সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যদি আপনি ঢোকেন তাহলে এরকম অফার গুলো পেয়ে যাবেন ফেসবুক-টুইটার লিনকেদিন অথবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে । 19 টাকায় মোটরসাইকেল 99 টাকায় স্মার্ট মোবাইল ফোন, সত্যি কি এই পণ্য গুলো এই প্রাইজে পওয়া যায় ?
আপনি কি প্রতি ঘন্টায় 7 হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করে দেখে নিন বিস্তারিত
এমনই লোভনীয় অফার গুলো দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন শপিং কিছু কিছু সাইট । এদিকে সাধারন মানুষের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেল যে এই ধরনের অফার গুলোতে তারা অনেকবারই অনেকে জয়েন হয়েছেন কিন্তু কখনও কেউ এ ধরনের অফার পাননি । এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই পণ্যগুলো আসলে কারা পায় ? কাস্টমারদের অভিযোগ রয়েছে এ বিষয়ে ব্যাপক, আসলে এই অফার গুলো কেউ পায় না, কারণ যে কোম্পানিগুলো এই ধরনের লোভনীয় অফার দিয়ে থাকেন তারা কখনোই এ পণ্যগুলো দেন না, আর যারা দিয়ে থাকেন তারা খুব কৌশল খাটিয়ে কিভাবে দেয় একটু পরেই আপনারা বুঝতে পারবেন পুরো আর্টিকেলটি পড়লে ।
অনেকেরই একটি মোটরসাইকেল কিনার অনেক শখ রয়েছে কিন্তু সামর্থ্য নেই, অনেকেরই স্মার্টফোন কেনার শখ হয়েছে কিন্তু সামর্থ্য নেই, যখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে এরকম অফার দেখেন তখন হয়তোবা লোভে পড়ে অনেকেই তাদের পাতা জালে পা দিয়ে ফেলেন । এমনই কিছু প্রতারক চক্রের এর কথা ও কিছু কোম্পানি কৌশল খাটিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা সেটাই তুলে ধরা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলটিতে ।
লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন অনেক ওয়েবসাইটে চলছে এই ধরনের অফার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেল এই ধরনের অফার গুলো যে কোম্পানি গুলো দিয়ে থাকে তাদের ভিতর বেশিরভাগই তারা প্রতারণা করে থাকে কাস্টমারদের সাথে ।
আর যারা কাস্টমারদের কে দিয়ে থাকে তারা খুব কৌশল খাটিয়ে দিয়ে থাকে কিভাবে দেয় চলেন আমরা একটু জেনে নেই । ধরেন ১৯ টাকায় একটি মোটরসাইকেল দেওয়া হবে । এখানে যদি সারা বাংলাদেশ থেকে 1 লক্ষ মানুষ জয়েন হয় তাহলে মোট 19 লক্ষ টাকা হবে কোম্পানির কাছে, এখন কোম্পানি যদি একটি মোটরসাইকেল এক লক্ষ টাকা মূল্যের দিয়ে দেন এই এক লক্ষ মানুষের ভিতরে লটারির মাধ্যমে একজন কে বিজয়ী করে তাহলেও কিন্তু কোম্পানির কাছে বাকি 18 লক্ষ টাকার রয়ে গেল ।
বাকি যে 18 লক্ষ টাকা কোম্পানির কাছে রয়ে গেল সেটা বিভিন্ন শর্ত প্রযোজ্য বলে তারা কিন্তু বিভিন্ন উপায়ে রেখে দেয় তাদের কাছে ।
অনেক ওয়েবসাইট বলেন রিফান করে ফেরত দিয়ে দিবেন কাস্টমারদের কে টাকা কিন্তু কাস্টমারদের কে আর ফেরত দেওয়া হয়না, অনেক ওয়েবসাইট বলে থাকেন আপনার একাউন্টে রিফান্ডের টাকাটা জমা থাকবে পরবর্তীতে পণ্য কিনে নিতে পারবেন । এই সেই বলে দিনের পর দিন সময় কাটিয়ে দেন। কিন্তু কাস্টমারদের আর পণ্য দেওয়া হয় না ।
এমন অনেক অভিযোগের কথা জানা যায় যদি ওই কোম্পানির কমেন্ট বক্সগুলোতে লক্ষ্য করা যায় ।
দুনিয়াতে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে একদল মানুষ জিতে, আরেকদল মানুষ ঠকে এখন আপনি জিততে চান না থাকতে চান সেটা আপনার উপরই ছেড়ে দেওয়া হল ।
তবে ই-কমার্স ব্যবসা কে সরকার সবসময়ই সমর্থন দিয়ে থাকেন কিন্তু বর্তমানে ই-কমার্স নিয়ে কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগটা নিচ্ছেন ।
তবে মনে রাখবেন সব অনলাইন শপিং সাইট কিন্তু খারাপ না, অনেক অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যারা কিনা গুণগত মান বজায় রেখে কাস্টমারদের সঠিক সময়ে পণ্য দিয়ে থাকেন ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
তবে সুখবর বিষয়টা হচ্ছে যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশন সংবাদের মাধ্যমে জানা গিয়েছে ইতিপূর্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নীতিমালা করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন । বলে জানা যায় ।
এই বিষয় নিয়ে আজকে একটি পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আপনারা চাইলে এই পত্রিকার এই নিউজটি পড়ে নিতে পারেন এখানে ক্লিক করে
Valo khobor thenks
উত্তর দিনমুছুনThanks
উত্তর দিনমুছুনGood news
উত্তর দিনমুছুন