আরো পড়ুন: বিশ্বের প্রথম সারির Crypto কারেন্সি ভিত্তিক Solana Blockchain অফিসিয়াল SolCard অ্যাকাউন্ট খুলে লাইফ টাইম অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা সহ টিকটক, ইউটিউব, ফেসবুক ভিডিও প্রমোশন ই-কমাস বিজনেস করার জন্য এখনই একাউন্ট খুলে KYC Complete করে ফ্রিতে নিতে পারেন সারা জীবন কাজে দেবে ইনশাআল্লাহ এখানে ক্লিক করে
তবে আপনি যদি লক্ষ্য করেন বর্তমান সময় এখন যে যুগ চলতাছে এই সময় ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে পৃথিবীর জুড়ে মানুষগণ দিনে দিনে ক্রিপ্টো কারেন্সি বিভিন্নভাবে ব্যবহারের এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে এই বিপুলসংখ্যক মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ক্রিপ্টো কারেন্সি নির্ভর ডেবিট কার্ড এর পাশাপাশি ক্রিপ্টো কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড রিলেটিভ বিভিন্ন ডিজিটাল কার্ড বাজারে আনা হয়েছে।
এই ক্রিপ্টো ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড আগের ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড এর মতোই এই ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডের আকৃতি বা অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে তবে লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিন্নতা রয়েছে এখানে লোকাল কোন কারেন্সি বা ডলারের মাধ্যমে ক্রিপ্টো ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে লেনদেন করা হয় না, ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড ও ক্রিপ্টো ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে শুধুমাত্র ক্রিপ্টো কারেন্সির সম্পর্কিত লেনদেন সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে এটা হল বিস্তর ফারাক আগের ভিসা কার্ডের ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড মাস্টার কার্ডের ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড কিংবা আমেরিকান এক্সপ্রেস এর ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ডের থেকে ভিন্নতা রয়েছে এক্ষেত্রে সবচাইতে বড় ধরনের এই ক্রিপ্টো ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ডের, আশা করা যায় একটু বুদ্ধি নিয়ে এই বিষয়টার পার্থক্যগুলো বুঝতে পেরেছেন।
আজকে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে চলেছি ক্রিপ্টো ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড কি? এবং এগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? এগুলো ব্যবহার করে কি সকল ধরনের কার্যকলাপ গুলো সম্পন্ন করা যাবে কিনা এই সম্পর্কে এ টু জেড বিষয়গুলো।
আরো পড়ুন: ক্রিপ্টো কারেন্সি কি? এ টু জে
ক্রিপ্টো ডেবিট কার্ড কি?
আমরা জানি যে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিপরীতে কিংবা ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ের একাউন্টের বিপরীতে যদি কখনো বিভিন্ন ক্যাটাগরির যদি এটিএম কার্ড দেওয়া হয় তাহলে সেগুলোকে আমরা ডেবিট কার্ড হিসেবে পেয়ে থাকি অর্থাৎ আপনি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করলেন সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যেই অর্থ বা টাকা বা ডলার থাকবে সেগুলো ব্যবহার করার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থাৎ এটিএম মিসিং এর মাধ্যমে সহজে টাকা উত্তোলনের করার জন্য যে ধরনের এটিএম কার্ড দেওয়া হয় সেগুলোকে মূলত ডেবিট কার্ড বলা হয়ে থাকে অর্থাৎ নিজের টাকা ব্যাংকে রেখে যেই এটিএম কার্ডের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয় সেই কাড কে ডেবিট কার্ড বলা হয়ে থাকে।
ঠিক এরকমই আপনার যখন ডিজিটাল ক্রিপ্টো কারেন্সি রিলেটিভ এক্সচেঞ্জ Wallet থাকবে ভেরিফাই করা আর সেই ক্রিপ্টো রিলেটিভ এক্সচেঞ্জ Wallet এর বিপরীতে এই ক্রিপ্টো ডেবিট কার্ড দেওয়া হয়ে থাকবে যেই ক্রিপ্টো ডেবিট কার্ডটি ব্যবহার করে আপনারা যে কোন সময় এটিএম মেশিন থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন বা ব্যবহারকিত যে সমস্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রিপ্টো ডেবিট কার্ড ব্যবহার হয়ে থাকে সেখানে ব্যবহার করতে পারবেন তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে সেই এটিএম মেশিন যদি ক্রিপ্টো কারেন্সি সাপোর্ট করে থাকে বা যেখান থেকে আপনারা কেনাকাটা করবেন বা বিভিন্ন লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন সেখানে যদি ক্রিপ্টো ডেবিট কার্ড সাপোর্টেড হয় তাহলে সেখানে ক্রিপ্টো ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে আপনি যে
এক্সচেঞ্জ Wallet account ব্যবহার করবেন সেই ওয়ালেটে অবশ্যই বিভিন্ন ক্রিপ্টো কারেন্সি থাকতে হবে আপনার মূল ক্রিপ্টো কারেন্সী Wallet একাউন্টে।
এক্সচেঞ্জ Wallet account ব্যবহার করবেন সেই ওয়ালেটে অবশ্যই বিভিন্ন ক্রিপ্টো কারেন্সি থাকতে হবে আপনার মূল ক্রিপ্টো কারেন্সী Wallet একাউন্টে।
ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড কি?
ক্রেডিট কার্ডের বেলায় যদিও অনেকটা ভিন্নতা রয়েছে এই ক্রেডিট কার্ড সবাইকে দেওয়া হয় না আবার সবাই চাইলেও নিতে পারেনা অর্থাৎ ক্রেডিট কার্ড শুধুমাত্র তাদেরকেই দেওয়া হয়ে থাকে যাদের আয় রোজগার মোটামুটি ভালো এরকম পার্সনদেরকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হয় বা বিভিন্ন সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকেও ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়ে থাকে বা ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানিগুলো থেকেও ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি যদি মাসিক আয়ের পরিমাণ ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকার উপরে থাকে তাহলেই বিভিন্ন কোম্পানি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে থাকে।
ধরেন আপনি বিজনেস করেন বা চাকরি করেন আপনার মাসে আয় কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা তাহলে ব্যাংক কিংবা যে কোন প্রতিষ্ঠান আপনাকে আপনার লেভেল অনুযায়ী সেই সিস্টেমে আপনাকে ক্রেডিট কার্ড দেবে অর্থাৎ ধরেন আপনার ইনকাম মাসে ৩০ হাজার টাকা তাহলে আপনাকে দেওয়া হবে একটি ক্রেডিট কার্ড বিভিন্ন ডকুমেন্ট নেওয়ার মাধ্যমে এই ক্রেডিট কার্ড আপনি ব্যবহার করতে পারবেন নির্দিষ্ট এমাউন্ট অনুযায়ী অর্থাৎ আপনি ৩০ হাজার টাকার লিমিট আপনাকে দেওয়া হলো আপনি এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যখন ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করে ফেলবেন এরপর আপনার ক্রেডিট কার্ডের পূর্বের সকল বিল পরিশোধ করার পর আবার নতুন করে ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হবে অর্থাৎ ব্যাংক ও সব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তারাই আপনার হয়ে কিছু টাকা খরচ করার সুযোগ দিবে এই হল ডেবিট কার্ড আর ক্রেডিট কার্ড এর মধ্যে পার্থক্য।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে ডেবিট কার্ড দিয়ে আপনার নিজের টাকা আগে অগ্রিম রেখে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন আর ক্রেডিট কার্ড নিলে বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে অগ্রিম টাকা দিবে ব্যবহার করার জন্য সেগুলো পরে পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন আশা করি এ দুটি জিনিসের পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ক্রিপ্টো কারেন্সি ওয়ালেট কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশে নাগরিকদেরকে এই ক্রিপ্টো কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকেন যেগুলো ব্যবহার করে গ্রাহকরা তাদের ইচ্ছেমতো শপিং সহ বিভিন্ন কাজে লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজে।
আশা করি আপনারা ক্রিপ্টো ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে পরিষ্কার সম্পন্ন ধারণা পেয়েছেন তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো ক্রিপ্টো কারেন্সি ওয়ালেট কিন্তু ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে এরকম কিন্তু নয় হাতে গোনা এখন পর্যন্ত বেশ কিছু জনপ্রিয় ক্রিপ্টো একচেঞ্জ কোম্পানি গুলো এই সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে হয়তো ভবিষ্যতে এই সংখ্যা জনপ্রিয়তার সাথে সাথে আরো বাড়বে বর্তমানে আপনারা Binance wallet থেকে Crypto ডেবিট কার্ড কিংবা Crypto ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন এছাড়াও Crypto ডটকম নামে এই Wallet থেকেও ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন এছাড়াও কয়েনবেস Wallet থেকেও এই সুবিধা পাবেন ।
এছাড়াও এই ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড কিংবা ডেবিট কার্ড দিয়ে আপনারা বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল ফেসবুক চ্যানেল ইনস্টাগ্রাম পেজ টিকটক চ্যানেল সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া Boost বা প্রমোট করতে পারবেন।
ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড কিংবা ডেবিট কার্ড সম্পর্কিত যদি আপনাদের কাছে কোন প্রশ্ন থাকে এই আর্টিকেলে কমেন্ট বক্সে সেই মতামত জানিয়ে দিবেন আপনি যদি এ বিষয়গুলো নতুন জেনে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে আর্টিকেলটির লিংক শেয়ার করুন যাতে সবাই জানতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ