হয়।আবার অনেক কমন গ্রুপগুলো নির্দিষ্ট নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্য যোগ করতে হয়। অনেক জায়গায় কমন গ্রুপ গুলো তে ন্যাশনাল আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন করার পর গ্রুপে পোস্ট করা যায়।মূল কথা হলো গ্রুপগুলোর এডমিন যেভাবে চান সেভাবে তারা পোস্ট করার নিয়ম নীতি তৈরি করতে পারেন। সেই নিয়মনীতি মেনে একজন বিক্রেতা ওই গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন।
আবার অনেকে নিজস্ব গ্রুপ তৈরি করে এই গ্রুপের মাধ্যমে তারা সদস্য অন্তর্ভুক্ত করেন। এর মাধ্যমে তারা তাদের পণ্য বিক্রয় করে থাকেন।সর্বোপরি ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রয় করে অনেকে অনলাইন বিজনেস করছেন।সার্বিক বিবেচনায় আমরা বলবো ফেসবুকে যে পদ্ধতি সবচাইতে উত্তম পণ্য বিক্রির জন্য তাহল ফেসবুকে পেজ খুলে পণ্য বিক্রয় করা। ( How to Facebook group products sell )

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ