ব্যাংক একাউন্ট থাকাটা এখন বর্তমান সময়ে একরকম অপরিহার্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে যে। নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় অনেক কাজকর্ম ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হয়। আপনার টাকার নিরাপদ আবাসস্থল হতে পারে বিশ্বস্ত ব্যাংক। আমাদের বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজের জন্য টাকা-পয়সার লেনদেন করতে হয় ব্যাংকের মাধ্যমেই এ ছাড়া অনলাইনের কাজ করে পেমেন্ট নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত ব্যাংক একাউন্ট এর প্রয়োজন পড়ে । তাই ব্যাংক একাউন্ট না থাকার মানেই হচ্ছে আপনি অন্যদের চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছেন। কাজেই, ব্যাংক একাউন্ট না থাকলে দ্রুত একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে নিতে পারেন। আমাদের মাঝে প্রায় অনেকেরই ধারণা যে , ব্যাংক একাউন্ট খোলার মতো ঝামেলার কাজ বোধহয় আর দ্বিতীয়টি নেই। এই ঝামেলা এড়ানোর জন্য অনেকেই ব্যাংক একাউন্ট খুলতে আগ্রহী হন না। সত্যি বলতে কী, ব্যাংক একাউন্ট খোলা মোটেও তেমন একটা ঝামেলার কাজ না এখন এই ডিজিটাল যুগে। বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের জানা না থাকার কারণেই এমন অমূলক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা জানেন যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ । আর এই দেশের মানুষ প্রায় বেশির ভাগই মধ্য আয়ের এর বা নুন্ন আয়ের মানুষ। যার কারনে আমরা৫০০ বা ১০০০ টাকা দিয়ে সবাই অ্যাকাউন্ট সকলে খুলতে পারিনা। আর তার কারণে IFIC ব্যাংক প্রতিপক্ষ এবার সবার কাছে ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য ১০ টাকা ফি নিচ্ছে।সকলের প্রকৃতপক্ষে, খুব সহজেই একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে নিতে পারেন তাও আবার ১০টাকার মাধ্যমে বুঝতেই পারতেছেন কি চমৎকার একটি অফার দিচ্ছে IFIC ব্যাংক প্রতিপক্ষ। কীভাবে IFIC ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয় এটা আমাদের সবারই জানা প্রয়োজন । চলুন জেনে নেওয়া যাক। তার সাথে কি কি সুবিধা ও অসুবিধা থাকছে।

১০ টাকায় IFIC ব্যাংকে সহজ একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন
IFIC সহজ একাউন্ট বাংলাদেশের ব্যাংকিং আওতার বাইরে থাকা মানুষদের জন্য নতুন একটি পণ্য, লক্ষ্য আর্থিক পরিমান আরো বাড়ি দিয়েছে । ব্যাংক হিসাব খোলার সময় ন্যূনতম প্রয়োজনীয় একাউন্ট ব্যালান্স, কোনও কাগজপত্র ঝামেলা মুক্ত এটি জনসাধারণের জন্য একটি যথাযথ ব্যাংকিং সুবিধা। IFIC তবে আমাদের যে যে কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে।সেগুলো হলো
*যে ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবে তার স্বাক্ষর সহ অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম পরিপূর্ণ করতে হবে।
*যে ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবে তার পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবির প্রয়োজন হবে।
*যে ব্যক্তি একাউন্ট তৈরি করবে তার জাতীয় পরিচয় পত্র, স্মার্ট কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট। এই চারটির ভিতরে যে কোন একটির প্রয়োজন হবে।
* যে ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবে তার নমিনীর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে।
*যে ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবে তার নমিনীর স্মার্ট কার্ডের ফটোকপির প্রয়োজন হবে।
*যে ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবে তার ঠিকানা প্রমাণের জন্য কারেন্ট বিল এর ফটোকপির প্রয়োজন হবে। তবে কারেন্ট বিল এর কাগজে ফ্যামিলি যে কারো নাম থাকলেই চলবে।
*একাউন্ট খোলার ফরমে পরিচয় দান কারির সাইন প্রয়োজন হবে।
IFIC ব্যাংকে সহজ একাউন্ট খোলার সুবিধা
আইএফআইসি সহজ একাউন্ট বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে এক অসাধারণ একাউন্ট।আইএফআইসি সহজ একাউন্টের সুবিধা নিচে উল্লেখ করা হলো—
* এক একাউন্টেই সঞ্চয় ও ঋণ (ওভারড্রাফট) সুবিধা। অর্থাৎ, ‘আমনি একাউন্ট’ খুললে একই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সেভিংস করা যাবে এবং ঋণ গ্রহণ করা যাবে। ঋণ নেওয়ার জন্য আলাদা অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই। এই একাউন্টে কারেন্ট অ্যাকাউন্টের (Current Account) সুবিধাও ভোগ করা যাবে।
*মাত্র ১০ টাকা দিয়ে আইএফআইসি সহজ একাউন্ট খোলা যাবে
*তহবিলের উৎস বাধ্যতামূলক নয়
*অনেক কম রক্ষণাবেক্ষণের ফি
*এসএমএস আই-এর মাধ্যমে লেনদেন সম্পর্কিত তথ্যপ্রাপ্তির সুবিধা
*অ্যাকাউন্ট বন্ধে সর্বনিম্ন চার্জ
*কোনো চেক বই সরবরাহ করা হবে না, এর পরিবর্তে একটি কাউন্টার স্লিপ দিবে যেটা উত্তোলনের জন্য ব্যবহার হবে
*স্বাক্ষর বা টিপসই দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়
*বিনামূল্যে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে তালিকাভুক্তিক সুবিধা রয়েছে।
IFIC ব্যাংক সহজ একাউন্ট খোলার অসুবিধা
*আপনি কোনো চেক বই পাবেন না, ব্যাংক এ টাকা জমা দিতে হলে স্লিপ দেওয়া হবে সেই স্লিপ এর মাধ্যমে টাকা জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন।
*আপনি ডুয়াল কারেন্সি ভার্চুয়াল কার্ড ব্যাবহার করতে পারবেন না। শুধু দেশে ব্যাবহাকৃত ATM কার্ড ব্যবহার করতে পাবেন ।
* একদিনে সর্বোচ্চ 5 বার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন ।
মূলত সব ব্যাংকের কিছু সুবিধা এবং,অসুবিধা আছে তবে সব ব্যাংকের চাইতে আইএফআইসি ব্যাংকের সুবিধা এর পরিমাণ বেশি
এবং ঝামেলা কম আপনি চাইলে যেকোনো শাখা এবং উপশাখা থেকে একই ধরনের সেবা নিতে পারবেন
তাই, সকল সুবিধা এক সাথে পেতে আইএফআইসি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করে রাখতে পারেন ।
0 Comments