Join Our Telegram channel! name='keywords'/> ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সম্পূর্ণ আলোচ্য বিষয়বস্ত | I Tested All in one VR Pico neo 3 Headsed

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সম্পূর্ণ আলোচ্য বিষয়বস্ত | I Tested All in one VR Pico neo 3 Headsed

বর্তমান যুগ হল প্রযুক্তির যুগ । কারণ বর্তমান সময়ে আমরা যে কাজ করে থাকি তা প্রায় বেশিরভাগ কাজ ই প্রযুক্তির মাধ্যমে করে থাকি। প্রযুক্তি হল জ্ঞান, যন্ত্র এবং তন্ত্রের ব্যবহার কৌশল যা আমরা আমাদের জীবন যাত্রা সহজ করার জন্য ব্যবহার করে থাকি। তবে বর্তমান সময়ে অকল্পনিয় একটি প্রযুক্তি হলো VR। যার পুরোপুরি মিনিং হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি । এই প্রযুক্তিটির মাধ্যমে আমরা অনেক সুবিধা এবং অসুবিধা বোধ করতে পারবো । এটি কি ধরনের প্রযুক্তি এই আর্টিকেলটির নিচে তুলে ধরা হলো। আর এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তিটি আসলে কি তাও জানতে পারবো এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাওয়া যাক এই আধুনিক প্রযুক্তির স্পেসিফিকেশন এর দিকে।


ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সম্পূর্ণ আলোচ্য বিষয়বস্ত | I tested All in one VR Pico neo 3 Headsed


এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে প্রযুক্তিভিত্তিক বিজ্ঞানীদের মতের উপর ভিত্তি করে ।


ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি ?

*ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো কম্পিউটার সিমুলেশনের সাহায্যে তৈরি ত্রিমাত্রিক পরিবেশ যা ব্যবহারকারীর কাছে সত্য ও বাস্তব বলে মনে হয়। একে সিমুলেটেড পরিবেশও বলা হয় । কম্পিউটার প্রযুক্তি ও অনুকরণবিদ্যার প্রয়োগে কৃত্রিম পরিবেশকে এমনভাবে তৈরি ও উপস্থাপন করা হয়,যা ব্যবহারকারীর কাছে সত্য ও বাস্তব বলে মনে হয়। ১৯৬২ সালে মর্টন এল হেলগি তাঁর তৈরি সেন্সোরামা স্টিমুলেটর নামক যন্ত্রের মাধ্যমে প্রথম ভার্চুয়াল রিয়েলিটির আত্নপ্রকাশ করেন।

*প্রথাগত ইউজার-ইন্টারফেসের বিপরীতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীকে একটি অভিজ্ঞতার ভিতরে রাখে। ব্যবহারকারী শুধুমাত্র স্ক্রিন দেখেন না বরং 3D-ওয়ার্ল্ডে নিমগ্ন এবং ইন্টারঅ্যাক্ট করতে সক্ষম হন। দৃষ্টি, শ্রবণশক্তি, স্পর্শ এমনকি গন্ধের মতো যথাসম্ভব ইন্দ্রিয়ের অনুকরণের মাধ্যমে কম্পিউটারটি এই কৃত্রিম বিশ্বে দারোয়ান হিসাবে রূপান্তরিত হয়।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বৈশিষ্ট্য গুলো 

*এই কৃত্তিম পরিবেশে ত্রি-মাত্রিক ইমেজ তৈরি হয়।
*কৃত্তিম পরিবেশ হলেও অনুভূতি বাস্তবের মত।
*ব্যবহারকারী কোন শারিরীক ঝুঁকি ছাড়াই বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
*কম্পিউটার প্রযুক্তি ও অনুকরণবিদ্যার (Simulation) প্রয়োগ ।

*ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলো – Vizard, VRToolKit, 3d Studio Max, Maya ইত্যাদি।

*ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য, ইন্টারেক্টিভ, কম্পিউটার  নিয়ন্ত্রিত, অবেক যোগ্য  এবং নিমগ্নযোগ্য হয়ে থাকে ।

*কিছু নির্দিষ্ট যন্ত্রে সজ্জিত একজন মানুষ পুরেপুরি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড বা কল্পনা জগতের স্বাদ গ্রহন করতে পারে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপকারিতা ও অপকারিতা

*ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে বিভিন্ন কার্যক্রমের খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার মানুষের জন্য ক্ষতিকর। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মানুষের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি হ্রাস করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে মানুষের বাস্তবিক সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, সুতরাং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব মানুষের সামাজিক দূরত্ব আরো বৃদ্ধি করবে এমনটাই জানা গেছে বিশেষজ্ঞদের মতে । ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যাপক প্রসারের কারণে মানুষের পরস্পরের প্রতি সামাজিক সম্পর্ক হ্রাস পাবে এবং মনে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহারের  ক্ষেত্র বাস্তব জীবনের ভূমিকা 

*প্রকৌশল ও বিজ্ঞানঃ বিজ্ঞানের জটিল বিষয় নিয়ে গবেষণা, গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রসেসের সিমুলেশনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যপক প্রয়োগ রয়েছে।

*খেলাধুলা ও বিনোদনঃ ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কল্যাণে কম্পিউটারের সাথে কোন খেলায় অংশগ্রহন বা কম্পিউটার সিস্টেমে অনুশীলন সহজ হচ্ছে। দ্বিমাত্রিক বা ত্রিমাত্রিক সিমুলেশনের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্ভর ছবি যা সবার কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

*ব্যবসা ও বাণিজ্যঃ কোন পণ্য উৎপাদনের পূর্বে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে পণ্যের মান পরীক্ষা করা যায়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ভোক্তা বা ক্রেতার কাছে পণ্যের ব্যবহার পদ্ধতি ও অন্যান্য সুবিধাসমূহ সহজে উপস্থাপন করা যায়। এছাড়া ব্যবসায়িক কর্মচারীদের প্রশিক্ষণও প্রদান।

*শিক্ষাক্ষেত্রঃ শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অনেক প্রভাব রয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার জটিল বিষয়গুলো সহজে উপস্থাপন এবং পাঠদানের বিষয়টি সহজে চিত্তাকর্ষক ও হৃদয়গ্রাহী করা যায়।

*চিকিৎসাক্ষেত্রঃ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের অন্যতম বৃহৎ ক্ষেত্র হচ্ছে চিকিৎসাবিজ্ঞান। এই প্রযুক্তিতে সিমুলেশনের মাধ্যমে জটিল সার্জারি অত্যন্ত সূক্ষভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। চিকিৎসকদের নতুন চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা অর্জন বা প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ইতিবাচক প্রভাব 

*শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এর ক্ষেত্রে জটিল বিষয়গুলো ত্রিমাত্রিক চিত্রের মাধ্যমে আকর্ষণীয় ও হৃদয়গ্রাহী করা যায়।

*ঝুঁকিপূর্ণ উৎপাদন ব্যবস্থায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রয়োগ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থা সহজ-সরল করা সম্ভব।

*বাস্তবায়নের পূর্বে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে সিম্যুলেশনের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খরচ কমানো যায়।

*****

তবে আপনার যদি এই ডিভাইসটি ব্যবহারের প্রতি আগ্রহ থাকেন তাহলে  Pico neo 3 মডেলের VR টি ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে এই প্রযুক্তিতে প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে 41,990 টাকা। যেটাকে আমরা মোটামুটি উন্নত মানের একটি  VR বলতে পারি ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ