logo design career
লোগো ডিজাইন কি? লোগো ডিজাইন করে আয়
বন্ধুরা আপনারা যদি প্রথম পর্বটি মিস করে থাকেন তাহলে এখানে ক্লিক করে দেখে নিন ।
লোগো ডিজাইন করার জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
একজন ফ্রিল্যান্সারের যদি নিজস্ব ব্লগিং সাইট এবং ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে কিন্তু তাকে এই সাইটগুলোতে লোগো ডিজাইন করার প্রয়োজন হতে পারে । কেবলমাত্র নিজস্ব ওয়েবসাইট নয় আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে লোগো ডিজাইনের কাজ করতে চান তাহলে লোগো ডিজাইন করার জন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার অথবা অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে । ওয়েবসাইটগুলোতে টেক্সট এবং থিম গঠন করার জন্য লোগো ডিজাইন এর প্রয়োজন হয় । (logo design)
একজন ফ্রিল্যান্সারের যদি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সে টাকা খরচ করেও অন্যান্য লোগো ডিজাইনারদের হায়ার করে কাজটি করাতে পারবে । কিন্তু আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের লোগো ডিজাইন এবং থিম তৈরী করতে চান তাহলেও কিন্তু খুব সহজেই আপনি লোগো ডিজাইনের সফটওয়্যার এবং অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে সুন্দর সুন্দর লোগো ডিজাইন যুক্ত করতে পারবেন । বর্তমানে অনেক ফ্রী লোগো ডিজাইন সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার জন্য টাকার প্রয়োজন হবে না । (free logo design)
একজন ফ্রিল্যান্সার কম্পিউটার এবং মোবাইল দুটোর জন্যই ফ্রী লোগো ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবে । লোগো ডিজাইন করার জন্য যে সফটওয়্যারগুলো পারমিশন দিয়ে থাকে সেগুলোকে লোগো ডিজাইন অ্যাপ বলা হয়ে থাকে । এক কথায় আমরা লোগো ডিজাইন করার জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারব সেগুলোকে লোগো ডিজাইন অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার বলা যায় । (free logo design software)
লোগো ডিজাইন সফটওয়্যার গুলোর কিছু সুবিধা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো আপনি যেকোন স্থানে বসে এবং যে কোন জায়গা থেকেই এই সফটওয়্যারগুলোকে ব্যবহার করতে পারবেন এবং গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করার সুযোগ রয়েছে । এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব দ্রুত এবং তাড়াতাড়ি লোগো ডিজাইন করতে পারবেন । অন্যদিকে লোগো ডিজাইন করার জন্য কাউকে হায়ার করতে হচ্ছে না এক্ষেত্রে আপনি খরচ করা থেকে বেঁচে যাচ্ছেন ।
স্মার্টফোন এবং কম্পিউটার দিয়ে লোগো ডিজাইন করা যায় এমন কয়েকটি সফটওয়্যার নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো ।
১ / লোগো মেকার শপ
২ / ইরিস লোগো মেকার
৩ / ট্রিপল এ লোগো
৪ / ভেক্টর
৫ / ক্যানভা
৬ / ডট পিচ
লোগো মেকার শপ
স্মার্টফোন দিয়ে সেরা ব্যবহারযোগ্য ফ্রী লোগো ডিজাইন অ্যাপস হল লোগো মেকার শপ । এটি একটি জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় লোগো ডিজাইনার সফটওয়্যার যেটি কিনা আইফোন এবং আইপ্যাডে ব্যবহার করা যাবে । এই অ্যাপসটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কোন প্রকার ধারণা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে না । একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার খুব সহজ এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে এই সফটওয়্যারটি দিয়ে লোগো ডিজাইন করতে পারবে ।
খুবই আকর্ষণীয় একটি বিষয় হচ্ছে এই সফটওয়্যারটিতে প্রফেশনাল মানের freelancer-দের দিয়ে এক হাজারেরও বেশি টেম্পলেট তৈরি করে রাখা হয়েছে । এই সফটওয়্যারটি দিয়ে লোগো ডিজাইন করার জন্য আপনি আপনার পছন্দমতো টেমপ্লেট বেছে নিতে পারবেন । এর পাশাপাশি পাঁচ হাজারেরও বেশি ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইন , ফন্ট এবং সিম্বল রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে লোগো ডিজাইনকে প্রিমিয়াম লুক দেওয়া যাবে ।
ইরিস লোগো মেকার
লোগো ডিজাইন তৈরি করার জন্য আরও একটি আকর্ষণীয় সফটওয়্যার যার নাম হচ্ছে ইরিস লোগো মেকার । অন্যান্য লোগো ডিজাইনার সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে এই সফটওয়্যারটি দিয়েও সেম ফিচার পাওয়া যাবে । তবে একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার এর কাছে এই সফটওয়্যারটি দিয়ে লোগো ডিজাইন তৈরি করা অনেকটা কঠিন বলে মনে হতে পারে ।
তার কারণ হলো এই সফটওয়্যারটি দিয়ে নিজের ক্রিয়েটিভিটি এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে লোগো ডিজাইন করতে হবে । তবে একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার এর পক্ষে অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে এই সফটওয়্যারটি ব্যাবহার সম্পর্কে জ্ঞান না থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয় । তাই যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার তাদের জন্য এই সফটওয়্যারটি দিয়ে লোগো ডিজাইন করাটা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে । তবে কিছুটা অভিজ্ঞতা অর্জন করার পরেই আপনি এটি দিয়ে লোগো ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন । লোগো ডিজাইন করার জন্য বিভিন্ন আইকন এবং স্টিকারের ব্যবহার করা
যাবে ।
ট্রিপল এ লোগো
জনপ্রিয় এবং ফ্রী লোগো ডিজাইন করার জন্য সকলের কাছে পরিচিত একটি লোগো ডিজাইন সফটওয়্যার হচ্ছে ট্রিপল এ লোগো । এই সফটওয়্যারটি এতটাই মানসম্মত যে এটি ব্যবহার করে আপনি যে কোন ধরনের লোগো ডিজাইন করতে পারবেন । এই সফটওয়্যারটি দিয়ে লোগো ডিজাইন করার জন্য বিভিন্ন টেক্সট , কালার এবং ফন্ট ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে । তবে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার জন্য আপনার অবশ্যই কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর প্রয়োজন । এই সফটওয়্যারটি স্মার্টফোন দিয়ে ব্যবহার করার সুযোগ নেই ।
এই সফটওয়্যারটি কিভাবে ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম যেমন ইউটিউব ও অন্যান্য গণমাধ্যম রয়েছে যেখান থেকে শিখা যাবে । সফটওয়্যারটিতে আপনারা পেয়ে যাবেন 10 হাজারেরও বেশি আইকন এবং 500 বেশি টেমপ্লেট । এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার জন্য সর্ব প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করে নিতে হবে । তারপরেই এটি দিয়ে শুরু করতে পারেন লোগো ডিজাইনার পথযাত্রা ।
ক্যানভা
অনেকেই হয়তো ক্যানভাকে একটি সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চিনে থাকেন । এটিকে আবার আপনি ফ্রী লোগো সফটওয়্যার নির্মাতা হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন । আসলে ক্যানভা হচ্ছে একটি জনপ্রিয় লোগো ডিজাইন অ্যাপস । অনেক প্রফেশনাল লোগো ডিজাইনার রয়েছে যারা এটিকে ব্যবহার করে লোগো ডিজাইনে কাজগুলো করে থাকে । এই সফটওয়্যারটি কে আপনি স্মার্টফোন এবং কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ যেখানে খুশি সেখানেই ব্যবহার করতে পারবেন ।
ক্যানভার মধ্যে রয়েছে চমৎকার ইন্টারফেস । যেখানে লোগো ডিজাইন করার জন্য আপনাকে পার্সোনাল ভাবে কোন যোগ্যতা অর্জন করতে হবে না । একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারও চাইলে ভালো মানের লোগো ডিজাইন করতে পারবে । ক্যানভায় অসংখ্য টেমপ্লেট এবং টুলস রয়েছে । আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত টেমপ্লেট ব্যবহার করে লোগো ডিজাইন করতে পারবেন । ইউটিউব থাম্বেনেইল এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের লোগো ডিজাইন এই সফটওয়্যার মাধ্যমে করা যাবে ।
ডট পিচ
ডট পিচ নামক লোগো ডিজাইন সফটওয়্যারটি স্মার্টফোনে দিয়ে ব্যবহার করা যাবে । পিক্সেল আর্টস এর মত আকর্ষনীয় লোগো ডিজাইন তৈরি করার জন্য ডট পিচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে । বর্তমানে এই সফটওয়্যারটির চাহিদা প্রফেশনাল মানের লোগো ডিজাইনারদের কাছে অনেক ব্যাপক । অনেকেই লোগো ডিজাইন করার জন্য এই সফটওয়্যারটিকে বেছে নিয়েছে । ফ্রিল্যান্সারদের কাছে এটি একটি অধিক চাহিদা সম্পন্ন সফটওয়্যার ।
এটিকে আপনারা ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন তবে এই অ্যাপটির প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে যে ভার্সনটি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে 6.49 ডলার খরচ করতে হবে । নতুন ফ্রিল্যান্সারদের এই অ্যাপসটি ব্যবহার করার জন্য অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা ডকুমেন্ট করে থাকে । সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে একজন ফ্রিল্যান্সার খুব সহজেই ভালো মানের লোগো ডিজাইন করতে পারবে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ।
আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কিভাবে ইনকাম করতে হবে ?
আউটসোসিং এবং ফ্রিলান্সিং পেশায় লোগো ডিজাইনে কাজটি করে অনেকেই বিপুল পরিমাণ টাকা উপার্জন করে নিচ্ছে । আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ লোগো ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আউটসোর্সিং এবং লোগো ডিজাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ইনকাম করার জন্য অভিজ্ঞতা এবং স্কিল ডেভেলপ করতে হবে । আপনার ভেতরে যদি এই কাজগুলো সম্পর্কে অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়াটা অনেকটাই ডিফিকাল্ট বা কঠিন ।
মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে হলে আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে লোগো ডিজাইন ও অভিজ্ঞ হতে হবে । একজন অভিজ্ঞ লোগো ডিজাইনার হয়ে যাওয়ার পরে ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের হাত ধরে তাদের কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন । উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে কোন ক্লায়েন্ট বা বায়ার তাদের কাজগুলো করানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যামাউন্ট এর মাধ্যমে আপনাকে হায়ার করে থাকবে । তাকে একটি মানসম্মত লোগো ডিজাইন করে দিয়ে আপনি অনলাইন থেকে কামিয়ে নিতে পারবেন লাখ লাখ টাকা ।
আর যদি আপনি চান যে আপনি নিজেই মার্কেটপ্লেসে লোগো ডিজাইন করে ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের কাছে বিক্রি করবেন তাহলে এটাও কিন্তু আপনার দ্বারা অসম্ভবের কিছু নয় । আপনি চাইলেই মানসম্মত এবং প্রিমিয়াম ডিজাইনের লোগো ডিজাইন করে মার্কেটে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন । তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের চাহিদা অনুযায়ী লোগো ডিজাইন করতে
হবে ।
আপনি যদি বায়ারদের চাহিদা অনুযায়ী লোগো ডিজাইন করতে না পারেন তাহলে কিন্তু তাদের কাছে আপনার পরবর্তী দিনগুলো বিক্রি করতে পারবেন না এবং এক্ষেত্রে অনলাইন থেকে ইনকাম করারটাও আপনার কাছে অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে । একজন ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই সৃজনশীলপ্রেমি হতে হবে । নিত্য নতুন লোগো ডিজাইন তৈরি করতে হবে তাহলে এগুলোর ওপর বায়ারদের চাহিদাও অনেক বেশি থাকবে এবং বিক্রির মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবে একজন ফ্রিল্যান্সার ।
পেমেন্ট পদ্ধতি
অনলাইন থেকে উপার্জন করা টাকাগুলো কিভাবে পেমেন্ট নেওয়া যাবে এই বিষয়ে ধারণা অনেক ফ্রিল্যান্সার এর মধ্যেই নেই । একজন ফ্রিল্যান্সারের এটা জানা আবশ্যক যে কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করা টাকা গুলো উত্তোলন করা যাবে । আমরা যদি আমাদের ইনকাম করা টাকা গুলো উত্তোলন করতে না পারি তাহলে কিন্তু আমাদের শ্রম এর কোন মূল্য থকলো না ।
আমরা যদি দেশের ভেতরে থেকেই লোগো ডিজাইনের কাজগুলো করে থাকি তাহলে হয়তো আমাদেরকে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য ততটা টেনশন করতে হবে না । কিন্তু ফ্রিল্যান্সাররা যদি মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ইনকাম করে থাকে তাহলে কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে মার্কেটপ্লেসগুলোর কোন পদ্ধতির মাধ্যমে পেমেন্ট দিয়ে থাকে । অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটপ্লেসগুলো পেওনিয়ার , পেপাল , ওয়েভ মানি এবং ব্যাংক ট্রান্সফারের মতো আরো অন্যান্য পদ্ধতি রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে পেমেন্ট দিয়ে থাকে । কিন্তু আন্তর্জাতিক পেমেন্ট পদ্ধতি গুলো আপনার দেশের সাপোর্ট নাও করতে পারে তাহলে তখন কি করবেন । এখন আন্তর্জাতিক পেমেন্ট পদ্ধতি গুলোর মধ্যে ট্রান্সফারের মাধ্যমে আপনি আপনার ইনকাম করা টাকা গুলো আপনার একাউন্টে নিয়ে নিতে পারবেন । একাউন্টে চলে যাওয়ার পর আপনার ইনকাম করা টাকা গুলো বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার পকেটে গুনে নিতে পারবেন । এখন আপনারা হয়ত এটা ভাবতে পারেন যে আন্তর্জাতিক পদ্ধতি গুলির মধ্যে আমি ব্যাংক ট্রান্সফার কথা কেন বললাম এছাড়াও তো আরো অন্যান্য পদ্ধতি রয়েছে সেগুলোর কথা কেন বলা হয়নি । তার কারণ হচ্ছে অন্যান্য পদ্ধতি গুলো থেকে ব্যাংক ট্রান্সফার এই টাকাটি আপনার একাউন্টে আমার অনেক কাজ মেলা মুক্ত এজন্য অনেকেই ব্যাংক ট্রান্সফার কেই বেছে নিয়ে থাকে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য ।
0 মন্তব্যসমূহ