Join Our Telegram channel! name='keywords'/> Certain essential information to be smart | স্মার্ট হতে হলে আমাদের যে বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

Certain essential information to be smart | স্মার্ট হতে হলে আমাদের যে বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে

আমাদের মাঝে প্রায় অনেকের রয়েছে যারা স্মার্ট হওয়ার উপায় জানতে চায় । smart হওয়ার উপায় আসলেই অনেক সহজ। আজকের এই লেখায় স্মার্ট ব্যক্তিদের জীবনী ও লেখা থেকে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরা হলো ।স্মার্ট হওয়ার জন্য আপনাকে খুব দামি দামি পোশাক পড়তে হবে এমন নয়। কিছু কৌশল আর অভ্যাস আপনাকে স্মার্ট করে তুলতে পারে । স্মার্ট মানুষের চাহিদা সকল ক্ষেত্রের প্রথমে। মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা সব কিছুই তারা অর্জন করে নিতে পারে।স্মার্ট ব্যক্তিরা যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি সহজে মানিয়ে নিতে, তার সমাধান ও  করতে পারে। যাই হোক ভূমিকা বড় না করে, স্মার্ট হওয়ার উপায় জানা যাক। এ ছাড়া , আপনি চাইলে, জীবনে অন্যতম এক জন স্মার্ট ব্যক্তি হওয়ার জন্য  ৭টি উপায় জেনে রাখতে পারেন যেগুলো স্মার্ট ব্যক্তিরা করে থাকে।


Certain essential information to be smart | স্মার্ট হতে হলে আমাদের যে বিষয়ের দিকে  লক্ষ্য রাখতে


*সবার প্রথমে আমাদের জানতে হবে স্মার্টনেসটা আসলে কি? 

*সাধারণত স্মার্টনেস হলো বুদ্ধিমত্তার এবং শরীরের ভাষার সম্বনয়ে অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। স্মার্ট মানুষ সাধারণত যেকোনো সময় বা পরিস্থিতিতে নিজের বুদ্ধি এবং মেধা খাটিয়ে তার ধারণা বা আইডিয়া দিয়ে পরিচিতি কে মানিয়ে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলে ধরতে পারে। সহজভাবে বলতে গেলে বা এককথায় বলা যায় পটিয়ে ফেলা বা ইমপ্রেস করার ক্ষমতা। সাধারণত স্মার্ট মানুষদের মধ্যে সবথেকে বড় গুণ হচ্ছে তাদের সব বিষয়েই মোটামুটি কিছু ধারণা থাকে যা তাদের অন্যদের চোখে তখন বুদ্ধিমান বলে মনে করায়। 

নাম্বার ১ মানুষের সাথে চলাফেরার দক্ষতা অর্জন করুন

স্মার্ট শব্দটি মূলত মানুষ এবং সমাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বন-জঙ্গলের পশু-পাখিদের জন্য নয়। আর সামাজিক জীব হিসাবে মানুষের সাথে আপনার আচার-আচরণ এবং চলাফেরার মধ্যেই স্মার্টনেস নির্ভর করে। আপনি যত স্মার্ট হবেন আপনার জীবন-যাপন ও লাইফ-স্টাইল তত নিখুঁত হবে। এরকম কিছু গুণ:

*কথা বলার সময় মুখে হাসি এবং চোখে চোখ রাখুন।

*সবসময় কথাগুলো  সংক্ষিপ্ত করোন। আপনার বুদ্ধি  বৃদ্ধি করতে হলে, অবশ্যই তার ব্যস্ততা সম্পর্কে নিশ্চিত হন।

*নতুন মানুষের সাথে বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। কথোপকথনের বিষয় পরিবার, পেশা, পছন্দ-অপছন্দ আর তার ভবিষ্যৎ স্বপ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন।

*উৎসাহিত এবং  ভাল কাজের প্রশংসা করুন।

*ইতিবাচক চিন্তা করুন।

*অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন  তারপর ভেবে চিন্তে উত্তর দিন।

*যে কারো সাথে প্রথম পরিচয়ে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজন হলে, আগে নিজের সম্পর্কে বলুন তারপর জিজ্ঞাসা করুন।

*সততা এবং ওয়াদা রক্ষা করুন।

নাম্বার ২ ইতিবাচক অভ্যাস করুন

ভাল অভ্যাসই পারে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে তৈরি করতে। কিছু কিছু ভালো অভ্যাস আছে যেগুলো আপনার মাঝে নিয়ে আসতে পারলে। খুব সহজেই স্মার্ট হতে পারবেন। যেমন:

*প্রশ্ন করুন: সবসময় প্রশ্ন করুন। তবে, এই প্রশ্নগুলো গুগল কিংবা যেসব মাধ্যমে প্রশ্ন করা যায় সেসব মাধ্যমে করুন যেমন: কোয়ারা, বিস্ময়, ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ ইত্যাদি বিশ্বস্ত মাধ্যমগুলোতে । এর ফলে আপনার মধ্যে জানার আগ্রহ তৈরি হবে। আর উত্তর জানার মাধ্যমে আপনার জ্ঞানের বিকাশ ঘটবে।

*প্রতি সপ্তাহের রুটিন করুন: আপনি ১ সপ্তাহে কি কি কাজ করবেন, তার একটা রুটিন তৈরি করে ফেলুন। এর ফলে, আপনার কাজের প্রোডাক্টিটিভিটি বাড়বে। সেই সাথে কোন ভালো কাজ গুলো বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।

*প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন: প্রতিদিন Good কিছু  শেখার চেষ্টা করুন। আর পূর্বে শেখা বিষয়গুলো রিভিশন দিন।

 নাম্বার ৩ মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করুন

আপনি কতটা স্মার্ট সেটা আপনার মস্তিষ্কের উপর নির্ভর করে। কেননা পূর্বে উল্লেখ করেছি বুদ্ধিমত্তা আর বিচক্ষণতা হল স্মার্ট হওয়ার প্রধান  উপায়। আর এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রয়োজন মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি। মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যেসব কাজ করতে পারেন। যেমন:

রুবিকস কিউব

*পাজল বা রুবিক’স কিউব গেম খেলতে পারেন। এটা আপনার ব্রেইনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করাবে। এছাড়া, সুডুকো খেলতে পারেন। যা অনলাইন কিংবা পত্রিকা, বিভিন্ন ম্যাগাজিনে পাওয়া যায়।

*সৃজনশীল কাজ কর্মে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। সেটা হতে পারে ছবি আঁকা।গণিত সমাধান করুন। এছাড়া, মানসিক দক্ষতা তথা IQ সমাধান করুন। এসব, অনুশীলন আপনার মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।

 নাম্বার ৪ প্রতিদিন সংবাদপত্র পড়োন

*সারা পৃথিবীর কোথায় কি ঘটছে তার সম্পর্কে প্রচুর তথ্য জানতে পারবেন নিয়মিত সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাস তৈরি করার মাধ্যমে । যা আপনাকে তথ্যগত দিক থেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে । আপনি যখন এতকিছু নিয়ে জানবেন, তখন আপনি অকল্পনিয়ভাবেই নিজে নিজে স্মার্ট হয়ে উঠছেন ।

 নাম্বার ৫ উন্নত মানের বই পড়ুন

বই পড়া আপনার সৃজনশীলতাকে প্রখর করে তুলবে, আর আপনার ভেতরের সংকীর্ণ চিন্তা ও সীমাবদ্ধতাকে দূর করে দেবে । তাই বেশি বেশি বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন । চেষ্টা করুন ভাল ভাল বই টানা শেষ করে যেতে । এটা আপনাকে শুধু স্মার্টই করবে না, আপনার জীবনে নানা ভাবে অবদান রাখতে পারে, আপনার বই পড়ার অভ্যাস ।

নাম্বার ৬ নতুন নতুন আইডিয়া বের করুন

এই ব্যাপারে  সবাই একমত যে, নতুন নতুন আইডিয়া যেসব মানুষ তৈরি করতে পারে তারা তুলনামুলকভাবে অন্যদের চেয়ে বেশি স্মার্ট হয় । স্মার্ট হতে হলে শেখার জন্য আপনার মনের দরজা সব সময় খোলা রাখতে হবে, চারপাশ থেকে গ্রহণ করুন, শিখুন- যেটা আপনাকে স্মার্ট করে তুলবে । তাই বলাই যেতে পারে এ বিষয়টি স্মার্ট হওয়ার অন্যতম একটি কারণ।

নাম্বার ৭ যা জানেন তা অন্যদের সাথে শেয়ার করুন 

আপনি যা শিখেছেন, আপনি যে ভালো ভালো বিষয়গুলো জানেন   সেটা অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন  । এর ফলে আপনি আপনার আইডিয়া সম্পর্কে তাদের মতামত, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে পারবেন । একই সাথে অন্যদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার আইডিয়ার একেবারে স্বচ্ছ একটি ছবি আপনা আপনি তৈরি হয়ে যাবে আপনার মস্তিষ্কে । যেটা আপনার আইডিয়াকে আগের চেয়ে ও সূক্ষ্ম  ও পরিপূর্ণ করে তুলবে । তাই কখনো নিজের আইডিয়া অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভয় পাবেন না ।

এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম কয়েকজন স্মার্টনেস ব্যক্তিদের পরামর্শে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ