Join Our Telegram channel! name='keywords'/> 5 How to make money online | 5 online business ideas that make good money

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

5 How to make money online | 5 online business ideas that make good money

একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন অনেক মানুষের মধ্যেই থাকে। নিজে ব্যবসা শুরু করে বড় কিছু অর্জন করা এবং নিজের উদ্যোগটিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে খ্যাতি লাভ করার স্বপ্ন থাকে। ব্যবসায়ে নামার আগে অনেক পরিকল্পনা করা হলেও, বাস্তবে প্রায়ই প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় । এখানেই কেউ কেউ হোঁচট খান, ব্যবসা ধরে রাখতে পারেন না; আবার কেউ কেউ নিজেদের প্রজ্ঞা ও দক্ষতার জোরে সামনে এগিয়ে যান।

যদিও ব্যবসায়ে লাভ-ক্ষতি খুবই স্বাভাবিক বিষয় , কিন্তু যেকোনো প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরুর আগে সেখানকার অনুকূলতা ও প্রতিকূলতা, দুটি বিষয়েই জেনে নেওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যবসায়ে আসলে শতভাগ 'নিখুঁত' বলে কিছু নেই। শুরুর দিকে কোনো না কোনো ক্ষেত্রে আপনাকে বাধার সম্মুখীন হতে হবেই। তাই তাই পৃথিবীর বিখ্যাত দুটি বিজনেসম্যান স্টার্টআপ প্রফেশনালস-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্টিন জুইলিং ৫ টি ব্যবসার কথা বলে যেগুলো শুনলে আপনি অবাক হয়ে যেতে পারেন। নিচে বিস্তারিত সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।



5 How to make money online | 5 online business ideas that make good money



নাম্বার 1 রিসেলিং ব্যবসা 


*আপনি কি কখনও বিক্রয় ডট কম এর কথা শুনেছেন? না শুনলেও সমস্যা নেই, আমি যেটা বলতে চাচ্ছি তা হলো এটা এমন এক প্লাটফর্ম যেখানে যেকেউ চাইলেই যেকোনো জিনিস ক্রয় বিক্রয় করতে পারবে, হোক সেটা নতুন কোনো প্রডাক্ট হোক বা পুরাতন।

*রিসেলিং এর ব্যপারটা হচ্ছে আপনি একটি প্রোডাক্ট কিনলেন, কিন্তু সেটা ব্যবহারের জন্য না বরং আবার অন্য কোথাও বিক্রি করার জন্য। এই সিস্টেমটাকে বলা হবে রিসেলিং সিস্টেম । এখন এই রিসেলিংটা করবেন কোথা থেকে? ওই যে প্রথমেই বললাম বিক্রয় ডট কম এর কথা। এটা জাস্ট একটা উদাহরণ, আপনাকে যে এখানে বিক্রি বা ক্রয় করতে হবে এমন কোনো ব্যাপারই নেই।

*আপনি চাইলে আপনার কমিউনিটিতে উক্ত ব্যাপারটা ঘটাতেই পারেন। মূলত ঘরোয়া ব্যবসা এর জন্য রিসেলিং এর কাজটি অনেকটাই বেটার কারন এখানে কোনো স্পেসিফিক দোকান বা প্লেসের প্রয়োজন হয় না। মূলত আজকাল ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অনেক অনেক অপচুনিটির পাশাপাশি অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনের কারনে।

*আপনিও আপনার সুবিধা মোতাবেক কোনো প্লাটফর্ম বা অফলাইনেও মার্কেট ধরে রিসেলিং এর ব্যবসা করতে পারেন। আরেকটা ভালো ব্যাপার এইটা যে উক্ত কাজে আপনাকে যে কেবল একটি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে হবে এমনটাও নয়। আপনি চাইলেই একাধিক পণ্যের মাধ্যমে ব্যবসাটি করতে পারে


নাম্বার ২ ক্র্যাফট  ব্যবসা


*প্রথমেই বলে রাখি ক্র্যাফটের মানে কি, মূলত বিভিন্ন ধরনের কাগজের মাধ্যমে বিভিন্ন সৌখিন জিনিস তৈরি করা এবং সেগুলোকে প্রোপার ভাবে উপস্থাপন করাই হলো ক্র্যাফট। এই কাজে ব্যাপক ভাবে কারু শিল্প ও আর্টের দক্ষতা প্রয়োজন হয়। ছোট  জিনিসকে আকর্ষনীয় করে তোলার মাধ্যমে নান্দনিক একটা ভাবমুর্তি প্রতিস্থাপন করা হয় এটির কাজে। 

*আপনি যদি এসব ব্যাপারে ইন্টারেস্ট হয়ে থাকেন তবে ঘরে বসেই উক্ত কাজ গুলো করে দারুন সব প্রোডাক্টে রুপান্তর করতে পারবেন। মেয়েদের ঘরোয়া ব্যবসা এর মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয়। কাগজ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস যেমন – কাগজ দিয়ে তৈরি করা যেকোনো জিনিস, কাপুরের সাজায্যে তৈরি করা নান্দনিক কিছু, কাগজের খেলনা, ঘড় সাজানোর বস্তু, ওয়াল পেপার,

*আপনি যদি ক্র্যাফটের ব্যবসা করতে চান তবে প্রথমেই আপনার প্রোডাক্ট গুলো এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যেগুলোর জন্য কেউ অর্থ প্রদানে ইচ্ছা প্রসন করে। মানুষের চাহিদা ও সৌখিন ব্যাপার গুলো সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখতে হবে। এবং সকল কিছুর সমন্ধয়ে তৈরি করতে হবে আপনার প্রোডাক্ট। 

*বিক্রি কোথায় করবেন? এটার জন্য রয়েছে অনেক অনেক উৎস, সবচেয়ে বেশি এই প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি হয় বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ায় যার মধ্যে ফেসবুক অন্যতম। তবে বর্তমানে অনেক ই-কমার্সে প্লাটফরমে ও  এটার চাহিদা দেখা যায়, তাছাড়া নিজের মত করে ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিক্রি করার মাধ্যমেও ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন ।


নাম্বার ৩ কোর্স বিক্রি 


*করোনা কালীন সময়ের পর অন্তত্য বাংলাদেশের মানুষ এটা বুজে গেছে যে অনলাইন অনেক বড় একটা প্লাটফর্ম যেখানে আপনি যেকোনো কিছু দিয়েই নিজের ব্যবসা করা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের আয় করতে পারবেন। উক্ত কাজে কিছু মেধা ও পরিশ্রম হলেই হবে। বাস্তবিক ভাবে কোনো অফিস বা কোনো নিদিষ্ট স্থানের প্রয়োজন হয় না এই ক্ষেত্রে। 

*মানুষ এখন অনলাইনে আয় করার জন্য খুব ইচ্ছা প্রসন করছে, যার সুবাদে তৈরি হয়েছে অনেক অনেক প্লাটফর্ম যেগুলোতে শেখানো হয় কিভাবে আয় করা যায়। আবার শুরু যে এই একটাই টপিক তাও কিন্তু নয়। আছে আরো অনেক অনেক বিষয় যা নিয়ে মানুষ জানতে চায় শিখতে চায়। আপনি যদি কোনো বিষয়ে খুব দক্ষ হয়ে থাকেন তবে আপনিও এমন কোর্স তৈরি করতে পারেন এবং সেটাকে অনলাইনের মাধ্যমেই বিক্রি করতে পারেন। 

*এটা সম্পুর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে আপনি আপনার কন্টেন্ট কোথায় এবং কিভাবে তৈরি করতে চাচ্ছেন। পাশাপাশি আপনার তৈরি করা কোর্স অনলাইনে বিক্রি করার জন্য পেয়ে যাবেন অসংখ্য প্লাটফর্ম। আপনি চাইলে নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে নিজের ব্রান্ডিং করার মাধ্যমেও কোর্স সেল করতে পারবেন।

   

নাম্বার ৪ ব্লগের  ব্যবসা 


*ভারতে অনলাইন ব্যবসার তালিকায় ব্লগের ব্যবসা প্রথম স্থানে রয়েছে। অনলাইন ব্যবসা প্ল্যাটফর্মে ব্লগিং এর ব্যবসাকে ভারতে এক নম্বর অনলাইন ব্যবসা বলা হয় কারণ ভারতে প্রচুর ব্লগার রয়েছে যারা মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছে।

*তবে এটা ঠিক এই ব্যবসায় টাকা উপার্জন করা খুব একটা সহজ নয়, কারণ ভারতে হাজার হাজার লোক ব্লগের ব্যবসায় প্রথম থেকেই যুক্ত রয়েছে। তাই আপনি যদি এই ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে ধৈর্য এবং প্রচুর পরিশ্রমের করতে হবে। তাহলে আপনি ব্যবসায় সাফল্যে অর্জন করতে পারবেন।

*অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে হলে ব্লগিং একটি দুর্দান্ত আইডিয়া। ব্লগিং এর ব্যবসার জন্য আপনাকে ভালো লেখালেখির কাজ করতে হবে। কোন বিষয় নিয়ে আপনাকে আর্টিকেল লিখতে হবে এবং সেই আর্টিকেল আপনাকে ব্লগে পোস্ট করতে হবে।

*আপনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখির কাজ করতে পারেন। যেমন- ফ্যাশন, বিউটি টিপস, গ্যাজেট, রেসিপি, বিনোদন ইত্যাদি। আপনার লেখা ভিজিটরদের ভালো লাগলে ব্লগে ভিজিটরের সংখ্যা বাড়বে এবং আপনার উপার্জন বাড়বে।

*একবার ব্লগে ভিজিটরের সংখ্যা বাড়লে ব্লগে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে প্রচুর টাকা উপার্জন করা সম্ভব। তবে এটা মাথায় রাখবেন ব্লগে ভিজিটর এলেই একমাত্র আপনার উপার্জন হবে। তাই আপনাকে লেখালেখি ভালো করতে হবে। তবে ব্লগের আরো একটি আয়ের মাধ্যম হচ্ছে স্পন্সারশিপ । যখন আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ভালো পরিমাণ ভিজিটর আসতে শুরু করবে তখন বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো প্রমোট করেও বা স্পন্চাশশিপ নিয়ে আরো অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


নাম্বার ৫ অনলাইন মার্কেটিং বিজনেস 


অনলাইন ব্যবসার মধ্যে এটি আরেকটি জনপ্রিয়  ব্যবসা যা অল্প বিনিয়োগে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এই ইন্টারনেটের যুগে মোবাইল ফোন  একটি নতুন দুনিয়া তৈরি করে দিয়েছে । তাই বিজ্ঞাপনদাতারা মোবাইল ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের মধ্যে প্রবেশ করাতে চান। আর এটা একমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সম্ভব।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি বোঝানোর জন্য আপনাদের একটি উদাহরণের দেই। যেমন- বিজ্ঞাপন এমন একটি জিনিস যা সবাই চায় । যেসমস্ত বিজ্ঞাপনদাতার কাছে বাজেট আছে তারা বড় বড় সেলিব্রিটি দিয়ে বিজ্ঞাপন করছেন। ধরুন বিজ্ঞাপন করা হয়ে গেল এবং ভিডিও বানানো হয়ে গেল কিন্তু তা দর্শকের কাছে পোঁছাবে কি করে? আর এই ভিডিও গ্রাহকদের মোবাইলে পোঁছে দেওয়ার কাজটাই করে থাকে ডিজিটাল মারকেটাররা ।আজকের দিনে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বড় সেক্টর। এরকম অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং পরিষেবা প্রদান করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছে। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ক্লায়েন্টের পণ্য বা পরিষেবা অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন।

অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স শেখায় । তবে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে আমি বলব গুগুল সেরা প্রতিষ্ঠান হবে আপনার জন্য। গু গুলে সার্চ করুন অনেক তথ্য জানতে পারবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ