Join Our Telegram channel! name='keywords'/> Evaly কি ডেসটিনির মতো মানুষের টাকা নিয়ে পালাবে ?

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

Evaly কি ডেসটিনির মতো মানুষের টাকা নিয়ে পালাবে ?

ইভ্যালি কি


বর্তমানে বাংলাদেশের সবচাইতে আলোচিত ও সমালোচিত নাম যেটাই বলি না কেন সেটা হচ্ছে ইভ্যলি । খুব অল্প সময়ের ভিতর ই-কমার্স সাইট গুলোর মাঝে ইভালি একমাত্র কোম্পানি যারা অনেক মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন আবার অনেক মানুষের ঘৃণার পাত্র হিসাবে কোম্পানিটি রয়েছেন । (ইভালি খবর)

2018 সালের দিকে ইভালি যাত্রা শুরু যদিও তারা প্রথমদিকে খুব অল্প পরিসরে ইভালি যাত্রা শুরু হয় । আস্তে আস্তে করে কয়েক বছরের ভিতর ইভালি বাংলাদেশের এক নম্বর ই-কমার্স সাইট হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হন তারপরও কেন ইভ্যালি তে এখন এই দুর্দশা ।

পত্র-পত্রিকা কিংবা টেলিভিশনের মাধ্যমে জানা গেছে বিষয়টা সেটা হলো ইভালি বর্তমানে  3 থেকে 400 কোটি টাকা ঋণের তলে রয়েছে । অন্য দিকে তাকালে দেখা যায় সব ই কমার্স কম্পানি মিলে যত প্রোডাক্ট বিক্রি না করে ইভালি একাই তার থেকে বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি করে তাহলে কেন ঋণের ভারে বন্ধ হয় যেতে বসেছে এই কোম্পানিটি । আজকে এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে আমরা জানার চেষ্টা করব ইভালির উত্থান ও পতনের হিস্টরি ।




Evaly কি ডেসটিনির মতো মানুষের টাকা নিয়ে পালাবে ?



ইভ্যলির জনপ্রিয়তার কারণ কি ?


ইভ্যালির এত জনপ্রিয়তার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে । ইভ্যালি তে রয়েছে ক্যাশব্যাক পাওয়ার বিশেষ সুবিধা এই জিনিসটা কারণেই মানুষের মনে ঢুকতে অনেকটা সহজ হয়েছে কারণ ক্যাশব্যাক পেতে কে না ভালোবাসে । এছাড়াও ইভ্যালি অনেক সময়ে অল্প টাকায় বড় বড় প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে যেগুলো দেখে মানুষ আকর্ষণ হতে অনেক সময় বাধ্য হয় বলা চলে ।


ইভ্যালি নাকি মানুষের টাকা নিয়ে প্রতারণা করে ?


কথাটা অনেক ক্ষেত্রে শর্ত আবার অনেক ক্ষেত্রে পুরোটা সত্য না । যার কারণ হচ্ছে এভালি যেহেতু মানুষকে ক্যাশব্যাক দেওয়ার মাধ্যমে বেশি আকর্ষণ করে থাকে সেহেতু তারা মানুষের টাকা গুলো কে আটকে রাখে অর্থাৎ আপনি একটি পণ্য অর্ডার দিলেন দুই মাস তিন মাস চার মাস চলে যায় কিন্তু প্রোডাক্ট পৌঁছে দেয় না এটা হল একটি বড় সমস্যা । এইযে যে মানুষের টাকা পেমেন্ট নিয়ে পণ্য সময় মতসময় মত পৌঁছে না দেওয়া । যেটার কারনে ইভালি এখন মানুষের সমালোচনার কারণ হিসেবে রয়েছে । তবে ইভ্যালিতে মানুষের টাকা মেরে খেয়ে দিছে এরকম তা বলা যায় না বা এরকমটা কখনো শুনিনি তবে মানুষের পণ্য সময় মতো তাড়া দেয় না মানুষের টাকা নিয়ে সেগুলো তারা বিভিন্ন ব্যবসাতে খাটায় এটা হলো তাদের সমস্যা ।


এত ব্যবসা করার পরও এভালি কেন ঋণে পরল ?


বিশ্বের বড় বড় নামিদামি যেই ই-কমার্সই- ওয়েবসাইট গুলো রয়েছে তারাও কিন্তু একসময় লসে ছিলেন আস্তে আস্তে করে তারা সেগুলো কাটিয়ে এখন লাভের মুখ অনেকেই দেখছেন যেমন বিশ্বের সেরা এখন রয়েছেন অ্যামাজন-ও আলীএক্সপ্রেস এর মত প্ল্যাটফর্ম যেগুলো লস কাটিয়ে এখন ইউজ পরিমাণ ডলার প্রতিবছর আয় করে থাকে । যে কোন কোম্পানি প্রথম দিকে আসলে অনেক সুযোগ সুবিধা দিতে হয় জনগণকে তা না হলে জনগণের কাছে জনপ্রিয় হওয়া যায়না । এই জন্য ই ভালিও সবসময় চায় মানুষকে বেশি আকর্ষণ দিয়ে ধরে রাখতে এ কারণে বেশি বেশি তারা আকর্ষণীয় অফার দেয় । অনেক সময় লস দিয়ে ইভালি প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে অর্থাৎ 10 টাকার মাল তারা কোম্পানি থেকে নিয়ে সেটা গ্রাহকদের 8 টাকা টাকা বিক্রি করে থাকে । তাতে করে তাদের লস হয় । আর যদি তারা এ কাজটি না করে তাহলে তো মানুষ তাদের থেকে বেশি পণ্য কিনবে না মানুষকে আকর্ষণীয় করাতে এবং বেশি বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্যই ইভালির এই কৌশল অবলম্বন করা । এই কারণে তারা মূলত এখন লসে রয়েছে । যদিও ইভালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল তিনি বলেছেন তাদের সকল লস কাটিয়ে 2024 সাল নাগাদ তারা লাভের দিকে চলে যাবেন ।



ইভালি নাকি ডেসটিনির মতো চলে যাবে ?


বাংলাদেশে সবচাইতে আলোচিত ও সমালোচিত নাম হচ্ছে ডেসটিনি যারা কিনা বাংলাদেশের মানুষের সাথে যেটা করছে 10-12 বছর কেটে যাওয়ার পরেও মানুষ ডেসটিনিকে ঠিকই মনে রাখছে । ইভালি যেহেতু একটি কোম্পানির ব্র্যান্ড হিসেবে এখন তৈরি হয়ে গেছে সেহেতু ইভালি চলে যাওয়াটা এত সহজ মনে হচ্ছে না । কারণ ইভ্যালি যদি এখন চায় বিনিয়োগ টানতে তাহলে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কিনা ইভ্যালিতে ইনভেস্ট করতে রাজি । এবং ইভালি চাইলে কিন্তু তাদের কোম্পানিকে বড় কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিতে পারে ইউজ পরিমাণ টাকার বিনিময় । যেহেতু ইভালির নামের উপরে জনপ্রিয়তা রয়েছে সে কারণে এ প্রতিষ্ঠানটিকে যারা কিনে নেবে এবং পুনরায় ঢালাই ভাবে সাজিয়ে আবার কার্যক্রম শুরু করবে তারাই কিন্তু লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থেকে যাচ্ছে ।


এখন কি ইভালির লাভ করা কোনো সম্ভাবনা রয়েছে ?


ই-কমার্স কোম্পানিগুলো যেহেতু আগে মানুষ থেকে পেমেন্ট নিত প্রোডাক্ট অনেক পরে দিত । টাকাটা আগেই নিয়ে নিত প্রোডাক্ট সময় মত দিত না এটা ছিল একটা বড় সমস্যা সাধারণ মানুষের জন্য এবং কোম্পানিদের জন্য কিন্তু খুব লাভের বিষয় ছিল এটি । তবে বাংলাদেশ সরকার যেহেতু নতুন একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন অর্থাৎ এখন পণ্য অর্ডার দিলে আগে পণ্য কাস্টমার হাতে পাওয়ার পরে পেমেন্ট গুলো পাবে ই-কমার্স কোম্পানিগুলো এই কারণে কোম্পানিগুলোকে অনেক সমস্যার ভিতরে দিয়ে যেতে হতে পারে । যেহেতু এখন বিজনেস পলিসি বদল হয়েছে । তবে এটা মাথায় রাখা উচিত প্রডাক যদি বিক্রি হয় আগে হোক কিংবা পরে হোক টাকা তো পাওয়া যাচ্ছে সেই হিসাবে কিন্তু ইভালির লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে ।


ইভালি জন্ম কিভাবে হল ?


ইভ্যালির কর্ণধার রয়েছেন মোঃ রাসেল সাহেব শোনা যায় তিনি নাকি ব্যাংকে চাকরি করতেন আগে ব্যাংকার ছিলেন অর্থাৎ ব্যাংকে চাকরি করতেন । এছাড়াও তার পোলাপানের জিনিসপত্র বিক্রি করার অনেক আগ্রহ ছিল । পরে রাসেল সাহেব একটা সময় এই কমাস ব্যবসার দিকে মনোযোগী হন এবং ইভালি তৈরীর জন্য পরিকল্পনা করেন । রাসেল সাহেব বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি যখন 2018 সালের দিকে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন তখন খুব অল্প পরিসরে তিনি শুরু করেছিলেন পরে আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে । ইভালি বর্তমানে ফুডপাণ্ডার মতো তারা মানুষের বাসায় বাসায় বিভিন্ন খাবার বিক্রি করে থাকে । এছাড়াও আরও বেশকিছু ইভ্যালির সার্ভিস রয়েছে যেগুলো থেকেও তারা প্রফিট করছে ।

ইভালি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত কি ?


যতই ইভ্যালির কর্ণধার মোঃ রাসেল সাহেব বলুক না কেন তারা এই ঋণের বোঝা নামিয়ে লাভ করতে সক্ষম হবেন । সেটা তো সময় বলে দিবে । তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বা গুণীজনেরা বলে থাকেন ইভ্যালি নিয়ে ইভালি যদি এভাবে করে চলতে থাকে তাহলে ইভালি যেকোনো সময় ঋণের ভারে বন্ধ হয়ে যেতে পারে । কারণ ইভালি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রাসেল সাহেব যে কোম্পানিগুলো থেকে পণ্যগুলো এনে বিক্রি করে থাকেন সে কোম্পানিগুলো রাসেল সাহেবের কাছে ইউজ পরিমাণ টাকা পাবেন বকেয়া ।

ইভ্যালি থেকে কি যে কোন দেশ থেকে পণ্য কিনা যায় ?


পূর্বের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যখন অ্যামাজন কার্যক্রম শুরু করেছিলেন তখন শুধু তারা ইউএসএ কার্যক্রম শুরু করেছিলেন পরে যখন কোম্পানিটি বড় হয়ে যায় আস্তে আস্তে করে তখন তারা বিভিন্ন দেশে তাদের বিজনেস সরিয়ে দিতে থাকেন । এখন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশেও নাকি তাদের বিজনেস চালু করবে অতি শীগ্রই । যাই হোক ইভ্যলিও যেহেতু বাংলাদেশের একটি কোম্পানি প্রথমে বাংলাদেশ দিয়েই তারা শুরু করেছেন কার্যক্রমটি তবে যদি তারা অ্যামাজনের মতো সুপার কোম্পানি হয়ে যেতে পারে তাহলে হয়তবা তারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারে তাদের বিজনেস তবে এখন সেটা নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না ।


ইভ্যালি থেকে কিসের মাধ্যমে পেমেন্ট করে প্রোডাক্ট কিনতে হয় ?


ইভ্যালি থেকে প্রোডাক্ট কিনার জন্য পেমেন্ট মেথড খুব সহজ । যেমন বিকাশ নগদ রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট করে ইভ্যালি থেকে প্রোডাক্ট কেনা যায় । এছাড়াও আগে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যেত তবে ইভালির বর্তমান এ দুর্দশা দেখে বিভিন্ন ব্যাংক গুলো ইভ্যালি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন ।

 সর্বশেষ কিছু কথা বলব সেটা হল ইভালির যত দুর্দশায় থাকুক না কেন কখনই আমরা চাইনা আমাদের দেশের একটি ই-কমার্স কোম্পানি হারিয়ে যাক । আশাকরি ইভালি তাদের দূঃসময় কাটিয়ে সুসময় ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ । এই বিষয়ে যদি আপনাদের কোন মতামত থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ