Join Our Telegram channel! name='keywords'/> What is the Metaverse? A2Z | মেটাভের্স থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো কি?

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

What is the Metaverse? A2Z | মেটাভের্স থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো কি?

বর্তমান যুগ হলো প্রযুক্তিগত যুগ। দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত করার কার্যকলাপ এর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদান রয়েছে। তবে বর্তমান ডিজিটাল যুগে  যে প্রযুক্তিটির কথা না বললেই নয় সেটি হলো মেটাভার্স । মেটাভার্স প্রযুক্তিকে ব্যবহার করার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলো থেকে প্রায় 10,000 কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে ফেসবুক। এছাড়াও বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো  মেটাভার্স  নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মেটাভার্স এমন একটি অনলাইন জগত  যেখানে মানুষ একক ভাবে যেকোনো কাজ করতে সক্ষম হবে। যেমন পেশাদার কাজগুলো এবং অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবে এই  ।মেটাভার্স । ভিআর) ব্যবহার করে মেটাভার্স দুনিয়ার সুবিধা গুলো নেওয়া যাবে। facebook  কর্ণদার  জোকারভার্স মেটাভার্স চালুর পরিকল্পনা জানিয়েছে2030 সালের ভিতরে ।  ফেসবুক যখন একাধিক বার নেটওয়ার্ক ভিগ্নের জলিলতায় ভুগছে এবং বিশ্বের প্রভাব কামাতে এই সামাজিক মাধ্যমটিকে রীতিমতো নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনার দাবি জোরালো হচ্ছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে মেটাভার্সের ঘোষণা দেওয়া হয়। তো এবার মেয়েটা ভার্স এর বিষয়ে সম্পর্কে চলে যাওয়া যাক।


What is the Metaverse?


মেটাভার্স কি – Metaverse কি?


*Metaverse শব্দটি, Meta এবং Verse এই শব্দ দুটি নিয়ে গঠিত । এখানে Meta একটি গ্রীক শব্দ, যার অর্থ হল অতিক্রম । আর Verse শব্দের অর্থ হল Universe । সুতরাং মেটাভার্স অর্থ হল এমন একটি জগৎ যা আমাদের কল্পনার বাইরে, অর্থাৎ কল্পনার বাইরের জগত।সহজ ভাষায় বলতে গেলে, মেটাভার্স হল একটি হাইপোথেটিকাল ধারণা , যা একটি ত্রিমাত্রিক (3D) ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড সম্পর্কে ধারণা দেয় । মেটাভার্স হল এমন একটি পৃথিবী, যা আপনি ভিআর (ভার্চুয়াল রিয়েলিটি) বক্স এবং এআর (অগমেন্টেড রিয়েলিটি) হেডসেটের মাধ্যমে দেখতে এবং অনুভব করতে পারবেন । যদিও এটি একটি বাস্তব জগত নয়, তবুও আপনি এখানে বাস্তবতার ফিলিংস নিতে পারবেন ।


*উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি কখনও 3D গেম খেলে থাকেন, তাহলে আপনি দেখে থাকবেন যে, একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট পরলে আপনার মনে হবে যে, আপনি নিজেই গেমের মধ্যে ঢুকে পরেছেন । আসলে কিন্তু আপনি আপনার চেয়ারেই বসে আছেন । মেটাভার্সও এমনই একটি ভার্চুয়াল জগত, যেখানে আপনি এআর এবং ভিআর-এর সাহায্যে বাস্তবতার মতই ফিলিংস নিতে পারবেন ।এই ভার্চুয়াল জগতে আপনি আপনার নিজের ক্যরেক্টার বা অবতার তৈরি করতে পারবেন এবং সেই ক্যরেক্টারে  আপনি যা বাস্তব জীবনে করে থাকেন সেগুলো খুব সহজেই করতে পারবেন মেটা ভার্সসের মাধ্যমে । ধরুন, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, কথা বলা, গেম খেলা, অনলাইনে কেনাকাটা করা, গাড়ি ড্রাইভ করা ইত্যাদি । মেটাভার্স আপনাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা দেবে ।


কিভাবে Metaverse কাজ করবে?


মেটাভার্স হবে একটি কম্পিউটার জেনারেটেড থার্ড ডাইমেনশনাল ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড, যা আপনি একটি ভার্চুয়াল ক্যারেক্টারের সাহায্যে উপভোগ করতে সক্ষম হবেন । এবং এই ক্যারেক্টারের সাহায্যে আপনি অন্যান্য মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন । তবে এটি করার জন্য আপনার ভিআর হেডসেট বা স্মার্ট চশমার প্রয়োজন হবে । বিভিন্ন ধরনের জিনিস স্পর্শ করতে এবং অনুভব করতে, আপনাকে একটি মোশন ট্র্যাকিং ডিভাইস ইউজ করতে হবে । আর এসবই সম্ভব হবে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর), অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর), ব্লকচেইনের মত প্রযুক্তির সাহায্যে।


কিভাবে Metaverse থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়?


*যাইহোক, মেটাভার্স ডেভেলপের বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে । কিন্তু বর্তমানে অনেক মেটাভার্স টাইপের প্রজেক্ট আছে যেখানে মানুষ বিনিয়োগ করছে এবং সেখান থেকে ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে । আপনিও এই প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন । তবে সেটা হবে পুরোপুরি আপনার নিজ দায়িত্বে ও বুঝে শুনে করার চেষ্টা করতে পারেন।

*সম্পত্তি – মেটাভার্সে আপনি ভার্চুয়াল জমি কিনতে পারবেন এবং আপনি সেই জমি বিক্রি করে বা ভাড়ায় দিয়ে ভাল টাকা উপার্জন করতে পারবেন । Decentraland এবং Sandbox হল এইরকম দুটি প্রকল্প, যেখানে আপনি আপনার নিজস্ব ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তৈরি করতে পারবেন এবং সেই সাথে NFT আকারে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল জমি এবং প্লট কিনতে পারবেন বা বিক্রি করতে সক্ষম হবেন।Decntraland এ জমি বা প্লট কেনার জন্য মানা নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হয় । অন্যদিকে স্যান্ডবক্সে স্যান্ড নামে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি টোকেন ইউজ করে জমি কেনা যায় ।

*মেটাভার্স টোকেন – আপনি যদি চান, তাহলে আপনি মেটাভার্স প্ল্যাটফর্মে ইউজ করার জন্য ক্রিপ্টো টোকেন কিনতে পারেন ।যেমন মানা অফ ডিসেন্ট্রান্ড, অ্যাক্স অফ অ্যাক্সি ইনফিনিটি, স্যান্ড অফ স্যান্ডবক্স ইত্যাদি । টোকেন কেনার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এগুলোর জনপ্রিয়তা যত বাড়বে, ততই এইসব টোকেনের মূল্য বাড়বে । আর এর ফলে আপনি অনেক উপকৃত হতে পারেন।


তব মেটাভার্স হলো নতুন একটি প্রযুক্তি যেটি নিয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলো কাজ করে যাচ্ছে যেমন google, facebook ,microsoft ,amazon শহ ইত্যাদি কোম্পানিগুলো।2030 সালের মধ্যে এই মেটাভার্স প্রযুক্তিটির স্বাদ পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হতে যাচ্ছে। এই ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কে আপনাদের কি রকম লেগেছে তা অবশ্যই আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন আপনাদের একটি কমেন্টের মাধ্যমে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ